কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় - শরীর দুর্বলতা কাটানোর উপায়
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় জেনে নিন। শরীর দূর্বল হয় মূলত ভিটামিন ডি এর অভাব থাকার কারনে। এছারা খাবারা সমস্যা কিংবা কাজকর্ম করার সমস্যা হয়ে থাকলেও শরীর দূর্বল হয়। শরীরের দুর্বলতা কাটানোর উপায় জেনে নিন।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানাবো। কিভাবে আপনি শরীর কে সব সময় সুস্থ রাখবেন। কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় এবং শরীরের দুর্বলতা কিভাবে কাটাবেন সেই সম্পর্কে সকল বিস্তরিত জানার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন।
সূচিপত্রঃ কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় জেনে নিন
- কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়
- শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণ
- শরীর দুর্বলতা কাটানোর উপায়
- ভিটামিন ডি এর অভাবে কিসের লক্ষণ দেখা দেয়
- ভিটামিন ডি এর অভাব কেন হয়
- ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার
- শিশুদের ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত লক্ষণ
- শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হলে কি কি সমস্যা হয়
- ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন রোগ হয়
- শরীর দুর্বলতা সম্পর্কে আমার শেষ কথা
কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়
ভিটামিন ডি এর অভাব যখন আপনার শরীরে দেখা দিবে তখন আপনার শরীরের শক্তি কমে যাবে। কোনো কাজকর্ম করতে গেলে মনযোগ উঠে যাবে। বর্তমান সময়ে বয়স্ক মানুষের থেকে শিশুদের শরীর দুর্বল হয়ে যায় বেশি বেশি।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি - শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ভিটামিন ডি এর ঘাটতি থাকার কারণে শিশুদের হার চিকন হয়ে যায়। স্বাস্থ্য কমে যায়। জন্য ভিটামিন দিয়ে জাতীয় খাবার গুলো শিশুদের অনেক উপকারি একটি খাবার। শিশুদের শরীরে যখন ভিটামিন ডি গ্রহণ করে তাদের শরীর এবং হার আস্তে আস্তে মোটা হয়ে যায়। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণ
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যাবে। রক্তের সমস্যা কিংবা রক্তের অভাব দেখা দিলে শরীরের শক্তি আস্তে আস্তে কমে যায়। এছাড়াও বেশি বেশি চিন্তাভাবনা করার কারণে শরীর দুর্বল হয়ে যায়। যারা ডায়বেটিস রোগে আক্রমণ হয়ে আছেন তাদের শরীরও দুর্বল হয়ে যায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। সঠিক নিয়মে খাবার গ্রহণ করতে হবে। এই পদ্ধতি গুলো যদি না মেনে চলেন তাহলে শরীর দুর্বল হওয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়া সম্ভাবনা থাকবে।
শরীর দুর্বলতা কাটানোর উপায়
ইতিমধ্যে আপনি জেনেছেন কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়। এবার জেনে নিন শরীর দুর্বলতা কাটানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।
- শরীর দুর্বল হলে শাকসবজি বেশি বেশি খাবেন। এছাড়াও আপেল আনার, এবং ভিটামিন ডি জাতীয় ফল বেশি বেশি খাবেন।
- এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিত ভিটামিন সি জাতীয় ফল যেমন কমলা কলা এগুলো খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে সবসময়।
- বিশেষ করে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি বেশি খাবেন তাহলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। সহজে আপনার শরীরে কোন রোগে আক্রান্ত করতে পারবে না। এইসব খাবারগুলো যদি আপনি নিয়মিত প্রতিদিন খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করবে।
ভিটামিন ডি এর অভাবে কিসের লক্ষণ দেখা দেয়
ভিটামিন ডি এর অভাব হলে আপনার পিঠে ব্যথা হবে। ঠিকমত চলাফেরা করতে পারবেন না। মাথার চুল পড়া বেড়ে যাবে। মাথার চুল পড়া সমস্যা মূলত পুষ্টিকর খাবারের ঘাটতি থাকার কারণে হয়ে থাকে।
আপনার ওজন অনেক কমে যাবে হাড়গুলো চিকন হয়ে যাবে। আস্তে আস্তে আপনি ক্লান্তি ভোগ করবেন। বেশিরভাগ সময় ভিটামিন ডি এর অভাবে শরীরের দুর্বলতা দেখা দিবে।
ভিটামিন ডি এর অভাব কেন হয়
ভিটামিন ডি এর অভাব আপনার শরীরে তখনই দেখা দিবে যখন আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ হবে না। নিয়ন্ত্রণের বাহিরে যেটা আপনার শরীরের জন্য খাওয়া ঠিক নয় সেই খাবারগুলো খেলে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিবে।
সারাদিন ঘরে শুয়ে থাকা যাবে না কিংবা আলো বাতাস থেকে দূরে থাকা যাবে না। সূর্যের আলো এবং প্রাকৃতিক বাতাস আপনার শরীরে প্রতিদিন কিছুক্ষণের জন্য হলেও গ্রহণ করতে হবে।
লিভার এবং কিডনির সমস্যা হওয়ার কারণে ভিটামিন ডি এর সমস্যা হয়। কারণ লিভার এবং কিডনির সাথে ভিটামিন ডি এর সংযুক্ত আছে। নিয়মিত ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার গুলো লিভার এবং কিডনি স্পর্শ পেলে সব সময় লিভার ভালো থাকবে।
ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার
ভিটামিন ডি জাতীয় খাবারগুলো হল মাছ, ডিম, মাশরুম। মাছ হচ্ছে চর্বি জাতীয় একটি খাবার। যে খাবারে প্রচুর পরিমাণ স্যালমন রয়েছে। মাছের পাশাপাশি মাছের ডিম খেতে হবে। ভিটামিন লিভার দিয়ে পূরণ করার জন্য মাছের ডিম ভূমিকা রাখবে।
অনেক অনেক উপকার একটি খাবার। যে খাবারটি সুস্বাদু যেমন উপকার ও রয়েছে তেমন। প্রতিদিন তোমার সব খাওয়ার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনার শরীরের ভিটামিন ডি জাতীয় শক্তি এবং দুর্বলতা নিয়ন্ত্রণে রাখবে। মাছের পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি খাবেন।
শিশুদের ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত লক্ষণ
শিশুদের শরীরে যখন ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা যাবে তখন তাদের মেজাজ পরিবর্তন হয়ে যাবে। কোন কিছু করতে গেলে রাগারাগি করবে। এবং খুব ভালোভাবে কিছু বললেও সে সহ্য করতে পারবেনা। আবার অনেক সময় পেশির ব্যথা দেখা দেয়।
হাড়ের ব্যথা, এই ধরনের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা হয়। একটা শিশুর ভিতর যখন সবকিছু বুঝতে পারবে তখন। শিশুকে ভিটামিন দিয়ে জাতীয় খাবার গুলো খাওয়াবেন। শিশুর শরীরে বেশ কয়েকদিন ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে তারা শান্তশিষ্ট হয়ে যাবে।
শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হলে কি কি সমস্যা হয়
শরীর দুর্বল হলে একটা সমস্যা থেকে আর একটা সমস্যা হতেই থাকে। যেমন মাথা ঘোরা, শ্বাস কষ্টের সমস্যা, এবং শরীরের চামড়া ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এজন্য উচিত যাদের শরীর দুর্বল হওয়ার লক্ষণ দেখা দেবে তারা সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায় চিকিৎসা করতে হবে।
পাশাপাশি পুষ্টিকর জাতীয় খাবার এবং ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার গুলো গ্রহণ করতে হবে। নয়তো দুর্বলতা সমস্যা নিয়ে বসে থাকলে পরবর্তীতে সেটা অতিরিক্ত ক্ষতিকর লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে।
ভিটামিন ডি এর অভাবে কোন রোগ হয়
ভিটামিন ডি এর অভাবে বড় ধরনের রোগ হতে পারে যেমন ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, প্রতিবন্ধী। এই রোগ গুলো হয়ে থাকে মূলত দীর্ঘদিন যাবত ভিটামিন ডি এর অভাব নিয়ে বসে থাকার কারনে। অনেক সময় ভিটামিনের অভাবে প্রতিবন্ধী হওয়ার লক্ষন বেশি দেখা দিতে পারে।
যাদের শরীরে ভিটামিনের অভাব আছে তাদের দেহের ভিতরে থাকা সংক্রামণ গুলো নির্দিষ্ট কোন কিছুর সাথে লড়াই করতে পারেনা। এজন্য আপনার শরীর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আশা করছি সহজেই বুঝতে পারছেন ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত রোগ গুলো।
শরীর দুর্বলতা সম্পর্কে আমার শেষ কথা
ইতিমধ্যে আপনি জেনেছেন কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয়। এবং শরীর দুর্বলতা কাটানোর জন্য কোন কোন খাবার গুলো গ্রহণ করতে হবে সেই সম্পর্কে। এখানে আমার শেষ মন্তব্য হচ্ছে আপনার শরীর দুর্বল হওয়ার আগে থেকেই সাবধান হয়ে যাবেন।
শরীর ভালো থাকা অবস্থায় যদি ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার গুলো ঠিকমতো গ্রহণ করতে পারেন। তাহলে শরীর দুর্বলতার লক্ষণ গুলো আপনাকে খুব সহজে আক্রান্ত করতে পারবে না। এছাড়াও যদি হঠাৎ করে শরীর দুর্বল হয়ে যায় সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং ভিটামিনের ফাইল খাবেন। প্রিয় দর্শক আজকের মত আমি এখানে শেষ করছি।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url