শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করনীয়
শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করনীয় তা জেনে নিন। হঠাত করে শিশুর শরীরের তাপ মাএা কমে গেলে তার পরিবার অনেক চিন্তা করে। এটা মোটেও করা ঠিক হবেনা। কারন সে সময় শিশুর যত্ন নিতে হবে। শরীর পরিষ্কার করতে হবে।
আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কেন কমে যায় এবং তাপমাএা কমে গেলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে। এছারাও আরো জানতে পারবেন শিশুর শরীরের তাপমাএা কিভাবে বাড়াবেন। চলুন শুরু করা যাক।
সূচিপত্রঃ শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করনীয়
- শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করনীয়
- শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির উপায়
- শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি হয়
- শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে কি হয়
- শরীরের তাপমাত্রা কত হলে জ্বর হয়
- শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় কেন
- শিশুর শরীরের তাপ সম্পর্কে আমার শেষ মতামত
শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করনীয়
শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করনীয় আমাদের জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারন বর্তমান সময়ের শিশুরা বিভিন্ন সমস্যায় জরিত থাকে যা আমরা মায়েরা বুঝতে পারিনা। আর তাই আপনার শিশুর যদি হঠাত করে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় তাহলে আপনি কি করবেন জেনে নিন। সাধারণত শিশুর শরীরে তাপমাত্রা 35.5C থাকে।
আরো পড়ুনঃ আমলকি সিরাপ খেলে কি মোটা হয়
- এটি যদি কমে যায় তাহলে হাইপোথার্মিয়া পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তখন খুব ভয়াবহ সমস্যা দেখা দিতে পারে শিশুর শরীরে। এই সমস্যাগুলো থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনার যে করণীয় তা হল।
- শিশুর শরীরে ঠান্ডা লাগানো যাবে না তাকে গরম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এবং মাথা থেকে পা পর্যন্ত কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন। যাতে করে কিছুক্ষণের ভিতর আপনার শিশুর শরীরে গরম লেগে যায়।
- হঠাৎ করে শিশু শরীরে তাপমাত্রা কমে গেলে তাকে তরুণ খাবার খেতে দিন যেমন দুধ কিংবা পানি হালকা গরম করে খাওয়াতে হবে। এটি শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য অনেক সাহায্য করবে।
- এই নিয়মগুলো মানার পরও যদি দেখেন শিশু তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে না তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেই। ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করলে আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আপনার স্বাভাবিক চলে আসবে।
শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির উপায়
শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। শিশু হয়ে গেলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করার জন্য ভাত কম করে খেতে হবে এবং শুধুমাত্র গরুর মাংস আলু ও মসুর ডাল গ্রহণ করতে হবে। এই খাবারের পরিমাণগুলো অল্প পরিমাণ খেতে হবে যাতে করে আপনার শরীরের স্বাভাবিক কি আসার জন্য যতটুকু আপনি খেতে পারবেন সেটি খাওয়ার পরে বন্ধ রাখুন। এই খাবারগুলোর পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কাঠ বাদাম কাজুবাদাম ভিজিয়ে রেখে গ্রহণ করুন।
আরো পড়ুন ঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
কি খাবার গুলো সকালে খালি পেটে খাওয়ার পরে সর্বনিম্ন ২ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। যাতে করে এই খাবারগুলো আপনার পেটে সম্পন্ন হজম হওয়ার পরে আপনি অন্য খাবারগুলো গ্রহণ করতে পারবে। প্রিয় পাঠক উপরের যে খাবারগুলো কথা বলা হয়েছে এই খাবারগুলো যদি আপনি প্রতিদিন নিয়মিত এক সপ্তাহ গ্রহণ করেন তাহলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা যথেষ্ট পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে এছাড়াও আপনি টানা এক মাস খেতেই থাকবেন।
শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি হয়
শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। একজন সাধারণ মানুষের শরীরের তাপমাত্রা থাকে 98.6 ফারেনহাইট এবং 37 ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদি এই তাপমাত্রা আপনার শরীরে থাকে তাহলে আপনার শরীর যথেষ্ট পরিমাণ ঠিক আছে। আর যদি দেখেন এর থেকে তাপমাত্রা অনেক কমে গেছে তাহলে বুঝতে হবে আপনার শরীরের মারাত্মক সমস্যা দেখা দেওয়া সম্ভাবনা থাকতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ - কিডনি ড্যামেজ থেকে বাঁচতে কি করবেন
যেমন শ্বাস জনিত সমস্যা এবং হৃদপিণ্ড সমস্যা। তাহলে বুঝতেই পারছেন শরীরে তাপমাত্রা কমে গেলে কি পরিমাণ সমস্যা হতে পারে আর এই সমস্যাগুলো যদি আপনি সঠিক ভাবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মেনে না চলতে পারেন তাহলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তা আগে থেকে সতর্ক হওয়ার জন্য নিয়মিত খাবার গ্রহণ করবে। তবে একটা কথা মনে রাখবেন অতিরিক্ত কোন কিছুই গ্রহণ করবেন না।
শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে কি হয়
শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে কি হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। আমরা অনেক সময় অনেক ডিপ্রেশনে ভুগে থাকি। অন্যদিকে আমাদের শরীরে যে শক্তি প্রয়োগ করে তার থেকে বেশি শক্তি আমরা প্রয়োগ করার চেষ্টা করি যার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে কি কি সমস্যা হবে জানুন।
- শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে আমাদের মাথা ঘোরা শুরু করবে, শরীর থেকে তেমন কোনো শক্তি আমরা কোথাও প্রয়োগ করতে পারবো না।
- শরীরে নির্দিষ্ট শক্তি থাকার পরও আমরা অতিরিক শক্তি ব্যয় করার জন্য হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার ফলে আমাদের বেশি পানি পান করা উচিত। পানি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য অনেক সাহায্য করে।
- শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে রক্ত প্রবাহ বেড়ে যায়। যার ফলে আমাদের হাত-পা কিংবা চোখ মুখ ফুলে যেতে পারে। পাশাপাশি শরীরের ত্বক থেলে তপ হারিয়ে যায়।
শরীরের তাপমাত্রা কত হলে জ্বর হয়
শরীরের তাপমাত্রা কত হলে জ্বর হয় এটা আমরা অনেকেই জানিনা। তাই আজ আপনাদের অনেক সহজ ভাবে বলে দিব আপনার শরীরে তাপমাত্রা কতদূর গেলে সেটা জ্বর হিসেবে পরিমাণ করা হয় সেই সম্পর্কে। একজন সাধারণ মানুষের শরীরে যদি ৯৭ থেকে ৯৯ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রার হয় তাহলে সেটা জ্বর হয়। ৯৯ এর নিচে আপনার শরীরের তাপমাত্রা থাকলে যে জ্বর প্রকাশিত হয় সেটি আপনি খুব সহজে চিকিৎসা করে ভালো হতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি - শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আর যদি আপনার শরীরে তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি পার হয়ে যায় সেটা কি অতিরিক্ত জ্বর বলে গণনা করা হয়। একজন মানুষের শরীরে যদি ১০০ ডিগ্রি ১০০ ডিগ্রীর উপরে জ্বর চলে যায় তাহলে সে মানুষটা হাঁটার মতো কিংবা শরীরে কোন ধরনের চুক্তি প্রবাহ করতে পারবে না। কারণ তার শরীর একেবারে নিঃস্ব হয়ে যাবে। এবং সাথে সাথে যদি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতেন না পারে তাহলে ভয়ঙ্কর কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে।
শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় কেন
শরীরে তাপমাত্রা কমে যায় কেন এটা অনেকেই জানেন না। যার কারণে তাদের শরীরে কি সঠিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। তাই প্রতিটি মানুষের জন্য এই বিষয়টি জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রতিটি মানুষই চায় তাদের শরীর সবসময় সুস্থ এবং নিয়ন্ত্রণের থাকুক। চলুন এবার শুরু করা যাক শরীরে তাপমাত্রার কমে যাওয়ার বিষয় সমূহ।
- দুর্বলতা: শরীরে অপুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা কিংবা হজমের সমস্যা থাকলে শরীর খুব তাড়াতাড়ি দুর্বল হয়ে যায়। শরীর দুর্বলতা যদি আপনি খুব তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসতেন না পারেন তাহলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমে যাবে।
- মানসিক চাপ: মানসিক চাপ কিংবা অতিরিক্ত ডিপ্রেশনে ভুগে থাকলে আপনার শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং সেই সাথে আর শরীরে তাপমাত্রা খুব দ্রুত কমে যাবে। কারণ একজন সাধারন মানুষের শরীরে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা মেটাবলিজমকে পরিণত করে।
- শরীরে ঠান্ড লাগা: শীতের সময় যদি আপনার শরীরে অতিরিক্ত ঠান্ডা লেগে যায় তাহলে শরীরে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনি আপনার শরীরে যে সময় যে অনুভূতিটা অনুভব করবেন সেই সময় সেই পোশাক গুলো ব্যবহার করে আপনার শরীরে কি সঠিক নিয়মে রাখতে হবে তাহলে আপনার শরীরে তেমন কোন ক্ষতিকর প্রভাব পড়া সম্ভাবনা থাকবে না। অন্যথায় আপনার শরীরে তাপমাত্রা কোন সমস্যা দেখা দিবে না।
শিশুর শরীরের তাপ সম্পর্কে আমার শেষ মতামত
শিশুর শরীরের তাপ সম্পর্কে আমার শেষ মতামত হলো ইতিমধ্যে আপনি জানতে পেরেছেন শিশুর শরীরের তাপমাত্রা কমে গেলে কি করনীয়, এবং একজন সাধারণ মানুষের শরীরে তাপমাত্রার কমে গেলে কিংবা বৃদ্ধি পেলে কি কি সমস্যা দেখা দিতে পারে সে সম্পর্কে। সম্পূর্ণ আর্টিকেলের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো। একজন শিশুকে সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। শিশুকে অতিরিক্ত কোন কিছুই করানো যাবে না।
এছাড়াও যদি আপনি বুঝতে পারেন যে শিশুর তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে কিংবা অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। অন্যথায় আপনি যদি নিজ মাধ্যমে কোন উপায় ব্যবহার করেন এবং সেটি যদি বুঝতে পারেন যে এটা তার জন্য কাজে লাগবে তাহলে ব্যবহার করতে পারেন। আজকের মত আঁটি খেলতে এখানে শেষ করছি। সম্পন্ন আর্টিকেলটি পড়ে আপনার কাছে কেমন লেগেছে এবং কি কি তথ্য জানতে পেরেছেন তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url