বুকের দুধ শুকানোর ঘরোয়া উপায় - বুকের দুধ শুকাতে কতদিন লাগে
বুকের দুধ শুকানোর ঘরোয়া উপায় এবং বুকের দুধ শুকাতে কতদিন লাগে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। শিশুরা নিজ থেকে দুধ খাওয়া ছারতে চাইনা। তাই শিশুদেরকে কোনো উপায় এবং মাধ্যমে ব্যবহার করে মায়ের দুধ খাওয়া ছারাতে হয়।
আজকের আলোচনায় জানতে পারবেন কিভাবে একটা শিশুকে দুধ খাওয়ানে ছারাতে হয়, এবং একটা মায়ের বাচ্চকে দুধ খাওয়া বন্ধ করতে কি করণীয় সেই সম্পর্কে। তাই আপনি যদি সঠিক তথ্য জানতে চান এই আর্টিকেল টি শুরু থেকে শেষ পযন্ত পড়তে থাকুন।
সূচিপত্রঃ বুকের দুধ শুকানোর ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
- বুকের দুধ শুকানোর ঘরোয়া উপায়
- বুকের দুধ শুকাতে কতদিন লাগে
- বাচ্চাকে কতদিন দুধ খাওয়াতে হয়
- মায়ের বুকের দুধ কত বছর পযন্ত থাকে
- মায়ের বুকের দুধ বাড়ানের উপায়
- মায়ের বুকের দুধ কমে যায় কেন
- বুকের দুধ শুকানো সম্পর্কে আমার শেষ কথা
বুকের দুধ শুকানোর ঘরোয়া উপায়
বুকের দুধ শুকানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে এই পর্ব টি মনযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। বর্তমান সময়ে অনেক শিশুরা আছে যাদের বয়স পর্যন্ত পরিমাণ হয়ে যাওয়ার পরও তারা মায়ের দুধ খাওয়া ছাড়তে পারে না। অন্যদিকে মা তার বাচ্চাকে দুধ ছাড়ার জন্য অনেক কিছু চেষ্টা করে থাকে তবুও কাজ হয় না।
এসব কিছু মেয়েদের বাচ্চা এবং মায়ের মধ্য বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। তাই আজ আমি আপনাদের জন্য এমন একটি বিষয় শেয়ার করব যেটা থেকে আপনি বুকের দুধ শুকাতে পারবেন। এবং এটি সম্পূর্ণ ঘরোয়া উপায়। জেনে নেয়া যাক কি কি পদ্ধতি ব্যবহার করলে বুকের দুধ শুকিয়ে যাবে খুব তাড়াতাড়ি।
আরো পড়ুনঃ আমলকি সিরাপ খেলে কি মোটা হয়
পানি পান করা কমানো: একজন শিশুর মা যদি অতিরিক্ত পরিমাণ পানি পান করে থাকে তাহলে তার বুকে অতিরিক্ত দুধ বৃদ্ধি পায়। তাই চেষ্টা করবেন প্রতিদিন অল্প পরিমাণ পানি পান করার তাহলে দুধ আস্তে আস্তে শুকিয়ে যাবে।
পোশাক পড়ার নিয়ম: অতিরিক্ত টাইট পোশাক পরলে মায়ের স্তনের দুধ বৃদ্ধি পায়। তাই আপনি সবসময় ঢিলে পোশাক পরার চেষ্টা করবেন যাতে করে আপনি আরামদায়ক ভাবে চলাফেরা করিতে পারেন।
বাঁধাকপির পাতা ব্যবহার: বাঁধাকপির পাতা সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে মায়ের স্তনের দুধ শুকিয়ে যায়। তাই আপনার যদি চিন্তাভাবনা এমন থাকে যে আপনি খুব তাড়াতাড়ি দুধ শুকাতে চান তাহলে প্রতিদিন বাঁধাকপির দুধের স্তনে লাগিয়ে রেখে দিন তাহলে দুধের উৎপাদন কমে যাবে।
বুকের দুধ শুকাতে কতদিন লাগে
বুকের দুধ শুকাতে কতদিন লাগিয়েছি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। অনেকে হয়তো বা ভাবতে পারেন যে চিকিৎসা করলে সাথে সাথে বুকের দুধ শুকিয়ে যাবে এমনটা মোটেও নয়। আবার অনেক সময় ডাক্তাররা এমন পরামর্শ দিয়ে থাকেন যে এইগুলো খাবার খেলে কিংবা এই নিয়মগুলো মিলে চললে কয়েকদিনের ভিতর দুধ শুকিয়ে যাবে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।
আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
আপনি যদি স্তনের দুধ শুকানোর জন্য যেকোন পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন কিংবা কোন ধরনের চিকিৎসা করে থাকেন তাহলে এটি শুকাতে কয়েক সপ্তাহ বা এক মাসের মতো লাগতে পারে। এটা বাচ্চার মায়ের ওপর নির্ভর করে তবে প্রতিটি মানুষের জন্য সমান নয়। প্রিয় পাঠক আশা করছি বুঝতে পারছেন বুকের দুধ শুকাতে কতদিন সময় লাগে সেই সম্পর্কে।
বাচ্চাকে কতদিন দুধ খাওয়াতে হয়
বাচ্চাকে কতদিন দুধ খাওয়াতে হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। এ বিষয়টি আমরা না জানার কারণে অনেক বাচ্চারা অনেক বড় হয়ে যায় তারপর দুধ খাওয়া ছাড়ে না। আবার অনেকেই খুব তাড়াতাড়ি ছেড়ে দেয়। তবে দুধ খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার সঠিক সময় কখন এবং কোন সময় ছেড়ে দিলে বাচ্চা সঠিক পর্যায়ে থাকতে পারে বেশি সম্পর্কে আলোচনা করব।
একটা বাচ্চা হওয়ার ৬ মাস পর্যন্ত শুধু দুধ খেয়ে রাখতে হয়। ছয় মাসের পর থেকে তাকে দুধ ছাড়াও অন্যান্য খাবার খাওয়াতে পারবেন। তবে দাঁত উঠার আগ পর্যন্ত নরম খাবার খাওয়াতে হবে। দাঁত ওঠার পরে যে কোন খাবার শিশুর সুবিধামতো গ্রহণ করাবেন এবং সেই সাথে দুই বছর বয়স পর্যন্ত শিশুকে দুধ খাওয়াবেন।
আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় - শরীর দুর্বলতা কাটানোর উপায়
যদি দেখেন দুই বছর পার হয়ে যাচ্ছে তবুও শিশু দুধ খাওয়া ছাড়ছে না তারপর থেকে আপনি। আপনার বুকের দুধ শুকানোর ব্যবস্থা করেন এবং ঘরোয়া পদ্ধতি ও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে থাকেন তাহলে আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি আপনি আপনার বাচ্চাকে দুধ খাওয়া ছারাতে পারবেন।
মায়ের বুকের দুধ কত বছর পযন্ত থাকে
মায়ের বুকের দুধ কত বছর পযন্ত থাকে এটা অনেকেই জানেন না। আবার অনেকে জানলেও সঠিক মত হিসাব রাখেন না। তাই আজকে আমি এই আলোচনার মাধ্যমে সঠিক সময় জানিয়ে দিব। যে একজন মায়ের কত বছর পর্যন্ত দুধ উৎপাদন হয়ে থাকে এবং কত বছর সে দুধ শিশুকে খাওয়াতে পারেন সে সম্পর্কে। একজন গর্ভবতী মা সন্তান ধারণ করার পর। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর্যন্ত তার বুকে দুধ উৎপাদন হতে থাকে।
তবে অনেক মানুষ রয়েছে তারা পাঁচ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের দুধ খাওয়াই না এবং তাদের বুকের দুধ শুকিয়ে ফেলায়। এক্ষেত্রে অনেক চিকিৎসা করে তারা এই কাজটি করে থাকে। বিশেষ করে বিজ্ঞানীদের গবেষণায় জানা গেছে একটা শিশুকে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত দুধ পান করানো যেতে পারে। এছাড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনারা যত দ্রুত সম্ভব বাচ্চার দাঁত ওঠার পর বুকের দুধ ছাড়া অন্যান্য খাবার খাওয়ানো শিখাবেন। তাহলে বাচ্চাদের দুধ ছাড়তে খুব সহজ হয় এবং বাচ্চারা খুব তাড়াতাড়ি দুধ ছারে।
মায়ের বুকের দুধ বাড়ানের উপায়
মায়ের বুকের দুধ বাড়ানের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চাদের কি দুধ খাওয়ানোর সময় দুধ কম পড়ে যায় মায়ের বুকের। এই সমস্যাটি সচরাচর অনেক মানুষেরই হয়ে থাকে। কিন্তু তারা দুধ বৃদ্ধি করার জন্য ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন অনেক সময়।
তাই আপনি সঠিক সময় সঠিক নিয়মে কিভাবে দুধ বৃদ্ধি করবেন সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। কারণ আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে এটি আপনার একটা সময় গিয়ে প্রয়োজন হবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক কিভাবে দুধ বৃদ্ধি করবেন। মায়ের বুকে দুধ কমে যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে মায়ের শরীরে পুষ্টির অভাব রয়েছে।
এজন্য বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার ক্যালোরি জাতীয় খাবার গুলো খেতে হবে। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ এবং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালরি এবং আয়রন থাকে যেগুলো মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য অনেক সাহায্য করবে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করবেন তাহলে আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি বুকের দুধ বৃদ্ধি পেয়ে যাবে।
মায়ের বুকের দুধ কমে যায় কেন
একজন মায়ের বুকের দুধ কমে যায় কেন এটা অনেকেই জানেন না। সঠিক তথ্য না জানার কারনে এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। একজন মা যখন অনেক টেনশন কিংবা দুশ্চিন্তা ডিপ্রেশনে ভুগে থাকে তখন তার দুধ উৎপাদনের ক্ষমতা কমে যায়। অথবা বাচ্চা কে তৎক্ষণিক দুধ না খাওয়ায় দেরি করে খাওয়ালে দুধ তৈরির উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। এছাড়াও সো মানুষের শরীরের রোগ থেকেই থাকে যার কারণে তারা সব সময় চিকিৎসা নেন।
তার ভিতরে কিছু ওষুধ আছে যেমন ব্যথার কিংবা কোন কার্যকরী ঔষধ সেগুলো গ্রহণ করলে বাচ্চা মায়ের দুধ উৎপাদন করার ক্ষমতা প্রচুর পরিমাণ কমে যায়। তাই আপনারা যদি এমন ভুলের মধ্যে থাকেন তাহলে আজ থেকে সেই ভুলগুলো সমাধান করার চেষ্টা করুন তাহলে দেখবেন আপনার বুকের দুধ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বুকের দুধ শুকানো সম্পর্কে আমার শেষ কথা
বুকের দুধ শুকানো সম্পর্কে আমার শেষ কথা হলে, ইতিমধ্যে আপনি জানতে পারছেন বুকের দুধ শুকানোর ঘরোয়া উপায় এবং মায়ের দুধ কেন কমে যায় সেই সম্পর্কে। এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো। বাচ্চকে দুধ খাওয়ানোর সময় যদি আপনার বুকের দুধ কমে যায় তাহলে ওই সময় বেশি টেনশন করবেন না। সরাসরি পানি পান করবেন বেশি বেশি আর সুষম খাবার খাবেন।
টানা ১০ থেকে ৭ দিন সেশন খাবার গ্রহণ করলে আপনার স্বাস্থ্য ভালো হবে এবং আপনার বুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ দুধ উৎপাদন হবে। আর যাদের বুকের দুধ শুকাতে চান তারা সব সময় পেট খালি রাখবেন। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিবেন তাহলে বুকের দুধ কমা শুরু করবে। দিয়ে পাঠক আশা করছি খুব সহজেই বুঝতে পারছেন সম্পূর্ণ আর্টিকেলের বিষয়টি।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url