বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে - বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায় জেনে নিন
বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে এবং বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়, এমন প্রশ্ন অনেকের কাছে ইকরেন কিন্তু তারা বলতে পারেনা। তাই আপনার জন্য আজকের এই আর্টিকেল টি নিয়ে এসেছি। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি জানতে পারবেন বিসিএস পরিহ্মা দিতে হলে কত পয়েন্ট লাগে কিভাবে বিসিএস পরিহ্মা দেওয়া যায় সকল বিষয়ে বিস্তারিত।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক। প্রতিটি মানুষের সপ্ন বিসিএস ক্যাডার হওয়ার। কিন্তু অনেকেই নামবার কম থাকার কারনে আবার বিভিন্ন ভুলের কারনে বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারেন। বিসিএস পরীক্ষা দিতে হলে যে ভুল গুলো করা যাবেনা এবং বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে সেই সম্পর্কে জেনে নিন।
সূচিপত্রঃ বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে জেনে নিন
- বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে
- বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়
- BCS পরীক্ষা দিতে কি কি যোগ্যতা লাগে
- বিসিএস পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক
- ডিগ্রি পড়ে কি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যায়
- বাংলাদেশে বিসিএস ক্যাডারের বেতন কত
- বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয়
- বিসিএস পরীক্ষার বিষয় গুলো কি কি
- লিখিত বিসিএস পরীক্ষা কত দিন হয়
- বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে আমার শেষ কথা
বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে
বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে জানুন। বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো পয়েন্ট বা জিপিএ পয়েন্ট এর প্রয়োজন হয়না। তবে কিছু যোগ্যতা লাগবে। কারন বিসিএস পরীক্ষা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভস পরীক্ষা।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি - শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
মানে আপনি যে বিষয়ে বিসিএস পরীক্ষা দিবেন সেই বিষয়ে যোগ্যতা থাকা লাগবে। তাহলে আপনি বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন। যোগ্যতা না থাকলে আপনি যতই ভালো রেজাল্ট করেন না কেনো পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন না।
বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য স্নাতক ডিগ্রিতে আপনি সর্বনিম্ন ২ পয়েন্ট পেয়ে থাকলেও বিসিএস পরীক্ষাতে আবেদন করতে পারবেন। প্রিয় পাঠক অতঃপর জানতে পারলেন বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পড়াশোনার বাহিরেও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে আপনি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়
যারা নতুন নতুন বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নিচ্ছে তারা অনেকের কাছে প্রশ্ন করে থাকেন যে বিসিএস পরীক্ষা কতবার দেওয়া যায়। কারন তারা চিন্তা করে বিসিএস পরীক্ষায় প্রথমবার ফেল করলে পরে আর দেওয়া যায় নাকি।
প্রিয় পাঠক বিসিএস পরীক্ষা সর্বচ্চো ৩ বার দিতে পারবেন। তাই যারা প্রথমবার ফেল করেছেন তারা দ্বিতীয় বার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত নিবেন। এছারা কেও যদি এমন চিন্তা করেন থাকেন যে প্রথমবার পরীক্ষা দেওয়ার পর ফেল হলে কয়েক বছর পর আবার দিবেন।
সেটা দেওয়ার যাবে। তবে আপনার বসয় সীমা ২১ বছর থেকে ৩০ বছরের ভিতর হতে হবে। অতীত কালীন মুক্তিযুদ্ধের কোটা থাকার জন্য তাদের বসয় সীমা ৩২ বছর পযন্ত করা হয়েছিল। সাধারন ব্যক্তি হিসেবে যে কেউ ৩০ বছরের আগ পর্যন্ত ৩ বার বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন।
BCS পরীক্ষা দিতে কি কি যোগ্যতা লাগে
বিসিএস পরীক্ষা দিতে যেই যোগ্যতা লাগবে তা হল: উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ৪ বছর পড়ে অনার্স কমপ্লিট করতে হবে। তাহলে আপনি বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবেন। অনার্স পরীক্ষায় ৪ বছরের বেশি অর্থাৎ একাধিক বার সেম ইয়ারে থাকলে মাস্টার্স পাস করতে হবে।
তারপর বিসিএস পরীক্ষায় আবেদন লরতে পারবেন। অন্যদিকে SSC বা HSC পড়াকালীন একই ক্লাসে একাধিক বার থাকা কিংবা বার বার ফেল করলে বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্য হবেনা বলে বিবেচনা করা হয়েছে।
বিসিএস পরীক্ষার গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক
আপনি যদি বিসিএস পরীক্ষা দিতে যান তাহলে অবশ্যই আপনার যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে তা নিচে পয়েন্ট আকারে দেওয়া হয়েছে।
- শিক্ষার্থীর যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে
- আপনি যে বিষয়ে বিসিএস পরীক্ষা দিতে চাচ্ছেন সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট ডিগ্রি থাকতে হবে।
- ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে
- একজন সাধারণ শিক্ষার্থী ২১ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বিশেষ পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
- বাংলাদেশের বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- বিসিএস পরীক্ষা দিতে হলে শারীরিক যোগ্যতা সঠিক থাকতে হবে।
- ছেলেদের ক্ষেত্রে ৫ ফুটের বেশি লম্বা থাকতে হবে এবং ৫৬ কেজি ওজন হতে হবে।
- মেয়েদের ফুট ৮ ইঞ্চি লম্বা এবং ৪৯ কেজি ওজন থাকতে হবে।
ডিগ্রি পড়ে কি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যায়
ডিগ্রি পাস করার পর আপনি সরাসরি বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন না। ডিগ্রি পাস করার পর মাস্টার্স দুই বছর প্রিলিমিনারি দুই বছর মোট চার বছর সম্পূর্ণ শেষ করতে পারলে, আপনি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্য হবেন বলে বিবেচনা করা হয়েছে।
তাই যারা ডিগ্রি পাস করার পর বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তাদের জন্য আমি বলব ডিগ্রিতে ভর্তি না হয়ে সরাসরি অনার্স করুন। এতে করে আপনার সময় কম লাগবে। প্রিয় পাঠক আশা করি বুঝতে পেরেছেন ডিগ্রী পাস করার পর বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যাবে কিনা সে সম্পর্কে।
বাংলাদেশে বিসিএস ক্যাডারের বেতন কত
বাংলাদেশে বিসিএস ক্যাডারের বেতন কত হয় জেনে নিন। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে নতুন করে ২৮ তম থেকে ৪২ তম পযন্ত ২৬৯ জন নিয়োগ দিয়েছে ক্যাডার পদে।
১৪ আগস্ট বুধবার বিসিএস ক্যাডারের বেতন জারি করা হয়েছে ২২ হাজার থেকে ৫৩০৬০ হাজার টাকা। এই ক্যাডারদের শিহ্মানবিশ হিসেবে ২ বছর কাজ করতে হবেন। কারন সর্বোচ্চ দুই বছর পযন্ত মেয়াদ বাড়াতে পারবে সরকার।
বিসিএস পরীক্ষা কত বছর পর পর হয়
বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত বছর পর পর হয় এ বিষয়টি জানার জন্য অনেকেই ইউটিউব গুগলে সার্চ করে থাকেন। এজন্য আজকে আমি এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। বিসিএস পরীক্ষা বছরে দুইবার হয়। তবে কখন হয় সেটা প্রার্থীদের ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি প্রথমবার প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিয়ে থাকেন তাহলে পরের বছর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও বিসিএস পরীক্ষা বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে কবে এবং কখন পরীক্ষা হবে সেই সম্পর্কে। কারণ এই নিয়মগুলো সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী প্রদান করা হয়। আপনি যদি বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে নতুন আপডেট পেতে চান। তাহলে সরকারি কর্ম কমিশন এর ওয়েবসাইটে লক্ষ্য রাখবেন।
বিসিএস পরীক্ষার বিষয় গুলো কি কি
বাংলাদেশের বিসিএস পরীক্ষা এবং সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেকটি ধাপে প্রত্যেক রকমের সাবজেক্ট রয়েছে। তার ভিতর প্রধান যে দুটি ধাপ তা হল প্রিলিমিনারি এবং লিখিত। এবং বিসিএস পরীক্ষার নির্দিষ্ট যে সাবজেক্ট গুলো রয়েছে তা হল
- বাংলা ভাষা ও সাহিত্য
- ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য
- ভূগোল ও পরিবেশ
- সাধারণ বিজ্ঞান
- বাংলাদেশ বিষয়াবলী
- আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
- কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
- মানসিক দক্ষতা
- গাণিতিক যুক্তি
- নৈতিকতা মূল্যবোধ ও সুশাসন
এই সাবজেক্টগুলো ছাড়াও অন্যান্য সাবজেক্ট আছে। আপনি যে বিষয়ে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন সেই বিষয়ের উপর আরো সাবজেক্ট থাকতে পারে।
লিখিত বিসিএস পরীক্ষা কত দিন হয়
লিখিত বিসিএস পরীক্ষার সময় মূলত সাবজেটের উপর নির্ভর করে। কারণ বিভিন্ন সাবজেটে বিভিন্ন সময় দেওয়া থাকে। তবে ধারণা করে বলা যায় ১ থেকে ২০ দিনের ভিতর বিসিএস পরীক্ষা শেষ করতে সময় লাগে। প্রতিবছর একই রকম সময় থাকে না।
তাই আপনি যে সময় বিসিএস পরীক্ষা দিতে যাবেন সেই সময়ের ব্যবধান গুলো দেখে নিতে হবে। এবং আপনি যদি সঠিক নিয়ম এবং সঠিক তথ্যগুলি পেতে চান সরকারি কর্মকমিশনের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন।
বিসিএস পরীক্ষা সম্পর্কে আমার শেষ কথা
ইতিমধ্যে আপনি জেনেছেন বিসিএস পরীক্ষা দিতে কত পয়েন্ট লাগে। এবং কত বছর বয়স পর্যন্ত বিসিএস পরীক্ষা দেওয়া যায় সেই সাথে কি কি যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। সম্পূর্ণ আর্টিকেলের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হল। আপনি যদি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর সরাসরি অনার্সে ভর্তি হবে।
তাহলে বিশেষ পরীক্ষা দেওয়া তাদের কাছে সহজে মনে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি শারীরিক দিকগুলো সঠিক নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করবেন। তাহলে আশা করা যায় আপনি খুব সহজে বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আজকের মত আমি এখানেই শেষ করছি। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে এবং কতটা উপকৃত পেয়েছেন তা জানিয়ে দিবেন।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url