বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়। বাচ্চদের বমি হলে তাদের মায়েরা চেষ্টা করে ঘরোয়া উপায়ে বমি বন্ধ করতে। কারন বাচ্চদের কে বেশি বেশি ডাক্তর এর থেকে চিকিৎসা করলে সমস্যা হতে পারে। তাই আমি আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো বাচ্চদের বমি হলে করণীয় কি।

বাচ্চাদের-বমি-বন্ধ-করার-ঘরোয়া-উপায়

তাহলে চলুন শুরু করা যাক বাচ্চদের বমি কেন হয়। অতিরিক্ত বমি তলে তাদের কোন কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং বাচ্চদের বমি বন্ধ হওয়ার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তরিত জানতে আর্টিকেল টি শুরু থেকে শেষ পযন্ত পড়তে থাকুন।

সূচিপত্রঃবাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় জানুন

বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়

বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন। ছোট বাচ্চাদের যদি অল্প বমি হয় তাহলে সেটা তাদের শরীরের উপকারের জন্য হয়। যদি দেখেন অতিরিক্ত পরিমাণ বমি হচ্ছে এবং বমি দীর্ঘ সময় ধরে হচ্ছে। এ ধরনের সমস্যা অনেক ক্ষতিকর। যখন দেখবেন বমি হচ্ছে বমি হওয়ার পরপর ওর স্যালাইন খাইয়ে দিবেন। 

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি - শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

কারণ বাচ্চাদের বমি হওয়ার পর শরীর দুর্বল হয়ে যায়। শরীরে কোন রকম শক্তি পায় না এবং পানি শূন্যতার দেখা দেয়। শরীরকে নিয়ন্ত্রণ এবং পানি শূন্যতার ঘাটতি পূরণ করার জন্য ওর স্যালাইন অনেক উপকারী একটি খাবার। এছাড়াও আরো কিছু খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো হল :

  • আদা পানি: বাচ্চাদের বমি হওয়ার পর আদা দিয়ে গরম পানি করে খাওয়ালে বমি হওয়া ভালো হয়ে যাবে। পানি ছাড়াও যদি খালি আদা খেতে পারেন তাও হবে।

  • লবণ ও দারুচিনি: বাচ্চাদের বমি ভালো করার অনেক উপকারী একটি খাবার এটি। যদি দেখেন প্রথমে একবারেই বাচ্চা অতিরিক্ত বমি করতেছে।  বমি করা শেষ হওয়ার সাথে সাথে লবণ এবং দারুচিনি খাওয়াবেন। তাহলে পরবর্তীতে বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। 

  • বাচ্চার বমি হওয়ার পরে আপনি যদি কোন খাবার না পান তাহলে শুধু পানি খাওয়াবেন বেশি করে। পানি খাওয়ার পরে বাচ্চাদের বমির লক্ষণ দেখা দেওয়া সম্ভাবনা থাকে না। 

বাচ্চদের বমি হওয়ার কারন

বাচ্চদের বমি হওয়ার মূল কারন হচ্ছে হজমের সমস্যা। কিংবা একটা শিশু যখন মায়ের দুধ খায় সেই সময় মুখে কোন রকম বাতাস প্রবেশ করলেই তাদের বমি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। 

এজন্য প্রতিটা মায়েদের উচিত শিশু যে পরিমাণ খাবার গ্রহণ করতে পারবে এবং সে যখন খুদা লেগে খাবার চাইবে তখন তাকে খাবার দেওয়া। আপনি যখন তাকে জোর করে খাওয়াতে যাবেন তখন সে খাবারগুলো হজম হতে পারেনা ফলে বমি হওয়া শুরু করে। 

এছাড়া এমন কোন খাবার রয়েছে যেগুলো খাবার বাচ্চাদের জন্য খাওয়া ঠিক নয়। যেমন ভাজাপোড়া কিংবা অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার। এগুলো খাবার অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না যদি বাচ্চা খেতে চায় তাহলে অল্প পরিমাণ খাওয়াবেন। 

বমি হলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত 

বমি হওয়ার পর যদি আপনি সঠিক পরিমাণ খাবার গ্রহণ করতে পারেন তবে আপনার বমি ভালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ বেশিরভাগ সময় বমি হয় খাবার সমস্যার কারণে। এজন্য বমি হওয়ার পর যেগুলো খাবার খেলে বমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না তা হল :

  • ফলমূল জাতীয় খাবার যেমন আপেল, কমলা, কলা, এছাড়া আর অন্যান্য ফল রয়েছে যেগুলো খাবার বমি হওয়া শেষ হলে খাবেন। 

  • শিশু যখন বমি করবে তখন আপনি বোতলের দুধ খাওয়াবেন। একবার বেশি করে খাওয়ানো যাবে না। অল্প অল্প করে বারবার খাওয়াবেন। 

  • বমি শেষ হলে শুকনো খাবার এবং শক্ত জাতীয় খাবার খাবেন। যাতে খাবারগুলো আপনি চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন। খাবার  খাওয়া শেষ হলে পানির পরিমাণ বেশি খাবেন।

  • বাচ্চাদের বমি হলে ভাত খাওয়াতে পারেন। বমি হলে  বাচ্চাদের শক্তি কমে যায়, শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য ভাত খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। 

হঠাত বাচ্চার বমি হলে করণীয় 

বাচ্চার যখন হঠাৎ করে বমি হয় তখন মায়েদের চিন্তা হয়। তারা কি করবেন না করবে এমনটাই হতাশা হয়ে পড়ে যান। বাচ্চার বমি হলে মায়েদের হতাশ হওয়া মোটেও ঠিক হবে না কারণ। বাচ্চাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ যত্ন নিতে হবে। 

বমি হওয়ার পর পর তরল খাবারগুলো খাওয়াতে হবে। কারণ একটা শিশু যখন হঠাৎ করে বমি করে তখন সে নিজেও ক্লান্তি হয়ে যাই। আশা করছি খুব সহজে বুঝতে পারছেন বাচ্চাদের বমি হলে মায়েদের করণীয় কি সে সম্পর্কে। 

বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ট্যাবলেট

বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার জন্য অনেক মানুষ অনেক রকমের ওষুধ খেয়ে থাকে কিন্তু কোন কোন ওষুধ কাজে লাগে, আবার কোন কোন ওষুধ ক্ষতি করে যুক্ত হয়। এজন্য আপনার আগে জেনে নেওয়া উচিত যে কোন ওষুধ বমি ভালো হওয়ার জন্য কাজে লাগবে। সঠিকভাবে জানার পরে যদি আপনি সেই ওষুধ খাওয়ান তাহলে খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। 

দ্রুত বমি ভালো হওয়ার একটি ট্যাবলেট এর নাম হলো ডমপেরিডন ১০ মিলিগ্রাম। এই ট্যাবটেল বমি ভালো হওয়ার পাশাপাশি ব্যথা ভালো করে। দিনে দুইবার করে খাওয়ার নিয়ম বাচ্চাদের। আর যদি বয়স্ক মানুষ খেতে চায় তাহলে দিনে তিনবার খেতে হবে। বমি ভালো হওয়ার পরও খেতে থাকতে হবে দুই তিন দিন। যাতে করে পরবর্তীতে আর বমি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে। 

বাচ্চাদের বমি সম্পর্কে আমার শেষ কথা 

ইতিমধ্যে আপনি জেনেছেন বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়। এবং বাচ্চার বমি হলে কি কি করণীয় করা উচিত মায়েদের। এখানে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হল বাচ্চাদের বমি হলে। শক্ত কোন খাবার দেওয়া উচিত এবং পানি খাওয়া উচিত। শিশুদের জন্য অতিরিক্ত ডাক্তার দেখানো বা চিকিৎসা করা মোটেও ঠিক হবে না। 

আর বমি হওয়ার আগে যে সতর্ক তা হল শিশুদের পরিমাণে খেতে পারবে তার থেকে বেশি জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না। বাচ্চাদের বমি হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে রয়েছে কোন খাবার খেয়ে হজমের সমস্যা। বিশেষ করে বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর সময় যাতে করে কোন বাতাস প্রবেশ না হয় সাবধানে খাওয়াবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :

comment url