নাকের সর্দি দূর করার ট্যাবলেট - সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত

কোন ভিটামিন খেলে রুচি বাড়েনাকের সর্দি দূর করার ট্যাবলেট এবং সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত তা জেনে নিন। সর্দি আমাদের যেকোনো সময় হয়ে থাকে। একটু মাথায় গরম কিংবা ঠান্ড লাগলেই সর্দি লেগে যায়। তাই আপনি যদি চিরতে সর্দি ভালো করতে চান তাহলে এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য। 

আজকের এই আর্টিকেল টি সম্পূর্ণ পড়ে আপনি জানতে পারবেন। কিভাবে নাকের সর্দি ভালো করা যাবে। সেই সাথে আরে জানতে পারবেন। হঠাত কাশি হলে কিভাবে ভালো করবেন সেটি। তাহলে আর দেরি কেনো। চলুন শুরু করা যাক।

সূচিপত্রঃ নাকের সর্দি দূর করার ট্যাবলেট এর নাম জানুন

• নাকের সর্দি দূর করার ট্যাবলেট
• সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত
• সর্দি হলে কি খাওয়া উচিত
• কি খেলে জ্বর সর্দি কমে
• সর্দি ভালো করার ঘরোয়া উপায়
• ঠান্ডায় নাক দিয়ে পানি পড়লে করণীয়
• শিশুর নাক দিয়ে পানি পড়লে করণীয়
• নাগের সর্দি দূর সম্পর্কে আমার শেষ কথা

নাকের সর্দি দূর করার ট্যাবলেট

নাকের সর্দি দূর করার ট্যাবলেট এর নাম এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন। আমাদের ভিতর অনেকে আছে যাদের সর্দ প্রতিনিয়ত লেগেই থাকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পর ও ঠিক হয়না। অথবা ভালো হলে কিছুদিন পর আবার সর্দি হয়। এরকম সমস্যা থেকে মুক্ত  পেতে আপনি যে ট্যাবলেট টি খাবেন সেটির নাম হলো। ডেসলােরাটাডিন সিজোনাল, এই ট্যাবলেটটি আপনার সর্দি এবং কাশি ভালো করবে পাশাপাশি আপনার যখন সর্দি লাগে তখন নাক অনেক সময় চুলকায়। 

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় পাকা কলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা 

নাক চুলকানো বন্ধ করে দিবে খুব সহজেই এই ট্যাবলেটটি খেলে। এছাড়াও আপনার চোখ যদি লাল হয়ে যায় সেটি ভালো করে দিবে। এই ট্যাবলেট দিনে দুই বেলা খাওয়া প্রয়োজন। সকালে এবং বিকেলে। ভাত খাওয়ার পূর্বে এই ট্যাবলেট কি খেতে হবে এই ট্যাবলেটের পাশাপাশি সাথে একটা গ্যাসের ট্যাবলেট গ্রহণ করতে হবে। প্রিয় পাঠক আশা করছি বুঝতে পারছেন নাকি সর্দি দূর করার জন্য কোন ট্যাবলেট খাওয়া প্রয়োজন প্রতিটি মানুষের জন্য সেই সম্পর্কে। 

সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত

সর্দি কাশি হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত জেনে নিন। আপনার সর্দি কিংবা পাশে যদি দীর্ঘদিন যাবত থাকে তাহলে আপনার সাথে সাথে ঔষধ খাওয়ার জরুরি। খুব তাড়াতাড়ি আপনার সত্যি এবং পাশে ভালো করার জন্য যে ট্যাবলেটটি খাওয়া উচিত তা হল। Guaifenesin এই ট্যাবলেটে আপনার সর্দি কাশি ভালো করার পাশাপাশি এলার্জি ভালো করে দিবে।

কারন আপনার যদি দীর্ঘদিন যাবত কাশি কিংবা সর্দি হয়ে থাকে সেটি ভালো না হলে এলার্জিতে পরিণত হতে পারে। তাই আপনারা চেষ্টা করবেন সর্দি এবং কাশি যদি হয়ে থাকে আপনাদের কারো তাহলে খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নিবেন। এতে করে আপনার অন্য কোনো সমস্যায় আক্রান্ত করতে পারবে না। 

সর্দি হলে কি খাওয়া উচিত

সর্দি হলে কি খাওয়া উচিত জেনে নিন বিস্তারিত। আপনার যদি হঠাৎ করে সর্দি হয় তাহলে আপনি চিকিৎসা করার সময় না পাইলে বাইকে যদি কালোজিরা কিংবা সরিষা থাকে আপনি সেটি খেয়ে নিবেন। অতিরিক্ত সর্দি লেগে থাকলে মাছ দিয়ে ভাত কিংবা মাংস দিয়ে ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। শুধুমাত্র সরিষার তেল দিয়ে আলুর ভর্তা তৈরি করে খাবার খাবেন।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন 

এছাড়াও আপনি অন্যান্য সবজি দিয়ে ভর্তা তৈরি করে ভাত খেতে পারবেন। এবং আপনার পছন্দের তালিকায় যদি শাকসবজি থাকে তাহলে শাকসবজি খেতে পারবেন এতে করে কোন সমস্যা হবে না। বিশেষ করে ভিটামিন সি এবং বি জাতীয় খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করবেন সর্দি লাগলে। যতদিন আপনার সর্দি ভালো হবে না ততদিন আপনার একই খাবার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। টানা কয়েকদিন এভাবে নিয়মিত খাবার খেলে আপনার সর্দি আস্তে আস্তে কমে যাবে। 

কি খেলে জ্বর সর্দি কমে

কি খেলে জ্বর সর্দি কমে জেনে নিন। সর্দি এবং জ্বর হলে আপনি আদা দিয়ে চা তৈরি করে খাবেন। ঠান্ডা লাগা থেকে বিরত থাকবেন আপনার শরীর যাতে গরমে ঘেমে যাই তাহলে আপনার জ্বর ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এবং ভিটামিন সি যুক্ত ফল খাবেন যেমন আপেল, কমলা, কলা, আনারস ও লেবু। এই খাবারগুলো আপনার শরীরে থাকার জ্বর কি কমিয়ে দিতে সাহায্য করে। 

আর আদা দিয়ে চা খেলে আপনার সর্দি কমে যাওয়া সম্ভাবনা থাকবে। অতিরিক্ত সর্দি লেগে থাকলে ঠান্ডা জাতীয় পানি বা কোন খাবার খাবেন না। প্রিয় পাঠক আশা করছি খুব সহজেই বুঝতে পারছেন যে আপনার শরীরে যদি জ্বর এবং সর্দি লেগে থাকে তাহলে আপনি কি খাওয়া উচিত সেই সময়।

সর্দি ভালো করার ঘরোয়া উপায় 

সর্দি ভালো করার ঘরোয়া উপায় অনেকেরই জানা প্রয়োজন। কেননা হঠাৎ করে সর্দি লাগলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসা নিতে পারবেন না যার কারণে ঘর থেকেই সর্দি ভালো করতে পারবে এক্ষেত্রে আপনার যা করণীয়। সর্দি লাগলে ঠান্ডা পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন এবং খাবার গ্রহণ করার সময় গরম পানি পান করবেন। দুই থেকে তিন দিন গোসল করা থেকে বিরত থাকবেন। 

আর যদি আপনার নাক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বেশি বেশি মরিচ এবং পেঁয়াজ খাবেন। কাঁচা মরিচ খেতে না পারলে মুড়ির সাথে মিশিয়ে খাবেন তাহলে আপনার নাক খুলে দিবে। প্রিয় পাঠক আশা করেছে খুব সহজে বুঝতে পারছেন সর্দি ভালো হওয়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। 

ঠান্ডায় নাক দিয়ে পানি পড়লে করণীয় 

ঠান্ডায় নাক দিয়ে পানি পড়লে করণীয় কি তা জেনে নিন। আমাদের অনেক সময় যখন ঠান্ডা লাগে তখনই নাক দিয়ে পানি পড়া শুরু করে। এ সমস্যাটি প্রায় মানুষেরই হয়ে থাকে। এ সমস্যা কিছুটা আদর করার জন্য প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আদা দিয়ে চা তৈরি করে খেতে হবে। 

এবং যখন বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে ঠান্ডা লাগতেছে তখন থেকেই আপনি গরম পানি খাওয়া শুরু করবেন। অথবা গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে লেবু চা তৈরি করে খাবেন।  লেবু চা খাওয়ার নিয়ম হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে। সকালের খাবার খাওয়ার অন্তত এক ঘন্টা আগে লেবু চা খেতে হবে। আশা করছি খুব সহজে বুঝতে পারছেন। 

শিশুর নাক দিয়ে পানি পড়লে করণীয় 

শিশুর নাক দিয়ে পানি পড়লে করণীয় কি জেনে নিন। আমরা প্রতিনিয়ত অনেক সময় দেখতে পাই শিশুদের নাক দিয়ে পানি পড়ে থাকে। সেই পানি পড়া থেকে দূরে রাখতে চাইলে বাচ্চাকে প্রতিদিন গরম পানি দিয়ে গোসল করাবেন। নরম কাপড়ের টুকরো গরম করে শিশুটির নাকের পাশে সেক দিন। এবং ঘুমানোর সময় শিশুটির মাথার নিচে উঁচু বালিশ দিবেন।

পাশাপাশি শিশুটিকে একটু পর পর পানি পান করাবেন। হালকা উশু উশু গরম পানি। এভাবে কিছুদিন নিয়ম মেনে চলাফেরা করলে শিশুটির নাক দিয়ে পানি পড়া বন্ধ হয়ে যাবে আস্তে আস্তে। অবশ্যই একটা কথা মনে রাখবেন শিশুটির নাক দিয়ে পানি পড়লে ডাক্তারের কোন পরামর্শ বা চিকিৎসা নিবেন না। এতে করে আরো অন্য কোন সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে। 

নাকের সর্দি দূর সম্পর্কে আমার শেষ কথা 

নাকের সর্দি দূর সম্পর্কে আমার শেষ কথা হলো ইতিমধ্যে আপনি জেনেছেন সর্দি ভালো হওয়ার ট্যাবলেট কোনটা এবং নাক দিয়ে পানি পড়া ভালো করার উপায় সম্পর্কে। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটির ভিতর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো। সর্দির পরিমাণ যদি অল্প হয়ে থাকে তাহলে আপনি গরম পানি এবং আদা চা খেয়ে ভালো করতে পারবেন।

অথবা আপনার নাক বন্ধ হয়ে গেলে নাকের ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি আপনার সর্দির পরিমাণ বেশি হয় তাহলে দেরি না করে সরাসরি ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করবে। বুঝতে পারছেন আজকের মত আমি এখানেই শেষ করছি। আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।