সিজারের পর বুকে দুধ না আসলে করনীয়
সিজারের পর বুকে দুধ না আসলে করনীয় কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। আমাদের ভিতর অনেকেরই এই সমস্যা হয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা নতুন সন্তান ধারন করছে তাদের আরো বেশি সমস্যা হয়ে থাকে। যেমন বুকে দুধ না আসার কারনে বিভিন্ন চিকিৎসা করতে হয়।
আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন সিজার করার পর যাদের বুকে দুধ শুকিয়ে যায় কিংবা বুকে দুধ আসা বন্ধ হয়ে যায় তারা কি করলে দুধ বেশি হবে সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
সূচিপত্রঃ সিজারের পর বুকে দুধ না আসলে করনীয় কি
- সিজারের পর বুকে দুধ না আসলে করনীয়
- বুকের দুধ না আসার কারণ
- কোন খাবার খেলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়
- সিজারের কতদিন পর বুকে দুধ আসে
- বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করণীয়
- কি খেলে বুকের দুধের পুষ্টি বাড়ে
- বুকের দুধ বৃদ্ধি সম্পর্কে আমার শেষ মতামত
সিজারের পর বুকে দুধ না আসলে করনীয়
সিজারের পর বুকে দুধ না আসলে করনীয় কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেল টি শুরু থেকে শেষ পযন্ত পড়তে থাকুন। বুকে দুধ না আসলে বাচ্চদের কে সঠিক ভাবে যত্ন নেওয়া যায়না তাই বুকে দুধ না আসলে যে কাজ গুলো করবেন তা হল।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি
- সুষম খাবার গ্রহণ করুন: যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, এবং ভিটামিন এ, এই খাবার গুলো নিয়মিত গ্রহণ করতে বুকে দুধ আসতে সাহায্য করবে।
- পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম: ঘুম কম হলে বুকের দুধ কম হয়ে যায়। তাই সিজার করার পর বেশি বেশি ঘুমাবেন এবং পানি পান করবেন নিয়মিত তাহলে বুকের দুধ খুব তারাতারি আসবে।
- সবজি: বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য পালং শাক খাবেন কাঁচা, এবং মেথি নিয়মিত গ্রহণ করবেন। এই খাবার গুলো বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য অনেক সাহায্য করবে।
- মানসিক চাপ এরিয়ে চলুন: সিজারের পর আমরা অনেক টেনশন করি যেমন কবে ঘা শুকাবে, কবে সঠিক ভাবে চলাফেরা করবো এমন চিন্ত ভাবনা করা যাবেনা।
- ডাক্তরের পরামর্শ: উপরে যেগুলো সুষুম খাবারের কথা বলা হয়েছে সে খাবারগুলো সঠিক নিয়মে খাওয়ার পরও যদি বুকে দুধ না আসে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
বুকের দুধ না আসার কারণ
সিজারের পর বুকে দুধ না আসার কারণ আমরা অনেকেই জানিনা। তাই একটা গর্ভবতী মায়ের সিজারের আগে এই জিনিসগুলো খেয়াল রাখতে হবে তাহলে সে বুঝতে পারবে যে কেন তার বুকে দুধ আসে না। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি কি সেই সমস্যাগুলো।
- সিজারের পর শরীরের বিভিন্ন রকম পরিবর্তন দেখা দেয়। যার ফলে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণ ঠিক থাকতে পারেনা এবং বুকের দুধ শুকিয়ে যায়।
- সিজারের পরপর মা এবং শিশু টানা কয়েকদিন আলাদা থাকে। যার কারণে মায়ের বুকের দুধ কমে যায়। এই জিনিসগুলো সবার লক্ষ্য রাখবেন।
- ডায়াবেটিস থাকা রোগীদের পেটে বাচ্চা গর্ভধারণ করার সময় যদি সিজার করতে হয় তাহলে বুকের দুধ উৎপাদন হয় না। এক্ষেত্রে বুকের দুধ কমে যেতে পারে।
কোন খাবার খেলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পায়
কোন খাবার খেলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য আমরা এমন কিছু খাবার খাব যে খাবারগুলো নিয়মিত গ্রহণ করলে বুকের দুধের কখনো অভাব হবে না। চলুন খাবারগুলো কি কি জেনে নেওয়া যাক।
- গাজর: খাঁচা গাজর খেলে যে পরিমাণ দুধ বৃদ্ধি পাবে তার থেকে বেশি দুধ বৃদ্ধি করার জন্য গাজরের জোস তৈরি করে খাবেন। গাজরের জুস নিয়মিত গ্রহণ করলে বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য প্রচুর পরিমাণ সাহায্য করবে।
- রসুন: প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে রসুন খেলে বুকের দুধ বৃদ্ধি পেলে সাহায্য করে। এছাড়াও তরকারির সাথে রান্না করে পর্যাপ্ত পরিমাণ রসুন গ্রহণ করতে পারবেন
সিজারের কতদিন পর বুকে দুধ আসে
সিজারের কতদিন পর বুকে দুধ আসে। যারা নতুন অবস্থায় সিজার করছেন তাদের এই বিষয়ে অনেকেরই ধারণা নাই। আবার অনেকেই আছেন যারা নতুন অবস্থায় স্বীকার করার পর বুকে দুধ না আসলে হতাশ হয়ে যান। এমনটা মোটেও হওয়া ঠিক নয়। নতুন অবস্থায় গর্ভবতী মা বাচ্চা পোষন করলে ৭ থেকে ১৪ দিন পরও বুকে দুধ আসতে পারে।
আরো পড়ুন ঃ সার্বিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার উপায় ও খরচ কত ২০২৫
যাদের হরমোনের সমস্যা নেই কিংবা শরীরের স্বাস্থ্য পর্যাপ্ত পরিমাণ রয়েছে তাদের খুব তাড়াতাড়ি বুকের দুধ আসতে পারবে। তবে সিজারের পর যে পরিস্থিতি থাকে সেই পরিস্থিতির সময় ধৈর্য ধরতে হবে। বুকের দুধ সবসময় রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সুসং খাবার গ্রহণ করতে হবে বিশেষ করে ফলমূল জাতীয় খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করা উচিত।
বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করণীয়
বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। অনেক শিশু আছে যারা ঠিকমতো মায়ের দুধ খেতে পারে না। এবং বেশি বেশি ছটফট করে। এমন পরিস্থিতিতে বাচ্চার মায়ের সব সময় নিরিবিলি পরিবেশে থাকতে হবে। বাচ্চাকে সবসময় নিজের স্বাধীনতা মত রাখতে হবে যাতে করে বাচ্চা সবসময় নিরিবিলি পরিবেশ উপভোগ করতে পারে।
একটা বাচ্চার শরীরে যখন বিরক্ত লাগে কিংবা সে নিজের ইচ্ছেতে কোন কিছু করতে পারেন না সেই সময় বাচ্চা মায়ের বুকের দুধ খেতে চাইনা। বাচ্চা বুকের দুধ খেতে না চাইলে তাড়াহুড়া করা যাবে না। এই সময় ধৈর্য ধরতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। যদি বাচ্চার মুখে রুচি কমে যায় সে ক্ষেত্রে অনেক সময় বাচ্চা মায়ের বুকের দুধ খেতে চায় না।
কি খেলে বুকের দুধের পুষ্টি বাড়ে
কি খেলে বুকের দুধের পুষ্টি বাড়ে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। বুকের দুধের পিস পুষ্টি বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ মিলি ক্যালরি শরীরে গ্রহণ করতে হবে। কেনরে বৃদ্ধি করার জন্য বেশি বেশি বাদাম মাছ মাংস এবং ডিম গ্রহণ করতে হবে। সেই সাথে শরীরে প্রথম বৃদ্ধি করার জন্য চিকিৎসা করতে হবে।
আরো পড়ুন ঃ গর্ভাবস্থায় টক খাওয়ার উপকারিতা
শরীরে কোন ধরনের ভিটামিনের অভাব থাকা যাবে না। দুধ উৎপাদন করার জন্য প্রোটিনের কার্যকারিতা বেশি। যত বেশি প্রোটিন আপনার শরীরে প্রবেশ করাতে পারবেন তত বেশি দুধ উৎপাদন হবে এবং পুষ্টিবিহিন হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন একজন মায়ের বুকের দুধ পুষ্টিকর রাখার জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ সুষম খাবার প্রবেশ করাতে হবে।
বুকের দুধ বৃদ্ধি সম্পর্কে আমার শেষ মতামত
কে পাঠাবে তোমার তো আপনি জানতে পারছেন সিজারের পর বুকের দুধ না আসলে করণীয় কি এবং বুকের দুধ বৃদ্ধি করার উপায় সম্পর্কে। সম্পন্ন আর্টিকেলের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো। প্রথম অবস্থায় একজন গর্ভবতী মা যখন বাচ্চা পোষণ করবে তখন বুকের দুধ আসতে সময় লাগবে এক্ষেত্রে আপনারা হতাশ হবেন না।
কমপক্ষে ৭ থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এরপর যদি দেখেন বুকে দুধ আসতেছেনা তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। এছাড়াও বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখে প্রোটিন এবং কাঁচা শাক সবজি। আশা করছি খুব সহজেই বুঝতে পারছেন, আজকের মত আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করছি।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url