কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ - কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ এবং কোমরের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়। বর্তমান সময়ে সব থেকে কমন একটি জিনিস কোমর ব্যথা। যেটা প্রায় মানুষেরই হয়ে থাকে। সঠিক চিকিৎসা করতে না পারার জন্য তারা কোমর ব্যাথা ভালো করতে পারে না। আজকের এই আর্টিকেলে জানাবো কোমর ব্যথা ভালো করার উপায়।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক। একটা মানুষের কোন কোন কারণ এবং লক্ষণের জন্য কোমর ব্যথা হয়। দীর্ঘ সময় ধরে কোমর ব্যথা হয়ে থাকলে সেটি অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে যাই। এজন্য আপনার উচিত কোমর ব্যাথা হয়ে থাকলে খুব দ্রুত ভালো করা। এবং কোমর ব্যথা কিসের লক্ষণ হয় বিস্তারিত জেনে নিন।
সূচিপত্রঃ কোমর ব্যথা কিসের লহ্মন জেনে নিন
- কোমর ব্যথা কিসের লহ্মন
- কোমর ব্যথা কোমানোর ঘরোয়া উপায়
- কোমরে ব্যথা হলে কি কি হ্মতি হয়
- কি খেলে কোমরের ব্যথা কমে
- মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ এবং প্রতিকার
- অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ
- কোমরের ব্যথা ভালো করার সঠিক উপায়
- কোমার ব্যাথা সম্পর্কে আমার শেষ কথা
কোমর ব্যথা কিসের লহ্মন
কোমরের ব্যথার লক্ষণ বিভিন্ন কারণে দেখা দিতে পারে। যেমন উঁচু থেকে পড়ে যাওয়া, শরীরের মেরুদন্ডের সমস্যা হলে কোমরের ব্যথা হয়। এবং শরীর সদস্য সঠিক মতো না করার কারণে ও কোমরে ব্যথা হয়। কোথার থেকে পড়ে যে যদি কোমরে ব্যথা হয়ে চোট পড়ে তাহলে সেই ব্যথা ৮ থেকে ১০ দিনের ভিতর ভালো হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি - শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
বিশেষ করে যাদের মেরুদন্ডের সমস্যার কারণে কোমরে ব্যথা হয় তাদের ব্যথা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। আবার কারো কারো অস্টিয়োপোরোসিসের মত রোগ থেকে কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে। এ ধরনের ব্যথা অনেক মারাত্মক ব্যথা। যেটা পরবর্তীতে বড় ধরনের কোন সমস্যাতে যুক্ত হতে পারে।
কোমর ব্যথা কোমানোর ঘরোয়া উপায়
হঠাৎ করে কোমরে ব্যথা শুরু হলে সাথে সাথে ঔষধ পাওয়া যায় না। এই কারণে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে কোমরের ব্যথা কমাতে পারবেন। আপনার বাসায় যদি আদা থাকে আদা মাঝ খানে কেটে দুইভাগ করে লাগিয়ে দিবেন। কোমরের যেখানে ব্যথা সেখানে। কোমর ব্যথা ভালো করার জন্য অনেক আদা কার্যকরী।
এছারাও গরম সেঁক দিয়ে দিয়ে ভালো করা যায়। কোমরের যেখানে যেখানে ব্যথা হবে সেখানে একটা কাপড় গরম করে কমলের ব্যথার জায়গায় চাপ দিয়ে দূরে থাকবেন তাহলে ভালো হয়ে যাবে। এছাড়াও অ্যালোভেরা এবং লেবুর শরবত ব্যথার জায়গায় ভালোমতো লেগে দিলে ব্যথা কমে যাবে।
কোমরে ব্যথা হলে কি কি হ্মতি হয়
ইতিমধ্যে আপনি জেনেছেন কোমরের ব্যাথা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে, তবে কিছু ব্যথা অনেক ক্ষতিকর। যেগুলো শরীরের ভিতর থেকে ব্যথা সৃষ্টি করে সেই ব্যথাগুলো অন্য রোগের সাথে সংযুক্ত হয়ে যায়। যদি দেখেন ব্যথা ভালো করার জন্য কয়েক মাস ধরে চিকিৎসা করতেছেন তবুও ব্যাথা ভালো হচ্ছে না।
তখন বুঝতে হবে আপনার অন্য কোন রোগে আক্রান্ত করা সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন দীর্ঘ সময় ধরে ব্যথা গুলো থাকলে কিডনির সমস্যা হতে পারে। কেন সমস্যা হলে প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া হতে পারে। মুখ ফোলা ফোলা ভাব হবে।
কি খেলে কোমরের ব্যথা কমে
আপনার শরীরে কোন মেরুদণ্ড থেকে যদি কোমর ব্যথার হয় তাহলে ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে যেমন দুধ, ডিম, প্রতিদিন দুইটা করে ডিম গ্রহণ করতে হবে এবং ২৫০ মিলি করে দুধ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও আপনি ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট খেতে পারেন।
আপনার শরীর ক্যালসিয়াম ঘাটতি পূরণ করবে। ক্যালসিয়ামের জন্য আপনি যে খাবারটি খাবেন সে খাবার অবশ্যই টানা একমাস অথবা দেড় থেকে দুই মাস পর্যন্ত খেতে হবে। তাহলে আপনি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন।
মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ এবং প্রতিকার
মহিলাদের কোমরে ব্যথা হয় নানান কারণে। বাচ্চা পোষণের সময় মহিলাদের হরমোনের শক্তি কমে যায় যার কারণে কোমরে ব্যথা হওয়া শুরু করে।
- শারীরিক চাপ শরীরে এবং মানসিক চাপ থাকলে কোমর ব্যথার দেখা দিতে পারে।
- কিডনিতে পাথর এবং কিডনির যে কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনার কোমর ব্যথা হবে।
কোমর ব্যথার প্রতিকার হলো নিয়মিত বিশ্রাম নিতে হবে।খাওয়া-দাওয়া সব সময় ঠিকঠাক রাখতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যায়াম করতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে কোথাও বসে থাকা যাবে না, বা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না। উঠা বসা করার সময় সোজা হয়ে হুট করে উঠে যেতে হবে কোথাও বসে থাকলে।
অল্প বয়সে কোমর ব্যথার কারণ
অল্প বয়সে যাদের কোমরে ব্যথা হয় তাদের মূল সমস্যা হচ্ছে দীর্ঘ সময় ধরে একই জায়গায় বসে থাকা। ভারী কাজকর্ম করা। গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে স্থির হয়ে দীর্ঘ সময় গাড়ি চালালে কোমরের ব্যথা হওয়ার লক্ষণ দেখা দিবে। এবং ঘুমানোর সময় সোজা হয়ে না ঘুমিয়ে যদি আপনি এদিক-ওদিক হয়ে ঘুমান তাহলে কোমরে ব্যথা হতে পারে।
পড়াশোনার ক্ষেত্রে যদি আপনি একই দিকে তাকিয়ে সব সময় পড়তে থাকেন তাহলে কোমরে ব্যথা হতে পারে। অর্থাৎ আপনি যে কাজটি করবেন সেই কাজ দীর্ঘ সময় স্থির হয়ে করার চেষ্টা করবেন না। স্থির ভাবে কাজ করার ফলে অল্প বয়সে এসে কোমর ব্যথা শুরু হয়।
কোমরের ব্যথা ভালো করার সঠিক উপায়
কোমরের ব্যথা ভালো করার সঠিক উপায় জেনে নিন। আপনার দেহের কোন অঙ্গের কারণে যদি কোমর ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করা উচিত। সঠিক নিয়মে চিকিৎসা না করে দীর্ঘ সময় বসে থাকলে সমস্যা বেশি হয়ে যাবে। ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়ার আগে অবশ্যই কোমর পরীক্ষা করে দেখতে হবে কি সমস্যার কারণে ব্যথা হয়।
তারপর চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আশা করছি বুঝতে পারছেন। আর যাদের অল্প বয়সে কোমরের ব্যথা হয়েছে তারা সাধারণ কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাবেন। আর সব সময় চেষ্টা করেন ভালো মন্দ খাবার খাওয়া। তাহলে ভালো হয়ে যাবে।
কোমার ব্যাথা সম্পর্কে আমার শেষ কথা
কোমর ব্যাথা সম্পর্কে আপনি জেনেছেন কোমর ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায় এবং কোমর ব্যথা কেন হয়। কোমর ব্যথা যে কারণে হোক না কেন আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন সঠিকভাবে চলাফেরা করার এবং। ভিটামিন বি এবং সি জাতীয় খাবার গুলো বেশি বেশি খাওয়া।
কোমার ব্যথা অনেক খারাপ একটি রোগ যেখান থেকে আপনার শরীরে আরো বিভিন্ন জায়গায় পার হয়ে যাবে। যার ফলে আপনার শরীর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে যাবে পরবর্তীতে ভালো হওয়া সম্ভাবনা থাকবে না আশা করছি খুব সহজেই আমার মতামত বুঝতে পারছেন। আজকের মতো আমি যেখানে শেষ করেছি। আল্লাহ হাফেজ।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url