কোরবানির ঈদ কবে বাংলাদেশ ২০২৫ - ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম
কোরবানির ঈদ কবে বাংলাদেশ ২০২৫ এবং ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানুন। ঈদ মানেই আনন্দ আর সেই আনন্দের জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকি। আবার অনেকে ভাগে কোরবানি দেওয়ার জন্য ঈদের সময় টা জেনে নেয়।
আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানতে পারবো ভাগে কোরবানি দিলে সেটা সঠিক হবে নাকি এবং ভাগে কোরবানি কিভাবে দিতে হয় সেই বিষয়ে। এছারাও আর জানতে পারবেন কোরবানি ঈদ কবে বাংলাদেশে হবে সেই সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ কোরবানির ঈদ কবে বাংলাদেশ ২০২৫ জানুন
- কোরবানির ঈদ কবে বাংলাদেশ ২০২৫
- ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম
- নবীজির নামে কোরবানিদেওয়া যাবে কি
- কোরবানির গোশত ভাগ করার নিয়ম
- কোন কোন পশু দিয়ে কোরবানি করা যায়
- কোরবানি সম্পর্কে আমার শেষ কথা
কোরবানির ঈদ কবে বাংলাদেশ ২০২৫
কোরবানির ঈদ কবে বাংলাদেশ ২০২৫ সালে সেই জানতে হলে আর্টিকেল টি শুরু থেকে শেষ পযন্ত পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি বাংলাদেশে কবে ঈদ হবে সেই বিষয়ে জানতে পারবেন। প্রিয় পাঠক ঈদের দিন মানে আমাদের একটি আনন্দের দিন। আমাদের ভিতর ছোট বড় অনেকেই ঈদের অপেক্ষায় থাকেন।
আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
ইতিপূর্ব রোজার ঈদ শেষ হয়ে গেছে এখন পালা কোরবানি ঈদে। কুরবানী ঈদ কবে হবে এবং কোন সময় হবে সেটি এখন জানব। বাংলাদেশে কোরবানি ঈদ হবে জুন মাসের ৬ তারিখে ২০২৫। এবং এই ঈদ পরের দিন পযন্ত চলতে থাকবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন বাংলাদেশে কবে এবং কত তারিখে আমাদের কোরবানি ঈদ পালন করতে হবে সেই সম্পর্কে।
ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম
ভাগে কোরবানি দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রায় মানষই অর্ধবৃত্ত রয়েছেন যার কারণে তাদের একা একা বড় ধরনের পশু কোরবানির দেওয়া সমর্থ্য নাই। তবে যারা ভাগে কুরবানী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাদের জন্য এই আলোচনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের অনুসারে ভাগে কুরবানী দেওয়া কি সঠিক নাকি ভুল সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়ে আজকে আলোচনা করব।
আরো পড়ুনঃ কাঁকরোল খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও ক্ষতিকারক দিক
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদেশ অনুযায়ী একটা উট ১০ জন মিলে ভাগে কোরবানি দিতে পারবেন। এর বেশি দিলে সেটা জায়েজ হবেনা। অন্যদিকে আপনি যদি ছাগল দিয়ে কুরবানী দিয়ে করতে চান তাহলে ছাগল একজনের দিতে হবে। ইসলামের অনুসারে একটি ছাগল একজনের বেশি দুইজন অংশীদারি হওয়া যাবেনা।
আর যদি আপনি গরু কিংবা মহিষ দিয়ে কোরবানি করতে চান তাহলে সর্বোচ্চ ৩ জন একটা গরুর অংশীদার হতে পারবেন। এর থেকে বেশি অংশীদার হলে সেটা শরীক হবেনা। পেপারটা উপরে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী আপনি যদি কোরবানি দেন তাহলে অবশ্যই সেটি সঠিক হবে।
নবীজির নামে কোরবানিদেওয়া যাবে কি
নবীজির নামে কোরবানি দেওয়া যাবে কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। যে ব্যাক্তির কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে তার নামে কুরবানী দেওয়া জায়েজ আছে। এছাড়াও আপনাদের পরিবারের ভিতর কোন ব্যক্তি বেঁচে থাকাকালীন যদি কোরবানি দেওয়ার ওছিয়ত করে মৃত্যুবরণ করেন। তাহলে ঐ মৃত ব্যক্তির সম্পদের এক তৃতীয়াংশ করবানি দেওয়া শরীক আছে। এবং সচরাচর আমরা এভাবে অনেকেই কোরবানি দিয়ে আসি।
কিন্তু আমাদের কি মনে আছে যে আমাদের নবী রয়েছে যার নামে কখনো কুরবানী দেওয়া হয় নাই। কোন ব্যক্তি যদি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামে কোরবানি দিয়ে থাকে সেই কুরবানী হবে সবচেয়ে সেরা একটি কোরবানি। প্রিয় পাঠক তাহলে বুঝতেই পারছি না আমরা যারা বেঁচে আছি বেঁচে থাকার কারণ অন্তত ও আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামে একটি বার হলেও কোরবানি দিবেন।
কোরবানির গোশত ভাগ করার নিয়ম
কোরবানির গোশত ভাগ করার নিয়ম আমাদের ভিতর অনেকেরই জানা নাই। আবার যারা নতুন নতুন কোরবানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাদের এই বিষয়ে জেনে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামিক নিয়ম অনুসারে কোরবানির পশুর গোশত তিন ভাগে ভাগ করার মোস্তাহাব বলেছেন। গোস্ত ভাগ করার সময় যদি একটু কম বেশি হয়ে থাকে এতে করে কোন সমস্যা হবে না। তবে চেষ্টা করতে হবে সমানভাবে ভাগ করার।
আরো পড়ুনঃ কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
এবার আসুন এই তিনভাগ গোশত কিভাবে এবং কোথায় দিতে হবে সেই সম্পর্কে জেনে নিন। ইসলামিক নিয়ম অনুসারে বলতে গেলে একভাগ গোশত গরিব মিসকিনদের দিতে হবে, আরেক ভাগ গোস্ত পাড়া প্রতিবেশী এবং আত্মীয়-স্বজনদের দিতে হবে। এবং বাকি যে একভাগ থাকবে সেটি নিজেদের মধ্যে নিতে হবে। কে পাঠক আশা করছি কোরবানি গোশত ভাগ করার নিয়ম বুঝতে পারছেন।
কোন কোন পশু দিয়ে কোরবানি করা যায়
কোন কোন পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় জেনে নিন। আমাদের ভিতর অনেকে আছেন যারা ভেবে থাকেন যে হালাল যেকোনো পশু কোরবানি দেওয়া যাবে সেটা ভুল ধারণা। আপনি যেই পশুগুলো দিয়ে কোরবানি দিতে পারবে সেই পশুগুলোর নাম হল গরু, ছাগল, মহিষ, উট, দুম্ব এবং ভেড়া। প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যে যে ছয়টি পশুর নাম বলে দেয়া হয়েছে সেই পশুগুলো দিয়ে আপনি কোরবানি দিলে সেটি জায়েজ হবে।
এছাড়াও আবার বড় বড় জায়গাতে অনেকেই হরিণ দিয়ে কোরবানি করে। যদিও হরিণ একটি হালাল খাবারের পশু। কিন্তু হরিণ ইসলাম অনুসারে কোরবানি দেওয়ার কথা উল্লেখ করা নেই। তাই যারা সঠিক এবং জায়েজ ভাবে কোরবানি দিতে চান তারা এই ছয়টি পশুর ভিতর কোরবানি দিবেন আশা করছি বুঝতে পারছেন।
কোরবানি সম্পর্কে আমার শেষ কথা
কোরবানি সম্পর্কে আমার শেষ কথা হলো ইতিমধ্যে আপনি জানতে পারছেন কোরবানির ঈদ কবে বাংলাদেশ ২০২৫ এবং কোরবানি দেওয়ার সকল নিয়ম কানুন। আপনি যদি সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে কুরবানী সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবেন আশা করছি। তবে এর ভিতরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি আমার কাছে মনে হয়েছে তা হলো। আমাদের ভিতর অনেকে আছে যারা কোরবানির গোশত সঠিকভাবে ভাগ করে না।
আবার অনেকেই আছে যারা নিজেদের নামে কোরবানি করে কিন্তু নবীর নামে কোরবানি করে না। তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলব। কোরবানির গোশত সঠিকভাবে ভাগ করবেন এবং আপনি বেঁচে থাকাকালীন অবশ্যই একবার হলেও হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামে কোরবানি দিবেন।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url