নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি - ব্রুন দূর করতে নিম পাতা ব্যবহার

নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি দূর করার উপায়। আপনার শরীরে এলার্জি থাকলে নিম পাতা ব্যবহারে এলার্জিকে চিরবিদায় করে দিবে। আপনার শরীরকে ভালো রাখতে নিম পাতা ব্যবহার করুন বেশি বেশি। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি দূর করা।

নিম-পাতার-উপকারিতা-এলার্জি

মুখে ব্রুন, কালো দাগ ভালো করবে এবং ত্বককে উজ্জল করে তুলবে। আপনি ভয়ানংক রোগ থেকে রহ্মা পেতে নিম পাতা ব্যবহার করুন নিয়মিত। নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি , যাদের শরীরের এলার্জি দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখতে চান তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি।

সূচিপএঃ নিম পাতার  উপকারিতা এলার্জি দূর করার উপায়

নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি 

নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি সম্পর্কে জানুন। আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি তাদের ভিতর প্রায় মানুষরা চিনে থাকি নিম গাছকে। কিন্তু অনেকে জানেনা যে নিম পাতার উপকারিতা গুলো। নিমপাতা মানুষের শরীরের অনেক উপকারী একটা জিনিস। নিম পাতা ব্যবহার করে মানুষের এলার্জি ভালো হয়ে যায়। এলার্জি মানুষের শরীরে অনেক কারনে হয়ে থাকে। কিন্তু সেই এলার্জি ভালো করতে গিয়ে অনেক ডাক্তারের কাছে থেকে অনেক ওষুধ কিনে খাচ্ছে তবুও কাজ হচ্ছে না। সেই এলার্জি এবার চিরতরে দূর করে দিবে নিম পাতার ব্যবহারে। 

আরো পড়ুন ঃ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়

১ কেজি নিমের পাতা রোদে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। সেই শুকনো দিনের কথা আবার পিশে গুড়া করতে হবে। গুড়া করার পরে পরিষ্কার একটি পাতিলে রাখুন। তারপর এক চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ এবং এক চামচ ইসবগুলের ভুষি আর এক গ্লাস পানি মিশিয়ে এক ঘন্টা তখন এক ঘন্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশিয়ে নিবেন। নেওয়ার পরে সেটা রেখে দিবেন পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এবং দুপুরে ভরা পেটে রাতে ঘুমানোর আগে খাবেন। টানা ২০ দিন খাবেন ৩০ দিন পর থেকে আপনার উপকারিতা শুরু হবে। 

চর্মরোগ নিম পাতার ব্যবহার

চর্মরোগ নিম পাতার ব্যবহার বিস্তারিত, আমাদের ভিতর অনেকেরই জানা আছে। নিম পাতার ব্যবহারে চর্মরোগ ভালো করা যায়। আবার অনেকেই জানেন না। যারা জানেন না তাদের জন্য সুখবর। আসুন এবার জেনে নিন নিম পাতার ব্যবহারে কিভাবে চর্মরোগ ভালো করবে। আমাদের প্রায় মানুষেরই চর্মরোগ হয়। বিশেষ করে বর্ষার সময় আরো বেশি মানুষের শরীরে চর্ম রোগ হয়। 

চর্মরোগ দূর করার একমাত্র কারণ হলো নিম পাতা ব্যবহার করা। যদি আপনি গোসলের সময় ও পানির সাথে একমুঠো নিম পাতা মিশিয়ে গোসল করেন। তাহলে আপনার শরীরের চর্মরোগ দূর হবে এবং শরীরকে ভালো রাখবে। প্রতিদিন গোসল করার সময় একমুঠো নিমপাতা মিশিয়ে গোসল করবেন টানা ২০ দিন গোসল করবে। তারপর আপনি আপনার উপকারিতা বুঝতে পারবেন। 

চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার 

চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার। মানুষের শরীরে কমবেশি প্রায় চুলকানি হয়ে থাকে। এই চুলকানির কারণে অনেকে অনেক কাজ করতে দ্বিধাবোধ করেন। অনেকের বিরক্তিকর কাজ হয়ে যায় চুলকানি।অতিরিক্ত চুলকানির ফলে এলার্জি হয়। এই নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি ভালো করবে। চুলকানির ফলে পরবর্তীতে ওই জায়গাগুলো ঘা হয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা অনেক সমস্যায় ভোগে। যাদের শরীরে চুলকানি আছে এবং যারা নিম পাতা ব্যবহার করে চুলকানি ভালো করতে চান দের জন্য এই আর্টিকেলটি। পুরোপুরি আর্টিকেল করবেন তাহলে বুঝতে পারবেন। আপনি যদি নিম পাতা নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন তাহলে শরীরের চুলকানি কমে যাবে। 

আরো পড়ুন ঃ৭ দিনে চিকন হওয়ার উপায়

অনেকেই জানেন নিমপাতার ব্যবহারে চুলকানি ভালো হয়। কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটা জানেন না। আপনার যদি শরীরে চুলকানি হয়ে থাকে। তাহলে একমুঠো নিমপাতা পানিতে ডুবিয়ে হালকা করে গরম করে নিবেন। তারপর কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে করে নিবেন। ঠান্ডা করার পর  গোসলের আগে ওই পানি দিয়েই গোসল করবেন। আর যদি আপনার শরীরের কোন অংশতে চুলকানি হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিম পাতা গরম করে নিয়ে চুলকানি অংশটিতে লাগিয়ে দিন পাতা। এভাবে ব্যবহার করবেন খুব দ্রুত আপনার চুলকানি ভালো হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। 

নিম পাতার বড়ি খেলে কি হয়

নিম পাতার বড়ি খেলে কি হয়। মানুষ অনেক সময় কাজ থেকে এসে ক্লান্ত হয়ে যাই। আবার কেউ কেউ আছে খাওয়ার সময় হজম শক্তি কমে যায়। এগুলো সমস্যা দূর করার জন্য নিয়মিত নিম পাতার বড়ি খেতে হবে। নিয়মিত যদি নিম পাতার বড়ি খান তাহলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। আপনার শরীরে যদি ক্লান্তি অনুভব সেগুলো দূর করবে। 

নিম-পাতার-বড়ি-খেলে-কি-হয়

আপনার যদি অসুস্থ হওয়ার সময় বমি বমি ভাব,  কিংবা কাশি হয়ে থাকে সেগুলো ভালো করবে একমাত্র নিম পাতার বড়ি। নিম পাতা বেঁটে রস বের করে নিবেন। রস বের করে সেই রস শুকিয়ে নিবেন। শুকানোর পর সেটা শক্ত হয়ে যাবে বড়ির মতো। তারপর ওই বড়ি খাবেন। নিম পাতার বড়ি খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের সকল সমস্যা দূর হবে।

নিম পাতার ব্যবহারে ফর্সা হওয়া

নিম পাতার ব্যবহারে ফর্সা হওয়া উপায়গুলো অনেকেরই জানা নাই। নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার করলে আপনি ফর্সা হবেন এবং আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করবে। মুখে কোনরকম কালো দাগ থাকলে দূর করবে। নিম পাতা যদি ব্যবহার করেন। নিমপাতা ব্যবহার করার নিয়মগুলো হল। প্রথমে আপনি নিমপাতা বেটে রস বের করে নিবেন। রস বের করা হলে আপনার যে জায়গায় দাগ আছে এবং কালচে ছাপ আছে যেখানে ওই রস লাগিয়ে দিন। 

কিছুক্ষণ রেখে দিবেন শুকিয়ে গেলে তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। এবং এটা আরেক পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতার রস বেটে নেওয়ার পর সেটাই সোপবার গুলে রসের ভিতর মিশিয়ে দিবেন। তারপর কিছুহ্মন ওটা ফ্রিজের ভিতর রেখে দিবেন।তারপর ওটা বের করে দেখবেন সাবান হয়ে গেছে। সেই সাবান ব্যবহার করে আপনে গোসল করবেন। তাহলে খুব দ্রুত আপনে ফর্সা হবে ইনশাআল্লাহ। 

ব্রুণ দূর করতে নিম পাতা ব্যবহার

ব্রুণ দূর করতে নিম পাতা ব্যবহার। আপনে কি ব্রুণ নিয়ে চিন্তায় আছেন, ব্রুণ এর কারনে বাহিরে বাড়াতে পারছেন না, লজ্জায় মানুষের কাছে মুখ দেখাতে পারছেন না, আজ থেকে এসব চিন্ত দূর হবে এই নিয়ম অনুযায়ী কাজ করলে। নিম পাতা আমাদের সকলের চিনা একটি গাছের পাতা। সেই নিম পাতা এবার করবে আপনার মুখের ব্রুণ দূর। প্রথমে নিমের পাতা ভেংগে নিয়াসপেন।তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে পাতা গুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন। ধুয়ে নেওয়ার পর সেটা পাটায় পিশে বেটে নিবেন।নিম পাতা বেটে রস বের করে পরিষ্কার একটা পাতিলে রস রাখবেন। নিম পাতা রসের সাথে একটু লেবুর রস মিশিয়ে নিবেন। ভালে করে মিশিয়ে নেওয়ার পর আপনার মুখে লাগিয়ে দিবেন ওই রস গুলো।

আরো পড়ুন ঃবাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম - বাংলা আর্টিকেল লিখে আয়

ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে দিয়ে কিছুহ্মন দেরি করবেন যাতে করে আপনার লাগানো রসগুলো শুকিয়ে যায়। শুকানো হলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন মুখ। এভাবে আপনে ৭ দিন ব্যবহার করতে পারলে আপনার ব্রুণ এর সমস্যা কতটুকু কমছে সেটা বুজতে পারবেন। নিম পাতার রস মুখে দেওয়ার পাশাপাশি আপনে পানি খাবেন বেশি বেশি।কারন পানি খাইলে ত্বককে শুষ্ক রাখে ফলে ব্রুণ নতুন করে উঠতে পারেনা। নিয়মিত ঘুম আসতে হবে।আপনার যদি ঠিকমতো ঘুম না হয় তাহলে কিন্তু নিম পাতার কোনো কাজ করবেনা এটা মাথায় রাখবেন।নিম পাতা ব্যবহার করার পাশাপাশি অবশ্যই নিয়মিত ঘুমাতে হবে এবং বেশি বেশি পানি খেতে হবে।

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় জানেন। নিম গাছ তো আমরা অনেকেই চিনে থাকি। এটি এমম একটি গাছ যায় ডাল থেকে শুরু করে পাতা পযন্ত ওষুধ এর মতো কাজ করে। আপনে যদি প্রতিদিন সকালে এক চা চামিচ করে নিম পাতার রস খান তাহলে আপনার শরীরকে সঠিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রাখবে। আপনার শরীরে যদি কোনে সমস্যা হয়ে থাকে অথবা আপনার যদি ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। তাহলে আপনে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চা করে নিম পাতার রস খাবেন। 

সকালে নিম পাতার রস খেলে আপনার শরীরের হ্মতিকর ব্যাকটেরিয়া দূর করবেন। সকালে খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে রক্ত পরিষ্কার করবে। নিম পাতা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের কৃমি দূর হয়ে যানে। নিম পাতা মানবদেহের জন্য অনেক উপকারী একটি পাতা। আপনার মুখে যদি কোনো হ্মতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকে তাহলে নিম পাতা বেটে রস বের করে।ওই রস আপনার মুখে লাগিয়ে দিলে ভালো দূর হয়ে যাবে আপনার সেই হ্মতিকর ব্যাকটেরিয়া।

নিম পাতার হ্মতিকর দিক গুলো

নিম পাতার হ্মতিকর দিক গুলো সম্পর্কে জানুন। খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে যেমন উপকার আসবে তেমনি হ্মতিকর দিক ও রয়েছে। খালি পেটে অতিরিক্ত নিম পাতার রস খাওয়া যাবেনা। এতে করে আপনার মাথা ঘুরতে পারে। আবার বমি বমি ভাব হয়ে পারে, খালি পেটে টানা অনেক দিন ধরে নিম পাতার রস খাইলে ডায়াবেটিস হয়ে যেতে পারে।

নিম-পাতার-হ্মতিকর-দিক-গুলো

অতিরিক্ত নিম পাতা অথবা নিম পাতার রস খেলে কিডনির সমস্যা দেখা দিবে। গর্ভপাত  হবে। খালি পেটে ৩০ দিনের বেশি নিম পাতা খাইলে লিভারের সমস্যা হতে পারে। তাই আমি বলি অতিরিক্ত কোনো কিছুই ব্যবহার করবেন না। নিম পাতা অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে উপকার না হয়ে হ্মতি হয়ে যাবে আপনার শরীরের। 

আমাদের শেষ মন্তব্য 

নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি । নিম পাতার ব্যবহারে এলার্জি দূর করবে। এবং আমাদের শরীরকে সঠিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে। আবার নিম পাতা ব্যবহারের ফলে শরীরকে হ্মতির দিকেও নিয়ে যেতে পারে। নিম পাতা ব্যবহার করার আগে অবশ্যই নিম পাতার ব্যবহার গুলো জানতে হবে। নিম পাতার ব্যবহারের নিয়ম না জেনে আপনে নিম পাতা ব্যবহার করবেন না। আর নিয়ম জেনে যদি ব্যবহার করে তাহলে আপনার ভালো ফলাফল আসবে নিম পাতার ব্যবহারে।নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি। এলার্জি ভালো করবে নিম পাতার ব্যবহারে। মুখে কালো  দাগ অথবা কালে ছাপ পড়লে সেটা দূর করবে। চোখ মুখে ব্রুণ নিম পাতা বেঁটে ব্যবহার করলে ভালো হয়ে যাবে।

আরো পড়ুন ঃ বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম - বাংলা আর্টিকেল লিখে আয়

আপনার শরীরে যদি ডায়াবেটিস থাকে প্রতিদিন সকালে এক চামচ করে নিম পাতার রস খাবেন। নিম পাতার রস খাওয়া ফলে আপনার অপরিষ্কার রক্ত কে পরিষ্কার করতে ভূমিকা রাখবে।কিন্তু নিম পাতা ব্যবহার করতে হবে অল্প অল্প করে।তাহলে আপনার শরীরে উপকারে আসবে নিম পাতা। আর যদি তারাতারি ভালে হবে এটা ভেবে যখন আপনে অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন। 

তখন আপনার উপকার না হয়ে হ্মতির দিকে প্রভাব ফেলবে। নিম পাতার ব্যবহারে যাদের শরীরে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন না তারা আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোপুরিভাবে পরুন তাহলে বুজতে পারবেন নিম পাতার উপকারিতা। আশা করছি আমার কথা গুলে বুজতে পারছেন আপনারা। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি সবাই ভালে থাকবেন আর যদি আমার কোনো জায়গায় ভুল হয়ে থাকে তাহলে সেটা আপনারা হ্মমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :

comment url