অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা ২০২৫অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়। আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার আগে জানা উচিত কোন কোম্পানিতে কত পারসেন্ট কমিশেন দেয়। সেটা যাচাই বাছাই করে দেখে যেখানে বেশি দিবে সেখানে কাজ করবেন আপনি।

তাহলে চলুন শুরু করা যাক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোম্পানি আসলে কিভাবে তাদেরকে কমিশন দেয়। এবং কিভাবে তাদের কাজ করতে হয় সেই সম্পর্কে। এছারাও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয় বিস্তারিত জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয় সে সম্পর্কে জানতে হলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি কাজ যেটা আপনি ইনভেস্ট না করেও ইনকাম করতে পারবেন অন্যর পণ সেল করে। 

আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে নিন

সে হ্মেএে আপনার বেচা-কেনার দহ্ম থাকতে হবে। প্রতিটি পণ্য হিসেবে কমিশনের কথা বলতে গেলে ৫% থেকে ৭০% পযন্ত কমিশন পাওয়া যায়। তবে সব জায়গায় যে একই রকম কমিশন দিবে তা নয়। বিভিন্ন কোম্পানিতে বিভিন্ন রকম কমিশন পেতে পারেন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্যের পণ্য সেল করে টাকা ইনকাম করা। এ বিষয়টি আরো সহজ ভাবে জেনে নিন। ধরেন আপনি অনলাইনে বেচাকেনা করে টাকা ইনকাম করবেন কিন্তু আপনার কাছে টাকা ইনভেস্ট করার মত ক্ষমতা নেই। 

তাহলে আপনি চাইলে দারাজ, অ্যামাজন, এবং বড় বড় কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে, তাদের পণ্যগুলো ফেসবুক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া যে কোন প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে প্রমোট করে পণ্যগুলো সেল করে দিতে পারেন। তাদের পণ্য সেল করে দেওয়ার মাধ্যমে আপনাকে কমিশন দিবে। 

এটা হতে পারে ১ হাজার টাকায় কমিশন কিংবা একটা পণ্য সেল করে কত পারসেন্ট কমিশন পাবেন সেই অনুযায়ী। যারা কোন টাকা ইনভেস্ট না করে অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে চান। তাদের জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কি কি জানা উচিত

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার আগে অ্যাফিলিয়েট সম্পর্কে সকল বিষয় গিলে জানা দরকার। তারপর আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় তা হলো আপনি কোন বিষয়ে কাজ করতে পারবেন। 

যে বিষয়ে আপনি সহজ ভাবে কাজ করতে পারবেন সে বিষয় নিয়ে নিশ সিলেক্ট করে নিতে হবে। চাহিদা অনুযায়ী কিওয়াড রিসার্চ করতে হবে। যে কিওয়াড গুলো নিয়ে কাজ করলে আপনে  সফল হতে পারবেন।  কারন কিওয়াড এর উপর নির্ভর করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ব্যবসায় সফল হওয়া যায়। 

এরপর আপনার যে কাজটি করতে হবে তা হলো অ্যাফিলিয়েট লিংক গুলো প্রোমট করতে হবে। তার জন্য আপনার কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। ভাইরাল টপিক নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করতে পারলে আপনার মার্কেটিং করতে পারবেন। কনটেন্ট এর ভিতরে সঠিক ভাবে অ্যাফিলিয়েট লিংক গুলো প্রোমট করতে পারলে আপনি খুব তারাতারি ভালো কিছু অর্জন করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবো করবো

যারা টাকা ইনভেস্ট না করে ইনকাম করতে চান। তারা খুব সহজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করার সুযোগ পাবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করার জন্য আপনার কোনো টাকা ইনভেস্ট করতে হবেনা। সরাসরি কোম্পানি থেকে পণ্য নিয়ে সেল করতে পারবেন। 

আপনার যদি কোনো প্ল্যাটফর্ম থাকে তাহলে আপনি সেই প্ল্যাটফর্ম গুলোতে পণ্যগুলো মার্কেটিং করে সেল বৃদ্ধি করতে পারবেন বেশি বেশি। প্ল্যাটফর্ম যদি না থাকে তাহলে আপনার উচিত বড় বড় ফেসবুক গ্রুপ কিংবা ইউটিউবে ভাইরাল কনটেন্ট তৈরি করা যাতে করে আপনার চ্যানেল খুব দ্রুত বেশি বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। 

সেখানে আপনি অ্যাফিলিয়েট লিংক প্রমোট করে আপনার সেল বাড়াতে পারবেন। এছাড়াও যদি ফেসবুক গ্রুপ থাকে সেগুলোতে আপনি পোস্ট করে পণ্য গুলো সেল করতে পারবেন। শুরু করার আগে অবশ্যই আপনার অনলাইন বিষয়ে ধারণা থাকা প্রয়োজন। 

এবং একটা মানুষকে কিভাবে এনগেজমেন্ট করতে হয় সেই বিষয়গুলো যদি জেনে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন তাহলে আপনি খুব দ্রুত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে বাড়াতে পারবেন। আশা করছি বুঝতে পারছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার আগে আপনার যে বিষয়টি জানা প্রয়োজন সে সম্পর্কে।

কি কি উপায়ের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনি অনেক ভাবে করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার মার্কেটিং এর উপর সেল নির্ভর করবে। সহজ ভাবে বেশি বেশি সেল পাওয়ার জন্য আপনি ফেসবুক কে বেছে নিতে পারেন। বর্তমান সময়ে ফেসবুক অনেক জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। 

যেখানে আপনি অন্য কোন কোম্পানির পণ্য মার্কেটিং করে বেশি বেশি সেল করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি ইউটিউবে কন্টিনেন্ট তৈরি করে কনটেন্ট এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট লিংক মার্কেটিং করে সেল বৃদ্ধি করতে পারবেন।

কিংবা আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট থাকে সেই ওয়েবসাইটে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক অ্যাড করে বৃদ্ধি করতে পারবেন। আপনার সেলের উপর নির্ভর করে কমিশন পাওয়া যায়। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কয়টি পণ্য নিয়ে কাজ করতে পারবেন 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ আপনি যে কয়টি পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন তা সম্পর্কে জেনে নিন। নতুন অবস্থায় শুরু করার জন্য আপনি অল্প কয়েকটি পণ্য নিয়ে শুরু করতে পারবেন। 

যখন দেখবেন আপনার ছেলের দ্রুত বাড়ছে সে ক্ষেত্রে আপনি ১০০ থেকে ১০০০টা পর্যন্ত পণ্য নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। এটাতে কোনো লিমিট থাকেনা। আপনি যত সেল করতে পারবেন তত পণ্য নিতে পারবেন কোম্পানি থেকে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক ভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। তার ভিতর রয়েছে আপনি পণ্য সেল করে কমিশন নিতে পারবেন। টাকার হিসাবে শতকরা % নিয়ে আয় করতে পারবেন। অন্য দিকে আপনার রেফারেলে যত জন জয়েন করতে সেটা থেকে আপনি কমিশন পাবেন। 

যদি আপনার সোশাল মিডিয়ার বরো কোনো প্ল্যাটফর্ম থাকে সেখানে আপনি অন্য অন্য কোম্পানির লিংক প্রোমশোন করে দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। কিংবা কোনো কোম্পানির সাইট যদি আপনি বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে প্রচার করতে পারেন সেভাবেও আপনি তাদের কাছ থেকে টাকা নিতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আমার শেষ কথা

ইতিমধ্যে আপনি জেনেছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়, এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কি কি দরকার প্রয়োজন সেই সম্পর্কে। তাই আমি বলব আপনি যদি নতুন অবস্থায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে টাকা ইনকাম করতে চান।

তাহলে অনলাইন বিষয়ে বেচাকেনা ধারণা নিয়ে আসতে হবে। এবং একটা কাস্টমারকে কিভাবে ইমপ্লিমেন্ট করতে হয় সে বিষয়ে অবশ্যই দক্ষ থাকতে হবে। তাহলে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফল হতে পারবেন।