ষাট গম্বুজ মসজিদ কোন যুগের ঐতিহাসিক মসজিদ - ষাট গম্বুজ মসজিদ কোন জেলায় অবস্থিত জেনে নিন
ষাট গম্বুজ মসজিদ কোন যুগের ঐতিহাসিক মসজিদ জেনে নিন। ষাট গম্বুজ মসজিদ বিশ্বের অন্যতম এবং ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর মধ্যে একটি। যেটা সুলতান নসিরউদ্দিন শাহ যুগের ঐতিহাসিক মসজিদ। যার অনেক ইতিহাস রয়েছে।
ষাট গম্বুজ মসজিদের নাম বললে হয়তো অনেকেই চিনতে পারবেন। কিন্তু এই মসজিদের সকল ইতিহাস বেশিরভাগ মানুষ বলতে পারবেনা। ষাট গম্বুজ মসজিদ সম্পর্কে ইতিহাস জানলে আপনি অবাক হয়ে যেতে পারেন। এছারাও এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পারবেন ষাট গম্বুজ মসজিদ কিভাবে তৈরি।
সূচিপত্রঃ ষাট গম্বুজ মসজিদ কোন যুগের ঐতিহাসিক মসজিদ জেনে নিন
- ষাট গম্বুজ মসজিদ কোন যুগের ঐতিহাসিক মসজিদ
- ষাট গম্বুজ মসজিদের ইতিহাস
- ষাট গম্বুজ মসজিদ কে নির্মান করেছিলেন
- ষাট গম্বুজ মসজিদ কত সালে নির্মান হয়েছিল
- ষাট গম্বুজ মসজিদ কোন জেলায় অবস্থিত
- ষাট গম্বুজ মসজিদ কোন স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত
- ষাট গম্বুজ মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব
- ষাট গম্বুজ মসজিদ কত তম বিশ্ব ঐতিহ্য
- ষাট গম্বুজ মসজিদ খোলা এবং বন্ধের সময়সূচি
- বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদে যাওয়ার উপায়
- বাগের হাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ সম্পর্কে কিছু উক্তি
- ষাট গম্বুজ মসজিদ সম্পর্কে আমাদের শেষ কথা
ষাট গম্বুজ মসজিদ কোন যুগের ঐতিহাসিক মসজিদ
বাংলাদেশের বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন স্থানগুলোর মধ্যে ষাট গম্বুজ মসজিদ একটি। মুসলিম স্থাপত্যের কারণে এই মসজিদটি বাগেরহাট শহরকে এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ষাট গম্বুজ মসজিদ অনেকের কাছে পরিচিত একটি মসজিদ। তারপরও এই মসজিদটি নিয়ে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
আরো পড়ুনঃ জাফরান খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - জাফরান খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নিন
- এর কারণ হলো ষাট গম্বুজ মসজিদ কোন যুগের মসজিদ এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সঠিকভাবে কেউ এখনো পায় নাই। ষাট গম্বুজ মসজিদ অনেক আগের। সে সময় কোনো কিছু তৈরি করলে সেটার সব তথ্য এবং ইতিহাস গুলো সংরহ্মন করতে পারেনাই। যার কারনে ষাট গম্বুজ মসজিদ কোন যুগের এটা কেও সঠিক বলতে পারেনা।
- তবে অনেকে ধারনা করে বলে ১৫শ খ্রিস্টাব্দে তৈরি হয়েছিল। মোঘল আমলের সুলতান নাসির উদ্দিন শাহ থাকতে তৈরু করা হয়েছিল। কিভাবে তৈরি হয়েছিল সেটাও জানা নেয় কারো। এবং পরবর্তীতে মসজিদের ইতিহাস বৃদ্ধি পেতে থাকে।
- যার কারনে ষাট গম্বুজ মসজিদের ইতিহাস রয়েছে অনেক। এর ভিতর থেকে কিছু কিছু ইতিহাস জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। আসুন এবার জেনে নিন ষাট গম্বুজ মসজিদের রহস্যময় ইতিহাস।
- ষাট গম্বুজ মসজিদ টি অনেক বড় একটি জায়গা নিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। যার উত্তর দিকে এবং দহ্মিন দিকে ১৬০ ফুট নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এবং এর ভিতরের দিকে প্রায় ১৪৩ ফুট লম্বা। পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে ১০৪ ফুট চওড়া। এছাড়া মসজিদটির প্রতিটি দেয়ালগুলো প্রায় ৮.৫ ফুট পুরু।
- সম্পূর্ন মসজিদ মিলে ৮১ টির মতো গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজের লাইন ছিল সাত টি, প্রতিটি লাইনে ১১ টি করে গম্বুজ তৈরি করা হয়েছে। এবং মসজিদের চার কোনায় চারটি গম্বুজ তৈরি করা হয়েছে মোট ৮১ টি গম্বুজ সাজিয়ে তৈরি করেছিলেন।
ষাট গম্বুজ মসজিদের ইতিহাস
ইতিমধ্যে আপনি জেনেছেন ষাট গম্বুজ মসজিদ কোন আমলের ঐতিহাসিক মসজিদ। এবার জেনে নিন মসজিদটির ইতিহাস সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য। বাগেরহাট শহরের ঐতিহাসিক মসজিদ ষাট গম্বুজ মসজিদ। যেটা নিয়ে নানান গবেষণা এবং আলোচনা কম হয়নি। দিন যতই যাচ্ছে ততই নতুন নতুন গবেষণা এবং নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে ষাট গম্বুজ মসজিদ থেকে।
- অনেকে এর সত্য ইতিহাস জানার জন্য বিভিন্ন রকম সমালোচনা করেছেন। আবার অনেকেই এই মসজিদের নাম নিয়েও গবেষণা করেছেন যে এই নামটি কেন হল এই মসজিদের। মসজিদ এর নাম ষাট গম্বুজ হওয়ার কারণ হলো। প্রথমত এই মসজিদের নাম সাত গম্বুজ ছিল। অনেকেই ভাবতো মসজিদের উপরে সাতটি লাইনে গম্বুজ থাকার কারনে এর নাম সাত গম্বুজ।
- যখন ষাট গম্বুজ হয় তখন আবার অনেকেই ভাবেন মসজিদের অভ্যন্তরে ৬ টি লাইনে ১০ টি করে মোট ষাট টি পাথরের খাম্বার উপর মসজিদের সাদ তৈরি করা হয়েছে। আবার অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে ৮১ টি গম্বুজ তৈরি করা হয়েছে তারপরও এর নাম ষাট গম্বুজ হল কেন। এখানে অদ্ভুত একটি বিষয় হলে মসজিদে ছাদ নাই। বিভিন্ন মসজিদ তৈরির করা হয় ছাদ ব্যবহার করে।
- তবে এখানে ছাদ না থাকার কারন হচ্ছে ছাদের জায়গায় গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজ না থাকলে হয়তো ছাদ তৈরি হয়ে যেত মসজিদের উপর। তাই আমরা গম্বুজ কেও এক রকম ছাদ বলতে পারবো। অনেকে আবার ছাদ না থাকার জন্য মসজিদকে ছাদ গম্বুজ বলে ডাকতো। একরা সময় গিয়ে সেটাও পরিবর্তন করে ষাট গম্বুজ নাম রাখা হয়েছিল। বিভিন্ন দিক যাচাই বাছাই করে ৬০টির দিক সংখ্যা বেশি।
- মানে ৬০টি স্তরের উপরে অর্থাৎ ৬০টি খামবাজের উপরে থাকার কারনে সেটা থেকে ষাট গম্বুজ নাম করনের ঐতিহ্য পেয়েছে। তারপর থেকে অনেকে ষাট গম্বুজ নাম করন করা শুরু করে। আস্তে আস্তে প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে যখন ষাট গম্বুজ মসজিদ বলা শুরু করেছিল। তখন এই মসজিদের নাম রাখা হয় ষাট গম্বুজ মসজিদ।
- বর্তমান সময়ে ষাট গম্বুজ মসজিদে হাজার হাজার মানুষ নামাজ পড়তে আসে। শুধুমাএ যে বাংলাদেশ থেকেই মানুষ নামাজ পড়তে যায় তা নয়। ভারত থেকেও অনেক মানুষ নামাজ পড়তে আসে এই মসজিদে। আবার কেও কেও ষাট গম্বুজ মসজিদের আসে পাশে ভ্রমন করতে গেলে নামাজ পরার সময় হলে সেখানে নামাজ পড়তে যায়।
- প্রাচীন কাল থেকেই মসজিদে নামাজ পরলে কোনো টাকা নেওয়া হয়না। সবাইকে ফ্রি তে নামাজ পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। মসজিদের ইমাম ছিলেন মোঃ হেলাল উদ্দিন। মসজিদের ইমামের জন্য জানা গিয়েছিল এটি বাংলাদেশের মধ্য সাধারন কোন মসজিদ নয়। এখানে খান জাহানের দরবার হিসেবে কাজ করা হতো। যার জন্য এই স্থানে দশ টির মত মিহরাব ছিল।
- নতুন রূপে জানা যায় এই মসজিদটি ১৯৩৩ সালে পাকিস্তানি সরকার মেরামত করেছিলেন। তারপর থেকে নিয়মিত প্রয়োজনীয় যে কাজগুলো ছিল সেই কাজগুলো করা শুরু করে। ১৯৮৫ সালে এসে মসজিদটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ডের হেরিটেজ সাইটে পরিণত হয়েছিল।
- এই মসজিদের পাশে রয়েছে জাদুঘর। যে জাদুঘরটি ষাট গম্বুজ মসজিদের দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত । ১৯৯৫ সালে জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এছাড়াও তার আশেপাশে অনেক সুন্দর সুন্দর দীঘি রয়েছে। দীঘিটি অনেক বড়। পুরোটায় কচুরিপানায় ভর্তি। এছারাও দীঘিতে কমির রয়েছে। দীঘিটির চারপাশ সবুজ গাছপালা দিয়ে সাজানো। যার কারনে মসজিদের আশেপাশের জায়গা গুলো দেখতে অনেক সুন্দর।
ষাট গম্বুজ মসজিদ কে নির্মান করেছিলেন
ষাট গম্বুজ মসজিদ সুলতান নসিরউদ্দিন শাহ আমলে পীর খান জাহান আলী পঞ্চদশ শতাব্দীতে নির্মান করেন। মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল পোড়ামাটি এবং পাথর দিয়ে। এছাড়া মসজিদের চার কোণে যে চারটি গম্বুজ তৈরি করা হয়েছিল সেটি ছিল ইট দিয়ে তৈরি করা। যেটা নির্মাণ করতে বহু অর্থ খরচ করা হয়েছিল।
যে পাথরগুলো দিয়ে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল সেই পাথরগুলো ছিল রাজমহল থেকে আমদানি করা। পাথরগুলো কিভাবে আনা হয়েছিল তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে এই মসজিদটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যা প্রতিটি মানুষের নজর কারে। এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর মধ্যে এটি একটি বলা যেতে পারে।
যেখানে বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা ঘুরতে যান। এই মসজিদ টি বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত। যে মসজিদ নিয়ে বেশির ভাগ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। ৮১ টি গম্বুজ দিয়ে তৈরি মসজিদ তবুও এর নাম ষাট গম্বুজ হয়েছে তার জন্য।
ষাট গম্বুজ মসজিদ কত সালে নির্মান হয়েছিল
ষাট গম্বুজ মসজিদ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল ১৪৪২ সালে। বহুদিন ধরে কাজ চলমান ছিল। শেষ পর্যন্ত ১৯৯৯ সালে এসে এই মসজিদটি সমাপ্ত হয়েছে। এটি তৈরির মূল কারণ হলো পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে বাগেরহাট জেলার ম্যানগ্রোভ একটি বন ছিল, সেই বনে খান জাহান আলী নামে একটি মুসলিম প্রতিষ্ঠা করেন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি - শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
এরপর তিনি সমৃদ্ধ নগরীতে সাধু সঙ্গ পরিচালনা লরা শুরু করেছিলেন। সেই সময়টা ছিল সুলতান নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহের আমলের। এর ভিতর খান জাহান আলী আরো ১২ টার বেশি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন তার জেলার ভিতরে। সেই সময়ে ষাট গম্বুজ মসজিদ টির নাম ছিল শৈ-গুম্বাদ।
সবগুলো মসজিদ তৈরির ভিতর থেকে সেই মসজিদটি ছিল অনেক আকর্ষণীয় একটি মসজিদ। কিন্তু তখন মসজিদের ডিজাইন গুলো সম্পর্কে মানুষের ততটা ধারণা ছিল না। পরবর্তীতে এসে যখন গবেষণা করে দেখতে পাই মসজিদের ৬০ খাম্বার ওপর তৈরি করা হয়েছে মসজিদ তারপর থেকে ষাট গম্বুজ মসজিদ নামে পরিচিত হয়ে যায়।
ষাট গম্বুজ মসজিদ কোন জেলায় অবস্থিত
ষাট গম্বুজ মসজিদ বাগেরহাট জেলায় অবস্থিত। বাগেরহাট জেলাকে আপনি বলতে পারেন এটি একটি মসজিদের শহর। বাগেরহাট জেলার দহ্মিন এবং পশ্চিমে রয়েছে প্রাচীন মসজিদ। বর্তমানে এই জেলাটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বাগেরহাট শহরের নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। বাগেরহাটের নাম পরিবর্তন করে নতুন করে যে নামটি রাখা হয়েছিল সেটি হল খলিফাতাবাদ তুর্কি।
- খুলনা থেকে ১৫ মাইল পূর্বে অবস্থিত রয়েছে মসজিদটি। এছারাও যদি কেও ঢাকা থেকে আসতে চান তাদের অনেক দূরের রাস্ত হবে। কারন ঢাকা থেকে প্রায় ২০০ মাইলের মতো দহ্মিন পশ্চিমে অবস্থিত ষাট গম্বুজ মসজিদ। এই শরহটি সম্পূর্ণ রুপে গড়ে তোলেন সেনা প্রধান খান জাহান আলী। শহরের পাশাপাশি ষাট গম্বুজ মসজিদকে ঐতিহাসিক স্থাপিত গড়ে তোলেন।
- মসজিদ টির কোন জায়গায় লিখা না থাকার কারনে কে নির্মান করেছিলেন এবং কিভাবে নির্মান হয়েছিল তা জানা যায়নি। কিন্তু আস্তে আস্তে গবেষণার মাধ্যমে অনেক ইতিহাস জানতে পেরেছে। মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য সাতটি সারী রয়েছে। যেখানে ২১ টি কাতার দিয়ে নামাজ পড়া যায়। এই কাতার অনুযায়ী প্রায় তিন হাজার মানুষ এই মসজিদে নামাজ পড়তে পারবে।
- ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের ও রয়েছে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা। এবং মেয়েদের নামাজ পড়ার জায়গা আলাদা। যেখানে নামাজ পড়লে অনেক সুন্দর একটি অনুভূতি প্রকাশ পায় মনের ভিতর। এমন একটি জায়গায় মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে, যেখানে কোন ধরনের ইলেক্ট্রনিক আলো বাতাসের প্রয়োজন হয় না। মসজিদের আশেপাশে গাছপালা থাকার কারনে সব সময় বাতাস আসতেই থাকে। মসজিদের ভিতরে গেলে মনে হয় যে কোন এক আলো বাতাসের ভিতরে আছি।
- মসজিদের উত্তর এবং দক্ষিণ পাশে রয়েছে ছয়টি ছোট ছোট খিলান। এবং একটি বড় খিলান রয়েছে। মসজিদের প্রতিটি দেওয়াল গুলো ৮ ফুট করে চওড়া। প্রতিটি খিলান গুলো এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। যে খিলান গুলো সবার নজর কারবে। সবকিছু মিলিয়ে বলা যেতে পারে এটি অদ্ভুত একটু মসজিদ।
ষাট গম্বুজ মসজিদ কোন স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত
ষাট গম্বুজ মসজিদ এটি মূলত মোঘল এবং সুলতানি স্থাপত্যের একটি মিশ্রণ। এটি আমাদের কম বেশি সবারই পরিচিত একটা ঐতিহাসিক এবং অনেক বিচিত্রময় মসজিদ। এই মসজিদটি সুলতানি শাসন আমলে নির্মাণ করা হয়েছিল, যা এর কিছু বৈশিষ্ট্য দেখলে আমরা বুঝতে পারি। এই মসজিদের বিচিত্রময় গম্বুজ, অলংকৃত খিলান, বৃহৎ পিলার এবং জটিল অলংকরণ দেখার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি যে এই মসজিদটি সুলতানি শাসন আমলে নির্মাণ করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম - বাংলা আর্টিকেল লিখে আয়
এবং এই মসজিদের স্থাপনায় কিছু মোঘল প্রভাব দেখা যায়। বিশেষ করে এই মসজিদে মসজিদের আয়তাকার প্রান্ত এবং পাথরের ব্যবহার। এই মসজিদটি মুঘল স্থাপত্যের একটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় বৈশিষ্ট্য হলোঃ এই মসজিদে ষাট গম্বুজ রয়েছে যা মোঘল শাসনামলের সাধারণ স্থাপনা স্টাইলের প্রতিফলন পরিলক্ষিত।
- এই মসজিদে ব্যবহৃত শিলালিপি এবং কারু কাজ মুঘল স্থাপনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। কারণ এই বিষয়গুলো মোগল শাসনামলের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন যায় মসজিদের চারপাশে কিছু সূক্ষ্ম কারো কাজ দেখলে বোঝা যায়।
- এই মসজিদের ধর্মীয় গুরুত্ব: ষাট গম্বুজ মসজিদ মুসলিম ধর্মের মানুষের জন্য বাংলাদেশের একটি বড় ইসলামী ইতিহাসে পাতায় নাম লিখিয়েছে। এটি মুসলিম ধর্মের মানুষের জন্য একটি পবিত্র স্থান যেখানে মুসলিম ধর্মের মানুষেরা নিয়মিত তাদের আল্লার স্মরণ এবং তার কাছে প্রার্থনা করতে পারে।
- এবং এই মসজিদের বিচিত্রময় গম্বুজ গুলি মসজিদটি আল্লাহর মহিমা এবং আল্লাহর সত্তার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই মসজিদটির স্থাপনা কৌশল এবং এই মসজিদের আধ্যাত্মিকতা মুসলমানদের জন্য একটি বিশেষ জ্ঞানের বিস্তার ঘটায় যা মুসলিমদের এই মসজিদে আসার জন্য আকৃষ্ট করে।
- সামাজিক প্রভাব: সমাজে ষাট গম্বুজ মসজিদের অনেক গুরুত্ব রয়েছে এবং এর প্রভাব ও রয়েছে ব্যাপক। প্রাচীন কাল থেকেই এই মসজিদটি মুসলিম শাসন অবস্থায় ছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি সামাজিক কেন্দ্র বিন্দু।
- এই মসজিদে মুসলিমরা তাদের ধর্মীয় নানা ধরনের আচার অনুষ্ঠান পালন করতো তাদের রবের প্রার্থনার পাশাপাশি। এবং এর আশেপাশে বহু মানুষ বসবাস করত এবং মুসলিমদের পাশাপাশি এটা সামাজিক ঐক্যবদ্ধতার এক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছিল। এবং এই জায়গাকে ঘিরে নানা ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান পালন করা হতো।
- এই মসজিদের সংস্কৃতি ও শিক্ষা: ষাট গম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের এক অনন্য সংস্কৃতি ও শিক্ষার বিকাশ ঘটেছে। এই মসজিদের বিচিত্রময় শিল্প কারুকাজ এবং সৌন্দর্য মানুষকে সৃজনশীল এবং আধ্যাত্মিক চিন্তাভাবনা তৈরি করতে সহায়তা করে।
- এটি শুধুমাত্র একটি মসজিদ নয় বরং এটি একটি সামাজিক শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দু। এই মসজিদটি ইসলামী শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে কাজ করে, যেখানে মুসলিম ধর্মীয় মানুষের জন্য রয়েছে এক অনন্য জ্ঞান অর্জন করার ব্যবস্থা।
- ষাট গম্বুজ মসজিদের সৌন্দর্য: মসজিদটির নামটি থেকে আমরা সহজেই বুঝতে পারি যে এটি প্রাচীনকালের একটি অন্যতম এবং অনেক বিচিত্রময় বৈশিষ্ট্যের একটি মসজিদ। এই মসজিদগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে বিচিত্রময় নানা কারুকলাপের গম্বুজ যা দেখতে অনেক আকর্ষণীয় এবং সুন্দর লাগে।
- গম্বুজ গুলো গোল করে তৈরি করা এবং সুক্ষ সুক্ষ কারুকাজ গুলো মসজিদের যেন এক সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কাজগুলো আমাদের প্রাচীন সভ্যতার সৌন্দর্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। মসজিদের বাহিরে সবুজ গাছপালায় ঘেরা। সারি সারি নারিকেল গাছ এবং খেজুর গাছ দারিয়ে আছে। এছারাও মাটির উপরে সবুজ ঘাসে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে তুলেছে। তার আশেপাশের পরিবেশ ও অনেক সুন্দর।
- আর্কিটেকচারাল সুষমতা: এই মসজিদটি দেখলে আমাদের আধুনিক আর্কিটেকচারাল সুশমতার কথা মনে পড়ে যায়। বিশেষ করে এই মসজিদের চারটি দরজা রয়েছে যেগুলো মসজিদের প্রতিটি দিককে নির্দেশ করে এবং প্রতিটি দরজায় বিশাল আকারের এবং তাদের মুখোমুখি গম্বুজ গুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য সুষ্মতা সৃষ্টি করে, যা এই মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
- তাছাড়াও মসজিদের দেয়ালে ব্যবহৃত পাথর এবং ল্যাজেট টাইলসের কাজ মসজিদের সৌন্দর্যকে আরো অনেক ফুটিয়ে তোলে। ষাট গম্বুজ মসজিদের ভিতরের ৬০ টি স্তম্ভ পিলার পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। সম্পূর্ণ মসজিদটি তৈরি করার মধ্যম মূল উপাদান ছিল কালো পাথর, চুন এবং ছোট ছোট ইট।
- ষাট গম্বুজ মসজিদের স্থাপত্যকলার সাথে এশিয়ার তুঘলক মসজিদের অনেকটাই মিল রয়েছে বলে দাবি করেন গবেষকরা। মসজিদের বাহিরের দেয়ালের কারু কাজ এবং অতুলনীয় নকশা তৈরি করার জন্য মসজিদটির শয্যা সৌন্দর্যের নির্লজ সঙ্গতিপূর্ণ।
ষাট গম্বুজ মসজিদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব
বাংলাদেশের সেরা ঐতিহাসিক স্থান হল খান জাহান আলীর ষাট গম্বুজ মসজিদ। এছারাও মসজিদটি বেশ কিছু স্থানের মধ্যে ইউনেস্কো বিশ্বর ঐতিহাসিক নামের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। মসজিদটি অনেক পুরোনো হলেও তার চাহিদা কখনো কমেনাই। তবে অনেকের ধারনা মতে এটি ১৫শো বছর আগের অর্থাৎ সুলতান নাসির উদ্দিন শাহ আমলের।
বলতে গেলে এটির সৌন্দর্য দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। বাগেরহাট জেলার ঐতিহাসিক স্থান বলে দাবি করা হয়ে ষাট গম্বুজ মসজিদ। যেটি কিনা বিশ্বের ঐতিহ্য ঘোষনা করে ইউনেস্কো। বাগেরহাট জেলার জন্য অনেক গর্বের বিষয়। বাংলাদেশকে বিশ্বের ছোট দেশ বলে দাবি করলেও ঐতিহাসিক স্থান গুলো সারা বিশ্বের কাছে উপস্থাপনা করতে পারে।
ষাট গম্বুজ মসজিদ কত তম বিশ্ব ঐতিহ্য
বিভিন্ন মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে যে বাগেরহাট জেলার ঐতিহাসিক মসজিদ ষাট গম্বুজ মসজিদের কত তম বিশ্ব ঐতিহ্য। অনেকের দাবিতে ৩২১ তম বিশ্ব ঐতিহ্য বলে ঘোষণা করে হয়েছে। যদিও এটা ১০০% সঠিক হবেনা। তবে প্রাচীন যুগের মানুষরা গননা করেছে যার কারনে এটাকে সঠিক দাবি করা হয়েছে।
ষাট গম্বুজ মসজিদে কেও যদি ঘুরতে যান অবশ্যই টিকিট প্রয়োজন হবে। টিকিট ছারা প্রবেশ করতে পারবেন না। যদিও অনেক আগে ফ্রি তে যাওয়ার সুযোগ ছিল। পরবর্তীতে মসজিদের সৌন্দর্য এবং ভাস্কর্য তৈরি হয়েছে। যার কারনে টিকিট প্রযোজন হয়। বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য প্রতিটি টিকিটের মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ২০ টাকা করে।
প্রথমে ২০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করলে সবকিছু ফ্রি তে ঘুরতে পারবেন। পরবর্তীতে আর কোনো টাকার প্রয়োজন হবেনা। আর যদি কেও দেশের বাহির থেকে ঘুরতে আসেন তাদের জন্য প্রতিটি টিকিটের মূল্য ২০০ টাকা করা হয়েছে। এই মূল্য সব সময় একই থাকবেনা। সময়ের সাথে সাথে মূল্য বেড়ে যাবে।
একবার টিকেট কেটে ভিতরে প্রবেশ করলে আপনি ষাট গম্বুজ মসজিদের পাশেই জাদুঘর রয়েছে সেগুলো দেখতে পাবেন ফ্রিতে। এছাড়াও তার ভিতরে বিভিন্ন ধরনের প্রাচীন সমৃদ্ধ জিনিসপত্র রয়েছে সেগুলো দেখার জন্য এক টিকিট থাকলেই হবে।
ষাট গম্বুজ মসজিদ খোলা এবং বন্ধের সময়সূচি
ষাট গম্বুজ মসজিদে যেকোনো সময় যেতে পারবেন না আপনি। এর কারন হল সব সময় খোলা থাকেনা ষাট গম্বুজ মসজিদ। সেখানে কেও ঘুরতে গেলে অবশ্যই তার সময়সূচি জানা দরকার। সপ্তাহে কত দিন খোলা থাকে এবং কোন কোন সময় মসজিদটি খোলা পাবেন জেনে নিন।
রবিবার সারাদিন বন্ধ থাকে। তারপরের দিন সমবারে ২ টার পর খোলা হয়। এবং ৬ টা সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাছারা গরমকালে সমবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৯ টা সময় খোলা হয় এবং ৬ টা সময় বন্ধ করে দেওয়া হয় মসজিদটি। শীতকালে সকাল ১০ টা সময় খোলা হয় বিকেল ৫ টাই বন্ধ করা হয়।
এছারাও মসজিদের সঠিক নির্দেশ অনুযায়ী শীতকাল এবং গরমকাল উভয় মিলে দুপুর ১ টা থেকে ১.৩০ পযন্ত বন্ধ থাকে। শুক্রবার নামাজ আদায় করার জন্য দুপুর ১২ টা থেকে ৩.৩০ টা পযন্ত কেল্ল খোলা রাখা হয়। রাতে থাকার মতো তেমন কোনো ব্যবস্থা নাই।
বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদে যাওয়ার উপায়
ষাট গম্বুজ মসজিদের নাম বললে হয়তো অনেকে চিনতে পারবেন। কিন্তু এই মসজিদটি কখনো তারা নিজের চোখে দেখেন নাই। যারা নতুন অবস্থায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তাদের কাছে বেশি মন্তব্য পাওয়া যায় যে কিভাবে যা যাবে ষাট গম্বুজ মসজিদ দেখতে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ জেনে নিন
- তাই আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন। মসজিদ চিনতে না পারেন তাহলে কিভাবে যাবেন জেনে নিন। প্রথমে আপনার বাগেরহাট শহরে আসতে হবে। বাগেরহাটে শহরে যাওয়ার জন্য ঢাকার গাবতলী থেকে বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির বাস বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে যাই।
- ঢাকার গাবতলী থেকে যদি আপনি এসি বাসে করে বাগেরহাট শহরে যান তাহলে ৭০০ টাকা ভাড়া লাগবে। বাগেরহাট শহরে আসার পরে রিক্সা কিংবা অটোতে উঠে আপনি ষাট গম্বুজ মসজিদে আসতে পারবেন।
- কিংবা আপনি যদি ট্রেনে যেতে চান তাহলে সরাসরি ট্রেন থেকে খুলনা স্টেশনে নেমে পড়বেন। তারপর খুলনা থেকে আপনি বাসে উঠে আসতে পারবেন। বাস থেক সরাসরি বাগেরহাট শহরে এসে নেমে পরবেন তারপর সেখান থেকে অটো কিংবা রিক্সা নিতে হবে তাহলে আপনি ষাট গম্বুজ মসজিদের কাছে আসতে পারবেন।
- থাকার সুব্যবস্থা: যারা অনেক দূর দুরান্ত থেকে ঘুরতে আসেন তারা খুব সহজেই থাকার জায়গা পেয়ে যাবেন।। মসজিদের পাশে থাকার কোনো জায়গা নাই। তবে বাগেরহাট শহরে অনেক ভালো এসি এবং নন এসি হোটেল পাবেন থাকার জন্য। সেখানে খুব ভালো ভাবে থাকতে পারবেন।
- যারা ২-৩ দিন থাকার ইচ্ছে নিয়ে ষাট গম্বুজ মসজিদে ঘুরতে আসার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তাদের জন্য এটা একটি সুখবর। বাগেরহাট শহরের পরিবেশ অনেক ভালো, অনেক মনোরম একটি পরিবেশ। ষাট গম্বুজ মসজিদ থেকে বাগেরহাট শহর বেশি দূরে নয়। তবে মসজিদ থেকে রিক্সা কিংবা অটোতে উঠে আসতে হবে বাগেরহাট শহরে।
বাগের হাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ সম্পর্কে কিছু উক্তি
ষাট গম্বুজ মসজিদ সুলতান নাসির উদ্দিন শাহ আমলের হলেও। বাগেরহাটে শহরকে ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ষাট গম্বুজ মসজিদের অনেক অবদান রয়েছে। এ মসজিদটির জন্য হয়তো বাগেরহাট শহরের বিভিন্ন মানুষ দূর দূরান্ত থেকে বেড়াতে যায়।
- বর্তমান সময়ে তার থেকে উন্নত মানের মসজিদ তৈরি করলেও, প্রাচীন সভ্যতার স্থানগুলোর চাহিদা যেন মোটেও কমে না। বাগেরহাট শহরকে বিভিন্ন মানুষের মুখে পরিচিত এনে দেওয়ার পিছনেও রয়েছে ষাট গম্বুজ মসজিদের অবদান। জায়গাটির উপর মানুষের চাহিদা বাড়ার কারণে দিন দিন মসজিদে চারপাশ আরো উন্নত করে তুলছে।
- যারা অনেক আগে গিয়েছিলেন তারা যদি বর্তমান সময়ে আবার যান। তাহলে দেখতে পারবেন আগের থেকে অনেকটা পরিবর্তন হয়ে গেছে মসজিদের আশেপাশের স্থানগুলো। যার কারনে এখন টিকিট কি নিয়ে তারপরে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়। প্রথম অবস্থায় টিকিটের দাম কম নিলেও আস্তে আস্তে সেটার দাম অনেকটা বেড়ে গেছে।
- এটির পিছনের কারণ হলো মসজিদটির আশেপাশের জায়গা এবং মসজিদকে আরও উন্নত এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য অনেক টাকা খরচ করা হয়েছে। মসজিদের পাশাপাশি বাগেরহাট শহরকে আরো উন্নত জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম কাজ করা হয়েছে।
ষাট গম্বুজ মসজিদ সম্পর্কে আমাদের শেষ কথা
ইতিমধ্যে আপনি জেনেছেন ষাট গম্বুজ মসজিদের নামকরন কিভাবে করা হয়েছিল। এই মসজিদটি সবার কাছে পরিচিত। যারা নতুন অবস্থায় ঘুরতে আছেন তাদের অবশ্যই এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে সকল তথ্য জেনে নেওয়া উচিত। কিংবা আপনি কত দিনের জন্য আসবেন থাকার জন্য কত টাকা খরচ হবে সেগুলো বিস্তারিত জেনে নিবেন আগে। তারপরে বাগেরহাটে ষাট গম্বুজ মসজিদ দেখতে আসার সিদ্ধান্ত নিবেন। তাহলে আপনারা খুব সহজেই এ মসজিদটি পেয়ে যাবেন।
এছাড়াও যদি চিনতে সমস্যা হয় তাহলে আপনার মোবাইল দিয়ে লোকেশন চেক করলেই সবকিছু দেখতে পাবেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি ষাট গম্বুজ মসজিদের সকল তথ্য জেনেছেন আশা করছি। আজকের মত আমি এখানেই শেষ করছি। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url