বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়

বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনি কি আপনার চোখমুখের যদি ব্রণ নিয়ে চিন্তায় আছেন। অনেক ওষুধ খাচ্ছেন অথবা ব্রণ ভালো করার জন্য শত চেষ্টা করেও ব্রণ ভালো করতে পারছেন না। তাহলে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পযন্ত পড়তে থাকুন। শুধুমাত্র বরফ দিয়ে কিভাবে ব্রণ দূর করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

বরফ-দিয়ে-ব্রণ-দূর-করার-উপায়

বেশির ভাগ মানুষই এখন চোখমুখে ব্রণ বা কালো দাগের কারনে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। অনেক মানুষ অনেক রকমের পরামর্শ দিচ্ছে কিন্তু আপনার ব্রণ ভালো না হয়ে উল্টো আরো বেশি হয়ে যাচ্ছে। তাই আজ থেকে সবকিছু ব্যবহার করা বাদ দিয়ে দিন। আজকেই এই আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে জানতে পারবেন বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় গুলো।

সূচিপত্রঃ বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত 

বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়

বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় জনুন। আপনি নিশ্চয়ই বরফ দিয়ে কিভাবে ব্রণ ভালো করবেন সে সম্পর্কে আইডিয়া নেওয়ার জন্য এই পোস্ট পড়াতে এসেছেন। হ্যা আপনি ঠিক জায়গায় এসেছেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়লে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে বরফ দিয়ে ভালো করবেন ব্রণ। এবং কিভাবে ব্যবহার করবেন বা বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়। 

আরো পড়ুন ঃ ছেলেদের মুখে ব্রণ দূর করার উপায়

আপনার বাসায় যদি ফ্রিজ থাকে তাহলে আপনি পরিষ্কার পানি নিয়ে একটি পট বা পাতিলে রাখবেন। অবশ্যই পানি গুলো টিউবওয়েল তাজা পানি হতে হবে। সেটা ফ্রিজে রেখে বরফ করে নিবেন। তারপর শুকনো নরম সুতির কাপরের টুকরো নিবেন। সেই কাপরের ভিতরে আপনার বানানে বরফ পেঁচিয়ে নিবেন। এরপর আপনার চলের যেখানে যেখানো ব্রণ হয়েছে সেখানে ওই বরফ সহ কাপরের টুকরে ঠেসে ধরে রাখুন। 

২০ মিনিটের মতো ধরে রেখে সেটা ফেলে দিয়ে দিবেন। তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিবেন।এভাবে আপনি দিনে দুইবার ব্যবহার করবেন। সকালক ঘুম থেকে উঠে একবার। আর রাতে ঘুমানোর আগে একবার। সঠিক নিয়ম মত যদি আপনি টানা ২০ থেকে ৩০ দিন বরফ ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ব্রণ এর কতটা পরিবর্তন এসেছে বুঝতে পারবেন।

ব্রণ দূর করার জন্য বরফের ব্যবহার

আপনি যদি বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করতে চান তাহলে আপনার আগে ব্রণ দূর করার জন্য বরফের ব্যবহার জানতে হবে। সঠিক মতো ব্যবহার করতে না পারলে ব্রণ ভালো হবেনা আপনার। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে জেনে নেয় ব্রণ দূর করার জন্য বরফের ব্যবহার সম্পর্কে। আপনি বাহিরে বা মাঠে সারাদিন কাজ করেন। আপনার ত্বকে অনেক ময়লা জমাট হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় আপনি বাহিরে রোদের ভিতর কোথাও ঘুরতে গেলেন ওই সময় আপনার ত্বকে অনেক ময়লা লেগে থাকে।

আরো পড়ুন ঃ নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি - ব্রুন দূর করতে নিম পাতা ব্যবহার

আপনি বাসায় এসে চোখমুখ সঠিক ভাবে পরিষ্কার না করেই ঘুমিয়ে যান এটা করা যাবেনা। বাহিরে কোথাও গেলে আপনার ত্বকে যে ময়লা টা জমাট হবে সেটা সাথে সাথে বাসায় এসে পরিষ্কার করবেন। এখন হয়তে আপনি জানতে চান যে কিভাবে পরিষ্কার করবো। পানি দিয়ে বানানো যে বরফ আছে সেটা বানিয়ে রাখবেন সব সময়। সেই বরফ চোখমুখে লাগিয়ে ঘুষবেন তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুবেন। অথবা আপনি চাইলে বরফের পানি দিয়েও চোখমুখ পরিষ্কার করতে পারেন।

ব্রণ কেন হয় 

অনেক মানুষ ব্রণ এর সমস্যায় ভুগে। কিন্তু এই ব্রণ কি কারনে হয় বা কোন সমস্যার কারনে হয় এসব হয়তো অনেকেই জানেন না। তাহলে চলুন আজ এই পর্বতে ব্রণ কিভাবে হয় সেই সম্পর্কে আলোচনা করবো। ব্রণ মূলত অনেক সমস্যার কারনে হয়ে থাকে। যেমন ত্বকের তৈলাক্ত থাকার কারনে, হরমোনের সমস্যা থাকার জন্য, শরীরের যত্ন না নেওয়া কারনে। ব্রণ এর সমস্যা থেকে দূরে থাকার জন্য চোখমুখের তৈলাক্ত দূর করতে হবে। 

আরো পড়ুন ঃ ৭ দিনে চিকন হওয়ার উপায়

চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা। নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করতে হবে। পানি খেতে হবে বেশি বেশি। ময়লা আবর্জনার ভিতর যাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। শরীরকে সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। অতিরিক্ত রাত জেগে কোনো কাজ করা যাবেনা। নিয়মিত ঘুমাতে হবে টেনশন মুক্ত থাকতে হবে সব সময়। তাহলে আপনার ব্রণ হওয়ার সম্ভবনা খুব কম থাকবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন ব্রণ কেনো এবং কি কারনে হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে। 

চোখ-মুখের তৈলাক্ত দূর করা খাবার

বেশির ভাব মানুষেরই মুখে তৈলাক্ত ভাব হয়। যেটা মানুষের জন্য অনেক বিরক্তকর কারন হয়ে দারাই। এই পর্বতে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। এমন কিছু খাবার আছে যা আপনার চোখমুখের তৈলাক্ত দূর করবে। 

  • আপেল খাবেন নিয়মিত। প্রতিদিন যদি ২ টি করে আপেল খান তাহলে আপনার চোখমুখে তৈলাক্ত দূর করতে পারবেন।

  • তরমুজ খাবেন যদিও সব সময় তরমুজ পাওয়া যায়না বাজারে তবে যতটুকু পারবেন বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারন তরমুজ চোখমুখের তৈলাক্ত দূর করতে অনেক সাহায্য করবে। 

  • সবুজ শাক খাওয়ার ফলে আপনার ত্বক কে তৈলাক্ত ভাব দূর করে উজ্জল করে তুলবে। প্রতিদিন দুইবার করে সবুজ শাক খান। ভাত খাওয়ার সময় খেতে পারেন বা শুধু শাক খেতে পারেন।

  • আখরোট খাবেন নিয়মিত। বাজারে সব সময় পাওয়া যায় আখরোট। এটি শুধু শরীরের জন্য উপকারি না আপনার ত্বক কে উজ্জল করে দিতে পারে এবং আপনার ত্বকে তৈলাক্ত দূর করতে ভূমিকা রাখবে। 
চোখ-মুখের-তৈলাক্ত-দূর-করা-খাবার

এই খাবার গুলো নিয়মিত খেয়ে দেখতে পারেন। আপনার হয়তো মনে হতে পারে যে এতগুলো খাবারের মধ্যে যেকোনো একটা নিয়মিত খাইলে কি কাজ হবে। একটা খেলে তৈলাক্ত দূর করবে কিন্তু পুরোপুরি সেরে উঠতে পারবেন না। তাই চেষ্টা করবেন যেতগুলো খাবারের নাম বলা হয়েছে সব গুলো খাবার। টানা ১ মাস যদি এই খাবার গুলো খান ইনশাআল্লাহ আপনার তৈলাক্ত ত্বক দূর করতে সহ্মম হবে। 

ঘরোয়া উপায়ে ব্রণ দূর করা

ঘরোয়া উপায়ে ব্রণ দূর করা টিপস জানুন। সর্বপ্রথমে শরীরের যত্ন নিতে হবে। যাদের মুখে একটু বেশি ব্রণ হয়ছে তারা বাহিরে খুম কম বাড়ান। রোদ থেকে দূরে থাকবেন। বাহিরে থেকে এসেই চোখমুখ পরিষ্কার করবেন। প্রতিদিন ৫-৭ বার করে চোখমুখ পরিষ্কার করতে হবে। নিয়মিন গোসল করতে হবে। খাবার ঠিক মতো খেতে হবে। তেতুল বা টক জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকবেন।

মিষ্টি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকবেন। পানি খাবেন প্রতিদিন ৫-৭ লিটার করে। ঘুমাতে হবে নিয়মিত। রাত ১০ টার ভিতর ঘুমাতে হবে। খাবারের ভিতর শুধুমাত্র ফলমূল জাতীয় খাবার একটু বেশি খাবেন। প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ঘুমাবেন।  দিনে যদি কাজ থাকে তাহলে দিনে ঘুমানের প্রয়োজন নাই রাতে ভালো করে ঘুমাবেন। 

আর যাদের কোনো কাজ থাকেনা সারাদিন ঘুমিয়ে রাতে কাজ করেন আড্ডা দেন এসব থেকে দূরে থাকবেন। বরফের পানি দিয়ে পরিষ্কার করবেন মুখ তাহলে আপনার ত্বক ভালো থাকবে। এই গুলো নিয়ম মেনে চলতে পারলে আপনার ব্রণ এর জন্য কোনো ওষুধ খেতে হবেনা। এমনি এমনি ভালো হয়ে যাবে ব্রণ। আশা করছি বুঝতে পারছেন কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে ভালো করবেন ব্রণ সেই সম্পর্কে। 

বরফ ব্যবহার করা ত্বকের জন্য কতটা উপকারি

ইতিমধ্যে বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। তাহলে এবার জানা দরকার বরফ ব্যবহার করা ভালো হবে নাকি খারাপ হবে। এবং বরফ ব্যবহার করা ত্বকের জন্য কতটা উপকারি সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেয় বিস্তারিত আলোচনা। বরফ ব্যবহার করলে ত্বকের জন্য কোনো হ্মতি হবেনা। যেকোনো মানুষ চাইলে বরফ ব্যবহার করতে পারেন। বরফ ত্বকের জন্য অনেক উপকারি। 

আরো পড়ুন ঃ ইতালি ভিসা আবেদন ফরম 2024 - ইতালি ভিসার আবেদন করার নিয়ম

কিন্তু আপনি যেই পানি দিয়ে তৈরি করবেন সেই পানিটি অবশ্যই পরিষ্কার হতে হবে। দূষিত পানি বা ময়লা আবর্জনা থাকা পানি দিয়ে বরফ তৈরি করা যাবে না। যদি আপনি পরিষ্কার পানি দিয়ে বরফ তৈরি করে প্রতিদিন আপনার চোখমুখে ব্যবহার করেন আপনার ত্বক নরম থাকবে। প্রতিদিন সকালে থেকে উঠে বরফ দিয়ে চোখমুখ পরিষ্কার করবেন। আপনি বাহিরে যাওয়ার ফলে আপনার চোখমুখে দূষিত জীবাণু থাকে। সাধারন পানি দিয়ে চোখ মুখ পরিষ্কার করলে যতটা জীবাণু দূর হবে তার থেকে বেশি জীবানু দূর হবে বরফ দিয়ে চোখ মুখ পরিষ্কার করলে। 

গ্রীন টি বরফ ব্যবহারে ব্রণ দূর 

মানুষের শরীরের জন্য গ্রীন টি বরফ ব্যবহার করা অনেক উপকারি। পাশাপাশি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। কিন্তু আমরা আপনি কি জানিনা গ্রিন টি বরফ ব্যবহারের ফলে ব্রণ দূর করা যায়। এবার জেনে নিন গ্রিন টি বরফ কিভাবে ব্যবহার আপনার চোখ মুখের ব্রণ দূর করবেন। গ্রীন টি মূলত কিনে পাওয়া যায়। সেটি দিয়ে পানির সাথে মিশিয়ে নিবেন। পরিষ্কার এক গ্লাস পানি নিয়ে মিশাবেন। এরপর সেটি ফ্রিজে রেখে বরফ জমিয়ে নিবেন।

গ্রীন-টি-বরফ-ব্যবহারে-ব্রণ-দূর

ফ্রিজে রেখে বড় হওয়ার পরে সেটি সরাসরি আপনার চোখ মুখে দিয়ে ঠেসে ধরে রাখবেন। ১৫-২০ মিনিট দূরে রাখার পর চোখ মুখ মুছে ফেলুন নরম কাপড়  দিয়ে। আপনার চোখমুখ যদি ব্রণ থাকার কারণে ব্যথা হয়ে থাকে সে ব্যথা দূর করবে পাশাপাশি ব্রণ কে শুকিয়ে দিবে। এভাবে আপনি টানা একমাস ব্যবহার করুন তাহলে আপনার ব্রণ কতটুক কমছে এবং আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা কতখানি বাড়ছে সেটা বুঝতে পারবেন। 

আমাদের শেষ মন্তব্য 

এতক্ষণ আপনারা যা জানলেন তা হলো।কিভাবে ব্রণ দূর করবেন, বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়, ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়, নিয়মিত খাবারের ফলে চোখ মুখের তৈলাক্ত দূর করা। এবং বরফ ব্যবহার করলে আপনার কতটুকু উপকার হবে সেই সম্পর্কে জেনেছেন। এখন আমার মতামত হলো। যাদের মুখে ব্রণ নিয়ে চিন্তায় আছেন তারা নিয়মিত ঘুমাবেন আপনি যদি সব নিয়ম মেনে ঘুম না আসেন তাহলে আপনার ব্রণ কোনদিন ভালো হবে না।

এজন্য সব চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়ার আগে ঘুমাবেন তারপর ব্রণ ভালো না হইলে পরামর্শ নিতে যাবেন ডাক্তারের কাছে। এর মত আরেকটি কারণ হচ্ছে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত যতটা তাড়াতাড়ি পারেন দূর করবেন। ত্বকের তৈলাক্ত থাকার কারণে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য কোন ক্রিম বা অনলাইনে কোন কিছু নিয়ে ব্যবহার করবেন না। 

নিয়মিত বরফ ব্যবহার করুন। তারপর কাজ না হলে সরাসরি ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিন আশা করছি আপনার ব্রণ অতি তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে। আজকের মত আমি এখানেই শেষ করছি। এই পোস্ট পড়ে আপনি কতটা উপকৃত হয়েছেন তা কমেন্ট করে জানিয়ে দিন।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :

comment url