১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া জানলে আপনার জীবন বদলে যাবে। আপনার কাছে যদি বেশি পুঁজি না থাকে। তাহলে অল্প পুঁজিতে ২৫ টি লাভ জনক ব্যবসা করে আপনার জীবন পাল্ট যাবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক অল্প পুঁজিতে কোন কোন ব্যবসা করে আপনি লাভমান হতে পারবেন।এবং ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করে আপনি লাভমান হতে চাইলে পরিশ্রম করতে হবে। কারন পরিশ্রম ছারা কেও কখনো টাকা ইনকাম করতে পারবেনা। অনেকেই আছে টাকা বিনিয়োগ করে চাকরি নিতে পারেনা। তারা চাকরির আশা বাদ দিয়ে দিন। ব্যবসা শুরু করে দিন জীবনকে বদলাতে। আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো জীবনকে বদলে দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে
সূচিপত্রঃ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত
- ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
- মোবাইল রিচার্জ করা
- মুদি দোকান করে আয়
- হাঁস মুরগির খামার
- অনলাইনে বেচা কেনা করা
- ঝালমুড়ি ব্যবসা
- ফুসকা ও চটপটির দোকান
- অর্গানিক ফলের ব্যবসা
- পান সিগারেট এর ব্যবসা
- শাক সবজির ব্যবসা
- ফুলের ব্যবসা
- গরম মসলার ব্যবসা
- জুস শরবতের ব্যবসা
- আমাদের শেষ মন্তব্য
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। পড়াশোনা করে চাকরির আশায় থাকতে থাকতে চাকরির বয়স পার হয়ে যাচ্ছে তবুও চাকরি হচ্ছেনা অনেকের।
আরো পড়ুনঃ ইতালি ভিসা আবেদন ফরম 2024 - ইতালি ভিসার আবেদন করার নিয়ম
চাকরা ছারাও পৃথিবীতে এমন কিছু ব্যবসা রয়েছে যা আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারবে। আজ আমরা আপনাকে ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া দিব যেগুলো করে আপনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত বলে দাবি করবেন। তাহলে চলুন দেরি তা করে জেনে নিন ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে।
মোবাইল রিচার্জ করা
আপনার গ্রামের দিকে অথবা আপনার বারির আশেপাশে যদি বাজার থাকে সেখানে আপনি মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা করার জন্য একটা দোকান দিতে পারেন। শুরুতে আপনার কাছে যদি বেশি পুঁজি না থাকে অল্প টাকা বিনিয়োগ করে মোবাইল রিচার্জ এর ব্যবসা করে আপনি লাভমান হতে পারবেন।
বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষের ফোনে রিচার্জ করা একটি পেশার মতো হয়ে গেছে। মোবাইলে রিচার্জ না করলে মানুষ নেট চালাতে পারেনা কারো সাথে কোনো যোগাযোগ করতে পারেনা। এজন্য তাদের ফোনে বাধ্যতামূলক রিচার্জ করতেই হবে। অনেক চাহিদা রয়েছে মোবাইল রিচার্জ এর। আপনিও যদি এই সময় থেকেই ব্যবসা শুরু করে দেন রিচার্জ এর তাহলে আপনার আর কোনো চাকরি খুজতে হবেনা আশা করছি।
মুদি দোকান করে আয়
১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে আপনি একটি মুদি খানার দোকান দিতে পারেন। মুদি দোকানে বেচা কেনার অনেক চাহিদা আছে বর্তমান সময়ে। যেমন ছোট শিশুরা খাওয়ার জিনিস নিতে যায় মুদি দোকানে। মানুষের যেকোনো খাবার কেনার জন্য মুদি দোকানে যেতেই হয়।
আরো পড়ুনঃ ইউটিউব চ্যানেলে ইনকাম বাড়ানোর ১০ টি সহজ উপাই
আপনার গ্রামে যদি বেশি পরিমান মানুষ থাকে তাহলে বেশি লাভমান হতে পারবেন। গ্রামের ভিতরে যদি মানুষের চাহিদা কম থাকে তাহলে আপনার বাড়ির আশেপাশে যদি কোনো বাজার থাকে সেই বাজারে আপনি চাইলে দোকান দিতে পারবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন মুদি খানার দোকানে কি পরিমান চাহিদা থাকে।
হাঁস মুরগির খামার
আপনার কাছে যদি ১০ হাজার টাকা পুঁজি থাকে তাহলে আপনি হাঁস মুরগির খামার খামার করে লাভমান হতে পারেন।২-৩ হাজার টাকার ভিতর হাঁস মুরগির বাচ্চা কিনবেন।বাকি টাকা দিয়ে খাবার কিনবেন আর খামার কমপ্লিট করবেন। প্রথম অবস্থায় আপনি অল্প হাঁস মুরগির বাচ্চা কিনে ব্যবসা শুরু করুন।
তারপর সেগুলা থেকে লাভমান হলে পরবর্তীতে আরো বরো করে খামার দিতে পারেন। অথবা আপনি যেইটুকু হাঁস মুরগির বাচ্চ কিনবেন সেগুলো রেখে দিবেন যাতে ওই গুলা বরো করে তারা আবার বাচ্চ দিবে এভাবেও চাইলে আপনি আপনার খামার বরো করতে পারবেন।
অনলাইনে বেচা কেনা করা
আপনি অনলাইন থেকে কম টাকাই কোনো কিছু কিনবেন যেমন, পোশাক, ঘরি, চশমা, এবং আরো বিভিন্ন পণ্য কম টাকাই পাইকারি নিতে পারবেন। পরবর্তীতে আপনি সেগুলো অনলাইনেই বেশি টাকাই বিক্রি করতে পারবেন। যা খরচ করে কিনেছিলেন তার থেকে বেশি দামে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।
এই ব্যবসা করার জন্য অল্প কিছু টাকা আর একটা মোবাইল ফোন লাগবে। আপনার কাছে যদি এই গুলো থাকে তাহলে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। অল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করার জন্য অনেক ভালো একটা ব্যবসা এটা। অনলাইনে কেনা বেচা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন আশা করছি।
ঝালমুড়ি ব্যবসা
ঝালমুড়ি ব্যবসা শুরু করতে পারেন অল্প পুঁজি নিয়ে। ঝালমুড়ি ব্যবসার আইডিয়া জানতে পারলে আপনি অনেক লাভমান হতে পারবেন এই ব্যবসা করে। গ্রামের কোনো স্কুল, কলেজের পাশে ঝালমুড়ির দোকান দিতে পারেন। বর্তামান সময়ে ঝালমুড়ির অনেক চাহিদা রয়েছে।
আপনার ঝালমুড়ি বানানো ভালো হলে দেখবেন প্রতিদিন আপনার দোকানে ভির জমে যাবে। অল্প পুঁজি নিয়ে এই ব্যবসা করে আপনি অনেক লাভমান হতে পারবেন। সব সময় হতেই থাকবে ঝালমুড়ি বিক্রি। তবে বাজারে তেমন বিক্রি হবেনা। এজন্য আপনি জায়গা খুঁজবেন স্কুল, কলেজের আশে পাশে। তাহলে আপনার বেচা কেনা অনেক বেশি হবে।
ফুসকা ও চটপটির দোকান
অল্প পুঁজিতে ফুসকা ও চটপটির দোকান দিতে পারেন।ফুসকা ও চটপটির চাহিদা অনেক রয়েছে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজের ছাএ ছাএীরা বেশির ভাগ সময় ফুসকা খায়। মেয়েদের জনপ্রিয় একটি জিনিস ফুসকা।
আপনি যদি স্কুল, কলেজের আশে পাশে একটা ফুসকা ও চটপটির দোকান দিতে পারেন প্রতিদিন ভির জমে যাবে। অনেক বেচা কেনা করতে পারবেন ফুসকা ও চটপটির দোকান থেকে। এটি একটি লাভজনক ব্যবসা।
অর্গানিক ফলের ব্যবসা
অর্গানিক ফলের ব্যবসা অনেক লাভজনক ব্যবসা এটি। অল্প টাকা বিনিয়োগ করেও এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন আপনি। ভালো একটা বাজারের পাশে ফলের দোকান দিবেন।যেখানে কেনা বেচার চাহিদা বেশি থাকে সেখানে। যেসব ফলের চাহিদা রয়েছে যেমন।
আপেল, কমলা, কলা, আঙুর, আনার, পেয়ারা, আর বিভিন্ন ধরনের ফল পাইকারি দামে কিনে ব্যবসা করেন। মানুষ সব সময় প্রায় ফল কিনে থাকে মানুষের সাস্থ ভালো রাখার জন্য। এজন্য অর্গানিক ফলের চাহিদা অনেক রয়েছে।
পান সিগারেট এর ব্যবসা
পান আর সিগারেট মানুষের জাতীয় খাবার হয়ে গেছে এখন। মানুষ কোনো চিন্তা ভাবনা বা সমস্যায় পরলেই সিগারেট কিনপ খায় চিন্তা ভাবনা দূর করার জন্য। পানের চাহিদাও রয়েছে অনেক।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
আপনি চাইলে বাজারের পাশে ছোট একটি দোকান করবেন অল্প পুঁজি দিয়ে। কারন পান সিগারেট এর ব্যবসা করার জন্য বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয়না। অল্প পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করে অধিক পরিমান লাভ করতে পারবেন এই ব্যবসা থেকে।
শাক সবজির ব্যবসা
আপনার বাড়ির আশে পাশে যদি জায়গা থাকে তাহলে আপনে বিভিন্ন ধরনের শাকের বিজ ফেলে রাখুন। শাকের চাহিদা বাজারে সব সময় থাকে। অথবা অল্প পুঁজি নিয়ে বাজার থেকে পাইকারি দামে শাক কিনে বেশি দাম দিয়ে বিক্রি করতে পারবেন।
এবং বিভিন্ন রকমের সবজি কিনে ব্যবসা করতে পারবেন বাজারে গিয়ে। শাক সবজির ব্যবসা করেও লাভমান হওয়ার সুযোগ রয়েছে অনেক। যদি আপনি ব্যবসার আইডিয়া ঠিক মতো জানতে পারেন তাহলে ব্যবসা করে ভালো কিছু করতে পারবেন আশা করছি।
ফুলের ব্যবসা
ফুল সব মানুষের প্রিয় একটি পণ্য। সচরাচর সব জায়গাতেই ফুল বিক্রির চাহিদা রয়েছে অনেক। ফুলের ব্যবসা করার জন্য খুব বেশি টাকা বিনিয়োগ করা লাগেনা। আপনে যদি পড়াশোনা করেন পড়াশোনার পাশাপাশি ফুল বিক্রির ব্যবসা করতে পারবেন।
অল্প কিছু টাকা বিনিয়োগ করে পাইকারি দামে ফুল কিনে নিয়ে। স্কুল, কলেজের সামনে বসলে অনেক বিক্রি হবে। আপনি যা দাম দিয়ে ফুল কিনবেন তার দ্বিগুন দামে বিক্রি করতে পারবেন ফুল। ব্যাপক পরিমান লাভ করতে পারবেন ফুলের ব্যবসা করে।
গরম মসলার ব্যবসা
গরম মসলার চাহিদা আপনি যেখানেই বলেন না কেনো হাটে বাজারে দোকানে গ্রামে সব জায়গাতেই অধিক পরিমান চাহিদা রয়েছে। মানুষের সবথেকে মূলবান খাবার ভাত সেই ভাত খাওয়ার জন্য তরকারি লাগে শুধু ভাত খাওয়া যায়না। আর তরকারি রান্ন করার জন্য মসলার প্রয়োজন হয়।
মসলা ছারা তরকারি রান্ন করল খাওয়া যাবেনা। সব মানুষেরই মসলা কিনা লাগে। অল্প পুঁজি নিয়ে আপনি গরম মসলার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমান এবং ভবিষ্যতেও গরম মসলা বেকা কেনার চাহিদা কমবেনা। তাহলে বুঝতেই পারলেন এই ব্যবসা করে কতটা লাভমান হওয়া যাবে।
জুস শরবতের ব্যবসা
জুস শরবতের ব্যবসা করে লাভমান হন আপনি। শরবতের ব্যবসার হ্মেএে একটা সমস্যা সেটা হচ্ছে শীতের সময় জুস শরবতের তেমন একটা চাহিদা থাকেনা। তবে গরম কালে জুস শরবতের চাহিদা অনেক। মানুষ গরমের সময় সচারাচর জুস শরবত খেতে যায়। গরমকালে শরবত বিক্রি করে অনেক লাভ করতে পারবেন। গরমকালের জন্য এই ব্যবসা করতে পারেন। ১০ হাজার টাকা পুজি নিয়ে এই ব্যবসা ভালোভাবে শুরু করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম Apps
১০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে আপনি আরো অনেক গুলো ব্যবসা করতে পারেন। আবার কাপরের দোকান দিতে পারেন। আপনি ব্যবসা শুরু করার আগে ভেবে নিবেন যে আপনার একালায় কোন জিনিসের চাহিদা বেশি রয়েছে । সেটা যাচাই বাছাই করে তারপর ব্যবসা শুরু করবেন তাহলে আপনার ব্যবসায় অধিক পরিমান লাভ করতে পারবেন। আর আপনে কোন ব্যবসা সুবিধা মতন করতে পারবেন সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। মনে রাখবেন আপনার সুবিধা মতো ব্যবসা না করতে পারলে সেখান থেকে ভালো কিছু আশা করা যায়না। আর কিছু ব্যবসার আইডিয়া আছে যেগুলো নিচে উল্লেখ করা আছে মনোযোগ সহকারে দেখুন।
- নারিকেল ডাব বিক্রির ব্যবসা
- মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবসা
- দর্জির দোকান
- আচারের ব্যবসা
- বইয়ের ব্যবসা
- ব্লগিং করে আয়
- কোচিং সেন্টার করে
- শিশুদের খেলনার দোকান
- বিভিন্ন আসবাবপত্রের দোকান
- ভিডিও এডিটিং করা
- ইউটিউব চ্যানেল বিক্রি করে ব্যবসা
- মধু বিক্রি করে ব্যবসা
আমাদের শেষ মন্তব্য
জীবনে চলার পথে টাকার প্রয়োজন হবে। টাকা ছারা আপনি কেনো কিছুই পাবেন না। এজন্য কোনো কাজকে ছোট মনে করে দেখবেন না। যেকোনো কাজ করে এখন ইনকাম করা যাবপ। মানুষ আপনার কাছে টাকা আছে কিনা সেটা দেখবে আপনি কি কাজ করে টাকা ইনকাম করছেন কোথায় থেকে ইনকাম করছেন সেগুলো কেও দেখবেনা। তাই আপনার সবসময় ফোকাস রাখতে হবে টাকা ইনকামের ওপর।
আজকের আর্টিকেল সম্পূর্ণ পড়ে আপনারা জানতে পারলেন। ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়ার বিস্তারিত আলোচনা। এবং কিভাবে ব্যবসা করলে লাভমান হবে কি ব্যবসা আপনার জন্য সহজ হবে কোন ব্যবসা কম টাকা বিনিয়োগ করে বেশি ইনকাম হয়। কেন ব্যবসার চাহিদা বেশি রয়েছে সেই সম্পর্কে জানতে পারলেন। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি আর্টিকেলটির আইডিয়া কেমন হয়েছে আপনার কাছে সেটা কমেন্ট করে জানিয়ে দিয়েন। সবাই ভালে থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url