গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ জেনে নিন

গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ জানতে হলে এই পোস্ট শুরু থেকে শেষ পযন্ত মনযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। গর্ভাবস্থায় জরায়ু কেনো নিচে নামে, গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামলে করণীয় কি এবং গর্ভাবস্থায় সচেতন থাকার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। 

গর্ভাবস্থায়-জরায়ু-নিচে-নামার-লক্ষণ

বেশিরভাগ সময় গর্ভাবস্থায় থাকা মেয়েদের জরায়ু নিচে নেমে আসে। অনেকে বুঝতে পারেনা জরায়ু নিচে নেমে গেলে। এবার আসুন জেনে নিন গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ কিভাবে দেখা দিতে পারে। দেখা দিতে পারে সেই সম্পর্কে। এবং জরায়ুর অবস্থান কোথায় এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য নিচে আরো পড়তে থাকুন।

সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ জানুন

গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ

গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ জেনে নিন। গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন যদি আপনার জরায়ু নিচে নামে তাহলে যে যে লক্ষণ দেখা দিবে তা হল। আপনার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হবে থাকবে। তলপেটে প্রচুর পরিমাণ ব্যথা হবে যা হলে আপনি নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারবেন না। অনেক কষ্ট হবে তখন। ঘন ঘন প্রস্রাবের দেখা দিবে এবং প্রসব করার সময় কষ্ট হবে।

আরো পড়ুনঃ উলট কম্বলের ডাটার উপকারিতা ও অপকারিতা - উলট কম্বল খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন

পিরিয়ডের মধ্যে রক্তপাত হওয়া। এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে আপনার বুঝে নিতে হবে আপনার জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ আছে। তৎক্ষণিক ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। বেশিক্ষণ সময় ধরে সেটা নিয়ে বসে থাকা যাবে না। আশা করছি বুঝতে পারছেন কোন কোন লক্ষণ দেখা দিলে জরায়ু নিচে নামতে পারে এবং গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ সম্পর্কে। 

গর্ভাবস্থায় জরায়ু কেমন হয় 

গর্ভাবস্থায় জরায়ু কেমন হয়। ইতিমধ্য আপনি জেনেছেন গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ সম্পর্কে। এবার জেনে নিন গর্ভাবস্থায় জরায়ু কেমন হয়। গর্ভাবস্থায় শুরুর দিকে মোটা হয়ে থাকবে। তবে যেদিন যাবে সেই আসতে আসতে পাতলা হওয়া শুরু করবে। এবং শেষের দিকে যে একপর্যায়ে পাতলা হয়ে যাবে। 

আপনি যখন প্রস্রাব করতে যাবেন তখন শিশুর উত্তরণের জন্য প্রসারিত হবে। গর্ভাবস্থায় জরায়ু আকারে বড় হয়ে যাওয়ার কারণে ডেসিডুয়া সৃষ্টি করবে। অন্তবর্তী স্থানগুলো সেই সময়ের ভিতর রূপান্তরিত হয়ে যায়। তাহলে বুঝতেই পারছিনা গর্ভাবস্থায় জরায়ু কেমন হতে পারে। 

গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার লহ্মন 

গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার লক্ষণ জানুন। জয়ের মুখ খোলার আগে আপনার সন্তান বুকের মাঝখানে ছিল। তা আস্তে আস্তে নিচে নেমে আসবে। আপনি যেই বুকের ব্যথাগুলো সহ্য করছিলেন তা আস্তে আস্তে কমে যাবে।

আপনার শরীরের উপরে অংশগুলো ধীরে ধীরে পাতলা হয়ে যাবে। তখন আপনার জরায়ুর মুখ খোলার সম্ভাবনা থাকবে। এবং এরকম ধরনেরলক্ষণ দেখা দিলে সঠিক সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। বেশি দেরি করা যাবে না তাহলে পরবর্তীতে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ১০ টি উপায়

আর যদি আপনি দেখেন গর্ভবতী হওয়ার শেষের দিকে চলে যাচ্ছে আপনার বয়স। তাহলে সেটা ক্ষতির কোন কারণ নয়। বাচ্চা হওয়ার লক্ষণ হতে পারে সেটা। তবুও আপনি যত দ্রুত বাড়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। যাতে করে আপনার বাচ্চা এবং জরায়ু সুরক্ষা থাকতে পারে। 

গর্ভাবস্থায়-জরায়ুর-মুখ-খোলার-লহ্মন

গর্ভাবস্থায় কি করলে জরায়ু ভালো থাকবে সেই সম্পর্কে জানতে হলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। প্রতিটি গর্ভবতী মহিলাদের উচিত জরায়ু সব সময় ভালো রাখার। নয়তো বাচ্চা সমস্যা হতে পারে। জরায় ভালো রাখতে হলে যে যে শর্ত মানে চলতে হবে আপনার তা নিচে দেওয়া হল। 

  • দীর্ঘ সময় বসে থাকার মত এমন কোন ধরনের কাজ করা যাবে না 
  • আপনার মাসিক নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেশি বেশি ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। 
  • প্রতিদিন নিয়মিত ভিটামিন সি জাতীয় ফল খাবেন। ভিটামিন সি খাবার জরায়ু ভালো রাখার জন্য অনেক সাহায্য করে। 
  • প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখবেন। 
  • অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন। কারণ জরায়ুর সমস্যার কারণে হতে পারেন মিষ্টি। 
  • প্রতিদিন লেবুর রস পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন অথবা। ভাত খাবার সময় ভাতের সাথে মিশিয়ে খাবেন। 
  • বেশিরভাগ সময় শুয়ে থাকার চেষ্টা করবেন বেশি লাফালাফি করা যাবে না। প্রয়োজনে আপনার ব্যক্তিগত কার কাজ কর্মগুলো বন্ধ রাখবেন। 
  • আপনি চেষ্টা করবেন সব সময় পাকা কলা খাওয়ার এটা আপনার দেহের জন্য অনেক উপকার হবে সাথে আপনার বাচ্চার অনেক পুষ্টি বাড়বে। 
  • প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটাহাঁটি করার চেষ্টা করবেন। বিশেষ করে ধীরে ধীরে হাটাহাটি করবেন। এই যে আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকার। 
  • আপনার যদি গ্যাসের সমস্যা না থাকে তাহলে প্রতিদিন দুধ গ্রহণ করবেন। গ্যাসের সমস্যা থাকলে দুধ পান করার প্রয়োজন নাই হয়তো পরবর্তীতে আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি বাচ্চা হয়

জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি বাচ্চা হয় নাকি অন্য কোন সমস্যার কারণ হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। আপনি যদি গর্ব অবস্থায় দিকে যে জরায়ু নিচে নামার তখন দেখা দিচ্ছে সে ক্ষেত্রে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা বেশিরভাগ থাকে। আর যখন দেখবেন অবস্থার মাঝামাঝি সময় আপনার জরায়ও নিচে নামার লক্ষণ দেখা দিচ্ছে। 

তাহলে বুঝতে হবে আপনার কোন সমস্যার কারণে নিচে নামতেছে। তখন আপনার ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। নয়তো আরো বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আশা করছি বুঝতে পারছেন কিভাবে এবং কোন সময় জড়ানো নিচে নামলে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেই সম্পর্কে। 

জরায়ুতে ব্যথা হয় কেন

জরায়ুতে ব্যথা হয় কেন জেনে নিন। হঠাৎ করে হরমোনের পরিবর্তন দেখা দিলে। জরায়ুতে প্রচুর পরিমাণ ব্যথা হয়। অথবা অনিয়মিত খাওয়া, নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলাফেরা করা। নাড়াচাড়া বেশি বেশি করা। ভারী জিনিস পেটে নিয়ে লাফালাফি করা এই ধরনের কাজ যখন তারা করে। 

আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন ১০০ টাকা আয় করার ১৫ টি উপায় জেনে নিন

সাথে সাথে কিছু হবে না। পরবর্তীতে আস্তে আস্তে জরায়ুতে চাপ পাওয়ার কারণে ব্যথা হতে শুরু করবে। এজন্য গর্ভাবস্থায় সবাই সঠিকভাবে চলাফেরা করবেন। নিয়মিত খাবার খাবেন। যাতে করে কোন সমস্যার সম্মুখীন না হন। আশা করছি বুঝতে পারছেন কোন কোন কারনে জরায়ুর ব্যাথা হয় সে সম্পর্কে। 

জরায়ু নষ্ট হলে করনীয়

জরায়ু নষ্ট হলে করনীয় কি জেনে নিন। বিশেষ করে অনেক গর্ভবতী মহিলাদের নানান ভুলের কারণে জরায় নষ্ট হয়ে যায়। জরায় নষ্ট হলে সেটার চিকিৎসা করা যাবে। তবে জরায়ু আগের জায়গায় নিয়ে আসতে পারবে না চিকিৎসা করেও।

এরপরও যাদের জরায় নষ্ট হয়েছে তাদের কিছুটা স্বাভাবিক নিয়ে আসার জন্য যেই চিকিৎসা করবেন তা হল প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করবেন অথবা সার্জারি করতে হবে। মায়োমেকটমি ব্যবহারের মাধ্যমে জরায়ু নষ্টের জন্য চিকিৎসা করতে পারেন আপনি চাইলে। 

আমাদের শেষ মন্তব্য 

ইতিমধ্য আপনারা জেনেছেন গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ, গর্ভবতী অবস্থায় জরায়ু কেমন হয়, গর্ভাবস্থায় জরায়ু কেমন হয়, গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার লহ্মন, গর্ভাবস্থায় কি করলে জরায়ু ভালো থাকবে, জরায়ু নিচে নেমে গেলে কি বাচ্চা হয়, জরায়ুতে ব্যথা হয় কেন, জরায়ু নষ্ট হলে করনীয় সম্পর্কে। এখানে আমার শেষ মন্তব্য হচ্ছে। 

আলোচনায় জরায় নিচে নামার যেসব লক্ষণ দেখা দিয়েছে সে লক্ষণগুলো যদি আপনাদের গর্ব অবস্থায় থাকাকালীন দেখা দেয় তাহলে সরাসরি ডাক্তারের চিকিৎসা নিবেন। আর যাদের সমস্যাগুলো দেখা দেয়নি তারা আগে থেকে সাবধান হয়ে যাওয়ার জন্য নিয়মিত খাবার খাবেন। এবং চলাফলের দিক দিয়ে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করবেন। আজকের মত আমি এখানেই শেষ করছি সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :

comment url