আলসার হলে কি খেজুর খাওয়া যাবে - আলসার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
আলসার হলে কি খেজুর খাওয়া যাবে? যারা খেজুর পছন্দ করেন তাদের যেকোনো সময় খেজুর খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু আলসার হলে খেজুর খাওয়া যাবে কিনা সেটা অনেকেই জানেন না। এছারাও আজকের আলোচনায় জানতে পারবেন আলসার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়।
তাহলে চলুন শুরু করা যাক আলসার হলে খেজুর খাওয়া যাবে নাকি এবং খেজুর খাওয়া কতটা সঠিক আছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত। আপনি যদি আলসার সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে আলসার থেকে মুক্তির উপায় জানুন।
সূচিপত্রঃ আলসার হলে কি খেজুর খাওয়া যাবে বিস্তারিত জানুন
- আলসার হলে কি খেজুর খাওয়া যাবে
- আলসার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
- আলসার কত দিনে ভালো হয়
- কি খাবার খেলে আলসার ভালো হয়
- আলসার হলে কি দুধ খাওয়া যাবে
- গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে কি করা উচিত
- গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে কি খাওয়া উচিত
- আলসার সম্পর্কে আমার শেষ কথা
আলসার হলে কি খেজুর খাওয়া যাবে
আলসার হলে কি খেজুর খাওয়া যাবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেল টি শুরু থেকে শেষ পযন্ত পড়তে থাকুন। আমরা বেশিরভাগ সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগে থাকি। অনেক চিকিৎসা করার পরও চিরতরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করা যায় না। আবার অনেকেই আছেন ঘরোয়া পদ্ধতিতে সুষম খাবার খেয়ে গ্যাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখেন।
আরো পড়ুনঃ কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ - কিডনি ড্যামেজ থেকে বাঁচতে কি করবেন
গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য ভালো একটি খাবার হল খেজুর। প্রতিদিন তিন থেকে চারটি করে খেজুর গ্রহণ করলে গ্যাস আপনার শরীরে আক্রান্ত করতে পারবেনা। খেজুর একটি সুস্বাদু খাবার এর পাশাপাশি অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে খেজুর। তাই আপনার যদি আলসার হয়ে থাকে কিংবা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে খেজুর প্রতিদিন নিয়মিত খাবেন।
তবে একটা কথা মনে রাখবেন খেজুর খাওয়া কখনো বাদ দেওয়া যাবেনা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একটি করে হলেও খেজুর গ্রহণ করতে হবে। তাহলে আপনার শরীর অনেক সুস্থ থাকবে এবং আলসার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সাহায্য করবে। কে পাঠাও তাহলে বুঝতেই পারছেন খেজুর আমাদের কতটা সুস্থ রাখতে পারে এবং খেজুর খাওয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে।
আলসার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়
আলসার থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেল টি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আলসার অনেক মারাত্মক একটি রোগ। যাদের শরীরে আলসারের সমস্যা রয়েছে তারাই একমাত্র বুঝতে পারছেন যে এর যন্ত্রণা কতটা।
আপনি যদি চিরতরে এই সমস্যা দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনার সময় একটু বেশি লাগবে তবে চিরতরে দূর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ঘরোয়া উপায়ে আলসার দূর করতে আপনার করণীয় কি তা নিচে দেখুন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি
আলসার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের এমন কিছু খাবার গ্রহণ করতে হবে যে খাবারগুলোতে কোন গ্যাস জাতীয় ক্ষতিকর নেই। বিশেষ করে ভাজাপোড়া খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। যেমন কোন খাবারে অতিরিক্ত মসলা মিশিয়ে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অথবা তরকারি রান্না করার সময় পিয়াজের পরিমাণ কম দিবেন। এর পাশাপাশি চর্বিযুক্ত খাবার কিংবা অ্যালকোহল যুক্ত খাবার একদম গ্রহণ করা নিষেধ।
আপনি যদি নিয়ম মত এই খাবারগুলো থেকে বিরত থাকেন তাহলে আলসার এর সমস্যা আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনা থাকবে। অন্যদিকে আপনি ঠান্ডায় কিংবা তরুণ খাবারগুলো গ্রহণ করবেন। আপনার শরীর অনুযায়ী যথেষ্ট পরিমাণ ঠান্ডা খাবার গ্রহণ করতে হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন আলসার কমানোর জন্য আমাদের কোন কোন খাবারগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে সেই সম্পর্কে।
আলসার কত দিনে ভালো হয়
আলসার কত দিনে ভালো হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা। আমাদের ভিতর অনেকেই আছে যাদের আলসার সমস্যা রয়েছে তারা সরাসরি চিকিৎসা কিংবা ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে কিছু সময়ের ভিতরেই চিন্তিত হয়ে যায় যে কবে ভালো হবে এটি। আবার অনেকেই এমন কিছু ভুল করে থাকে যে আলসার ভালো হওয়ার জন্য বেশি বেশি চিকিৎসা চালায় যাতে করে খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যায়। এটা মোটেও ঠিক নয় বরং স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
আলসার শরীরের উপর নির্ভর করে সময় নিয়ে থাকে আলসার গুলো ভালো হওয়ার জন্য দুই ধরনের সময় ব্যবহার হয়। যেমন এনএসএআইডি নামে আলসার যদি আপনার শরীরে আক্রান্ত করে থাকে এক্ষেত্রে ছয় মাস লাগতে পারে আবার আট সপ্তাহ লাগতে পারে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটি ভালো হওয়ার পর চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন। কারণ ভালো হওয়ার সাথে সাথে চিকিৎসা বন্ধ করলে পরবর্তীতে আবার হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
কি খাবার খেলে আলসার ভালো হয়
কি খাবার খেলে আলসার ভালো হয় জেনে নিন। আলসার ভালো করার জন্য আপনার যে খাবারটি প্রতিদিন নিয়মিত খাওয়া উচিত সেই খাবার গুলো হল। লেবু ও মাল্টা। এই খাবারগুলোতে অনেক পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যেগুলো আপনার পেটে থাকা আলসার কে ধ্বংস করে দিতে সাহায্য করে।
এছাড়াও আপনি খাবারের সঙ্গে যেগুলো রান্না করবেন তা হল কাঁচা পেঁপে, গাজর, মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়া, মুরগির মাংস এবং সামুদ্রিক মাছ। বিশেষ করে আনসার থাকা পর্যন্ত গরুর মাংস গ্রহণ করা যাবে না। উপরে দেওয়া যে খাবারগুলোর নাম বলা হয়েছে সেই খাবারগুলো আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত গ্রহণ করেন।
আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় - শরীর দুর্বলতা কাটানোর উপায়
তাহলে আপনার আলসার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে এবং এই খাবারটির দীর্ঘদিন গ্রহণ করতে হবে। কারণ এই খাবারগুলো আপনি যতদিন খেতে থাকবেন ততদিন আপনার আলসার ধ্বংস করার জন্য কাজ করতে থাকবে।
আলসার হলে কি দুধ খাওয়া যাবে
যারা নিয়মিত দুধ খেতে ভালোবাসেন কিংবা দুধ খাওয়াতে আসক্ত হয়ে আছেন তারা অবশ্যই যে কোন মুহূর্তে দুধ খাওয়ার জন্য দুধ সংরক্ষণ করেন। আলসারে আক্রান্ত অবস্থায় দুধ খাওয়া যাবে না। কারন কফি দুধ এগুলো ক্যাফেইনযুক্ত খাবার।
এছাড়াও এগুলো গরম না করলে খাওয়া যায় না আলসার আক্রান্ত অবস্থায় গরম খাবার গ্রহণ করা যাবে না। সব সময় খাদ্য তালিকায় ঠান্ডা সবজি রাখতে হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন আলচারে আক্রান্ত অবস্থায় যদি আপনি দুধ গ্রহণ করেন তাহলে আলসার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে কি করা উচিত
গ্যাস্ট্রিক আলছার হলে কি করা উচিত আপনার সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। আমাদের ভিতর প্রতিনিয়ত অনেকেই রয়ে সচরাচর গ্যাসটিক আলসারে আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু এটি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কি কি করা উচিত সেটি অনেকেই জানেন না। এবং কিভাবে আপনি গ্যাস্ট্রিক আলসার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবেন নিচে জানুন।
- নিয়মিত পানি পান: পানি আমাদের শরীরের গ্যাসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই আপনার এদিকে গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়ে থাকে তাহলে প্রতিদিন ছয় থেকে আট গ্লাস পর্যন্ত পানি পান করুন। খুব তাড়াতাড়ি গ্যাস্ট্রিক আলসার নিয়ন্ত্রণে আসবে।
- সুষম খাবার: প্রতিদিন নিয়মিত সুষম খাবার গ্রহণ করুন। খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি এবং সবজি জাতীয় খাবার রান্না করে খেয়ে নিবেন।
- শরীরচর্চা: ভাত খাওয়ার কমপক্ষে এক ঘন্টা পর আপনি নিয়মিত শরীরচর্চা করবেন এছাড়াও ভাত খাওয়ার এক ঘন্টা আগে শরীরচর্চা করবেন। যাতে করে আপনার শরীরের সম্পূর্ণ স্থানগুলো নড়াচড়া করতে পারে। নিয়মিত শরীরচর্চা করার ফলে গ্যাসটিক আলসার নিয়ন্ত্রণে আসবে।
- টেনশন মুক্ত: সব সময় টেনশন মুক্ত থাকতে হবে। কোনো কিছু নিয়ে টেনশন করা যাবেনা।
- নিয়মিত ঘুম: প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে নিয়মিত ঘুমাতে হবে। বিশেষ করে রাতের বেলা ঘুম নষ্ট করা যাবে না। রাতে যদি কোন কাজ থাকে সেই কাজটি আপনি দিনে করার চেষ্টা করবেন আর রাতে সঠিক সময়ে ঘুম আসবে।
- রাতে ঘুমানোর আগে অল্প পরিমাণ খেয়ে নিবেন অতিরিক্ত খেলে আলসারের সমস্যা হতে পারে। কারণ রাতে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে খাবারগুলো হজম হতে পারে না।
গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে কি খাওয়া উচিত
গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে কি খাওয়া উচিত জানেন কি? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আর্টিকেল টি মনযোগ সহকারে দেখুন। আমরা অনেকেই জানি যে গ্যাস্ট্রিক আলসার হলে ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া যাবে না। এবং বেশি বেশি ফল জাতীয় খাবার গুলো গ্রহণ করতে হবে। যেমন কলা, আপেল, পেয়ারা মিস্ট কুমরা, এছারাও খাদ্য তালিকায় সবুজ শাকসবজি রাখতে হবে।
এর চেয়ে বেশি কিছু খাবেন না। যেটা খাবেন সেটা অল্প পরিমান খাবেন। অতিরিক্ত গ্রহন করলে সমস্যা হতে পারে। আর যদি আপনার হজম শক্তি ভালো থাকে সেহ্মেএে আপনি বেশি পরিমান গ্রহণ করলেও সমস্যা হবেনা। তবে প্রতিদিন গ্রহণ করতে হবে মাঝ পথে খাবার ছেরে দিলে গ্যাস্ট্রিক আলসার ভালো না হয়ে বরং আবার শুরু হতে পারে নতুন করে। তাহলে বুঝতেই পারছেন বিষয়টি।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url