ভূমিকম্প হলে করনীয় কি - ভূমিকম্প থেকে বাঁচার ৪০ টি উপায় জানুন

ভূমিকম্প হলে করনীয় কি? বর্তমানে এই সমস্যায় পড়ে বিভিন্ন দেশ হ্মতিকরের শিকার হচ্ছেন। এবং অনেক মানুষ অজানতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। আজকের আর্টিকেলে আমরা জানাবো ভূমিকম্প হওয়ার সময় কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনি সুরহ্মা থাকতে পারবেন সে সম্পর্কে। 

ভূমিকম্প-হলে-করনীয়-কি

ভূমিকম্প হলে আপনি সর্তকবার্তা মেনে থাকার চেষ্টা করা করবেন। ভূমিকম্প হওয়ার সময় অনেক মানুষ সতর্ক না হয়ে থাকার ফলে দুর্ঘটনায় শিকার হয়। এছারাও কিভাবে বুজবেন ভূমিকম্প হচ্ছে। ভূমিকম্প হলে করনীয় কি এবং ভূমিকম্পের সময় আপনার কি কি করা উচিত এসকল বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিন।

সূচিপত্রঃ ভূমিকম্প হলে করনীয় কি জেনে নিন

ভূমিকম্প হলে করনীয় কি

ভূমিকম্প হলে করনীয় কি কি তা আপনার জানা জরুরী। কারন বিশ্বের সব জায়গাতে ভূমিকম্প হয়ে থাকে। অনেক বড় বড় দেশ গুলো ভূমিকম্পের কবলে পরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দেশের পাশাপাশি মানুষও তার জীবনকে ধরে রাখতে পারছেনা। এর কারন হল ভূমিকম্পের সময় তারা কিভাবে আশ্রয় নিবে সেই বিষয় নিয়ে চিন্তত। সঠিক পদ্ধতি না জানা এবং বিভিন্ন ভুলের কারনে তারা বেঁচে ফিরতে পারছেনা। ভূমিকম্পের সময় আপনি যেসব কাজ করলে সুরহ্মা থাকতে পারবেন তা হল:

আরো পড়ুনঃ  আখের গুড় খাওয়ার উপকারিতা এবং আখের গুড় খাওয়ার নিয়ম

যখন বুঝতে পারবেন ভূমিকম্প হচ্ছে সাথে সাথে ফাঁকা জায়গায় আশ্রয় নিতে হবে। এবং আপনার সুবিধামত থাকার জায়গা হতে হবে। তাহলে আপনি ভুমিকম্পের কবল থেকে রহ্মা পাবেন।

অনেক সময় দেখা যাচ্ছে আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন কিংবা রান্না করতেছেন। যে কাজগুলো প্রায় শেষের দিকে। ওই সময় যদি ভূমিকম্প হয় খুব দ্রুত সুরহ্মিত জায়গায় আশ্রয় নিবেন। যদি ভাবেন কাজ গুলো সম্পূর্ণ শেষ করে একবারে ভালো জায়গায় আশ্রয় নিবেন। তাহলে আপনি বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পরতে পারেন। তাই আপনার উচিত সব কাজগুলো ফেলে রেখে ঘর থেকে সাথে সাথে বাহিরে চলে আসা। 

আপনি এমন স্থানে আছেন যে জায়গাটা একটু নড়াচড়া করলে উপরে থাকা বস্তুু আপনার মাথার উপরে পড়বে। এবং স্থান থেকে দূরে থাকবেন। কারন হঠাত ভূমিকম্প হলে জায়গাটিতে ঝাকুনি দিবে তখন আপনার মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। 

ভূমিকম্প থেকে বাঁচার ৪০ টি উপায়

ইতিমধ্য আপনি জানতে পেরেছেন ভূমিকম্প হলে করনীয় কি কি সেই বিষয়ে। এবার জেনে নিন ভূমিকম্প থেকে বাঁচার উপায়। ভূমিকম্প মোকাবেলার সময় প্রতিটি মানুষের সব সময় প্রস্তুত থাকা উচিত। ভূমিকম্পের সময় যে সংকেত গুলো দেখা দেয় তা প্রতিটি মানুষের জানা দরকার। 

ভূমিকম্প হওয়ার সময় সতর্কবার্তা মেনে চলা। যাতে করে ভূমিকম্পের সময় যেসব দুর্ঘটনা হয়ে থাকে সেই দুর্ঘটনা থেকে খুব সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। ভূমিকম্প থেকে বাঁচার উপায় গুলো জেনে নিন। 

  • আপনি যদি বাহিরে থাকেন তাহলে বড় বড় কোন বস্তু কিংবা ভারী বস্তু থেকে দূরে থাকবেন। ভূমিকম্পের সময় যাতে কোনো কিছু আপনাকে খুব সহজে আক্রমণ করতে পারেনা। 

  • গাড়ি চালানো অবস্থায় যদি ভূমিকম্প শুরু হয়। এটা বুঝতে পারার সাথে সাথে আপনি গাড়ি থেকে নেমে বাহিরে বসে থাকবেন। এবং গাড়িটি খুব দ্রুত বন্ধ করে রাখবেন। ভূমিকম্প হওয়ার আগ পর্যন্ত গাড়ি চালু করবেন না। 

  • ভূমিকম্প হওয়ার আগে থেকেই আপনার নিজস্ব খাদ্য এবং বস্তুগুলো সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। তাছাড়া যদি আপনার হাতেই কোন খাদ্য থাকে তাহলে সেটা নিয়ে বাইরে আসবেন নয়তো কোথাও সংরক্ষণ করে রাখতে পারলে করবেন। 

  • আপনি এমন ঘরে রয়েছেন, যে ঘরটি একটু নড়াচড়া করলেই মাথার উপর থেকে ফার্নিচার জাতীয় জিনিসপত্র গুলো নিচে পড়বে, সেই জায়গা থেকে দূরে থাকবেন। 

  • আপনি জরুরী কাজ করছেন এমন সময় ভূমিকম্প দেখা দিয়েছে। সব কাজগুলো ফেলে রেখে সাথে সাথে বাহিরে থাকা জায়গায় চলে আসবেন। 

  • ভূমিকম্প হওয়ার সংকেত দেখা দেওয়ার আগ পর্যন্ত আপনি জটিল স্থান থেকে বেরিয়ে আসবেন। জটিল স্থান বলতে আপনি এমন এক জায়গাতে আছেন যেখানে ভূমিকম্প হলে সাথে সাথে বেরিয়ে আসতে পারবেন না। 

  • ভূমিকম্প শুরু হওয়া মাত্রই ফাঁকা জায়গাতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করবেন। আপনার আশেপাশে বড় কোন বিল্ডিং কিংবা বড় ধরনের গাছপালা না থাকে সেরকম জায়গাতে আশ্রয় নিবেন। 

  • আপনি বড় ধরনের কোন বিল্ডিং এ কাজ করছেন। এই সময় যদি দেখেন বিল্ডিং ঝাকুনি দিচ্ছে। যতদ্রুত সম্ভব আপনি বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে চলে আসবেন।

  • আপনার বাড়ি কিংবা আপনি যেখানে বসবাস করেন সেই জায়গাগুলো যদি সেফ না হয়। ভূমিকম্প হওয়ার সাথে সাথে যদি বাহিরে আসার সুযোগ না পান তাহলে সেই জায়গা পরিবর্তন করে। ফাঁকা জায়গা দেখে আশ্রয় নেন। 

  • ভূমিকম্প হওয়ার সময় ও যদি দেখেন বিদ্যুৎ টান দিচ্ছে না। আপনি নিজ দায়িত্বে বাড়িতে থাক মেন সুইচ অফ করে দিবেন। 

  • মোবাইল ফোন কিংবা লাইট চার্জ দিয়ে রাখছেন। সে সময় যদি ভূমিকম্পের সংকেত দেখা দেয় সাথে সাথে মোবাইলের চার্জার খুলে রাখুন। 

  • কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার সময় ভূমিকম্প শুরু হলে। আপনার কাজ বাদ দিয়ে কম্পিউটার গুলো বন্ধ করে রাখবেন। 

  • কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনার সময় ভূমিকম্প হচ্ছে এটা যদি আপনি বুঝতে পারেন, তাহলে কান থেকে হেডফোন খুলে রাখবেন।

  • আপনাকে অনেক ক্ষুধা লাগছে আপনি রুমের ভিতর বসে ভাত খাচ্ছেন। এর ভিতরে যদি ভূমিকম্প দেখা দেয়। সব খাবারগুলো রেখে আপনি খুব দ্রুত বাহিরে ফাঁকা জায়গায় এসে আশ্রয় নিবেন। 

  • বড় বড় বিল্ডিং এর উপরে বাসস্থান রাখা থেকে দূরে থাকবেন। এর কারণ হলো হঠাৎ ভূমিকম্পের সময় আপনি বড় বিল্ডিং থেকে খুব দ্রুত নিচে নেমে আসতে পারবেন না। এমনকি নিচে নামতে নামতে আপনি দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারেন। 

  • উঁচু বিল্ডিং এর উপরে থাকলে যদি ভূমিকম্প শুরু হয় তাহলে নিচে নামবেন না। বিল্ডিং এর উপরে স্থির হয়ে থাকবেন। আর যদি বুঝতে পারেন যে সিঁড়ি দিয়ে নামলে খুব দ্রুত বাইরে যাওয়া যাবে সেহ্মেএে আপনি বাহিরে আসতে পারেন সিঁড়ি দিয়ে নেমে। 

  • আপনি যদি গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্না করে থাকেন। তাহলে রান্না গ্যাস সিলেন্ডার ভালো করে চেক করে রাখবেন। 

  • অতিরিক্ত ভূমিকম্প হলে আপনি হতাশ হবেন না। যতদূর পারবেন চেষ্টা করবেন ভূমিকম্প থেকে বাঁচার। 

ভূমিকম্পের সময় কি কি করা উচিত

ভূমিকম্পের সময় যে কাজ গুলো করা আপনার জরুরী তা হল, অন্ধকার জায়গায় কোন ধরনের কাজ করা থেকে দূরে থাকবেন। আর যদিও অন্ধকার জায়গায় কাজ করেন তাহলে হাতে টর্চ লাইট রাখবেন সব সময়। যাতে করে ভূমিকম্প হওয়ার সময় সবকিছু চোখ দিয়ে দেখে আপনি খুব দ্রুত বাহিরে যেতে পারেন।

  • দেয়ালে ঝোলানো আয়না কিংবা ছবি রাখা থেকে দ্রুত থাকবেন। 

  • গাড়ি চালানোর সময়, বেশির ভাব হ্মএে নিরাপদ স্থানগুলো চিহ্নিত করবেন। 

  • বেশি লাফালাফি করা যাবে না। রাস্তায় চলাফেরা করার সময় যদি ভূমিকম্প শুরু হয় সাথে সাথে স্থির হয়ে পড়ুন।  

  • বিদ্যুতের খাম্বা কিংবা বিদ্যুতের লাইনের নিচে থাকা থেকে দ্রুত থাকবেন। 

  • ফ্লাইওভার ব্রিজে চলাকালীন সময় যদি ভূমিকম্পের সংকেতে দেখা দেয় তাহলে খুব দ্রুত ফ্লাইওভার ব্রিজ ওভারটেক করার চেষ্টা করবেন। 

  • ভূমিকম্পের সময় আপনি ভাবতে পারবেন না কোথায় আশ্রয় নিবেন। ভূমিকম্পের আগে থেকেই ফাঁকা জায়গাগুলো চিহ্নিত করে রাখবেন যাতে খুব সহজে আপনি সেখানে যেতে পারেন। 

  • বিছানায় শুয়ে থাকার সময় ভূমিকম্প হলে বালিশ মাথার উপরে দিয়ে আশেপাশের টেবিল কিংবা খাটের খাম্বা গুলো হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে রাখুন।

  • ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবসময় দোয়া পড়বেন। যতক্ষণ ভূমিকম্প বন্ধ হবে না ততক্ষণ দোয়া পড়তে থাকবেন।

  • ভূমিকম্প হওয়ার সময় যখন ফাঁকা জায়গায় আশ্রয় নিবেন তখন উপরের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। যতক্ষণ ভূমিকম্প কমে যাবেনা ততক্ষণ আপনি মাটির দিকে তাকিয়ে থাকবেন। 

  • ভূমিকম্পের সময় বাচ্চাদেরকে কান ধরতে শিখান।

  • পাহাড়ের নিচে থাকা থেকে দূরে থাকবেন। কারণ ভূমিকম্প হলে পাহাড়ের মাটিগুলো ভেঙ্গে নিচে পড়তে পারে। 

  • বাড়ির ভিতরে কাঁচের আসবাবপত্র থাকলে সেগুলো থেলে দূরে থাকবেন। ভূমিকম্পের সময় কাঁচের আসবাবপত্রের আশে পাশে থাকলে ভয়ংকর ক্ষতি হতে পারে। 

  • রুমে ফ্যান চলার সময় ভূমিকম্প হলে হাতের নাগালে সুইজ থাকলে অফ করে বাহিরে আসবেন। আর যদি হাতের আশেপাশে না থাকে তাহলে আপনি চালু রেখেই বাহিরে ফাঁকা জায়গায় চলে আসবেন।

  • ভূমিকম্পের সময় আপনি যদি ফাঁকা জায়গায় আসার সুযোগ না পান তাহলে ওখানেই স্থির হয়ে যাবেন। ভূমিকম্প থামলে তারপর বাহিরে আসবেন। 

  • উচু ভবনে থাকার সময় হঠাত ভূমিকম্প হলে। দ্রুত নিচে নেমে আসার জন্য লিফট ব্যবহার করবেন না। 

ভূমিকম্পের সময় কি কি করা উচিত নয়

ভূমিকম্পের সময় ফাঁকা জায়গাতে আশ্রয় নেওয়ার কথা হয়তো অনেকেই জানেন। এরপরও অনেক মানুষ বিভিন্ন কাজকর্মে জড়িয়ে থাকে। ভূমিকম্পের সময় যেই কাজগুলো এড়িয়ে চলতে হবে আপনার তা জেনে নিন।

  • ভূমিকম্পের সময় গাড়ি চালানো যাবে না। 

  • আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন অফ করে দিতে হবে সাথে সাথে 

  • বড় বিল্ডিং এর নিচে থাকা যাবে না। 

  • বড় বড় গাছপালা কিংবা কোন ভারী বস্তুর নিচে থাকা যাবে না। 

  • মাটির নিচে কোন ধরনের কাজ করা যাবে না। 

  • বেশি লাফালাফি করা যাবে না 

ভূমিকম্প হলে কিভাবে মোকাবেলা করবেন

ভূমিকম্প মোকাবেলা করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। এর ভিতর গুরুত্বপূর্ণ যে মাধ্যম তা হল, ভূমিকম্প হওয়ার সময় বিভিন্ন সংকেত দেখা দিবে। যেমন আপনার বাড়িতে যদি কোথাও এমন জিনিস থাকে যে একটু নড়াচাড়া করলে পরে যাবে। ওই ধরনের জিনিসগুলো যখন দেখবেন পড়ে যাচ্ছে তখন বুঝতে হবে ভূমিকম্পের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। আপনার বাড়িতে কাঠের তৈরি আসবাবপত্র কিংবা কাাঁচের আসবাবপত্রগুলো ঝাকুনি দিবে এক প্রকার শব্দ আপনি শুনতে পাবেন। 

আরো পড়ুনঃ পালং শাক খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা - পালং শাক খাওয়ার নিয়ম

এছাড়াও আপনার পায়ের নিচের মাটিগুলো নড়াচড়া করবে। আপনি যদি বিছানায় শুয়ে থাকেন তাহলে আপনার খাট ঝাঁকুনি দিয়ে উঠবে। এই ধরনের সমস্যা যখন আপনি বুঝতে পারবেন তখন থেকে দ্রুত চেষ্টা করবেন ফাঁকা থাকার জায়গাই আশ্রয় নেওয়ার। 

ভূমিকম্প কখন হবে বুঝবেন কিভাবে

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্মার্ট ফোন দিয়ে বিশ্বের সব খবর পাওয়া যায়। ভূমিকম্পের খবর পাওয়ার জন্য ইউটিউবে বড় বড় নিউজ চ্যানেল আছে সেগুলোর দিকে ফলো করবেন। কিংবা গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে ভূমিকম্প কখন হবে এবং কয়টা সময় হবে লিখে সার্চ করবেন। 

এরপর আপনি ভূমিকম্প সম্পর্কে সকল বিস্তারিত জানতে পারবেন। বিশেষ করে সত্য খবর পাওয়ার জন্য বড় বড় নিউজ চ্যানেলগুলোতে চোখ রাখবেন। তারা যে সময়টা বলবে সে সময়ও হতে পারে কিংবা তার আগেও হতে পারে। 

ভূমিকম্প হওয়ার খবর যেদিন জানতে পারবেন তার একদিন বা দুইদিন আগে থেকেই সতর্কতা হয়ে থাকবেন। এগুলো থেকে তথ্য জেনে আপনি সতর্কতা অবলম্বন করলে ভূমিকম্পের ভয়ানক দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাবেন। 

ভূমিকম্পের আগে কি কি করণীয় 

ইন্টারনেটের মাধ্যমে হোক কিংবা কোন হাদিসের মাধ্যমে যদি জেনে থাকেন ভূমিকম্পের কথা। তার আগে থেকেই আপনার সাবধান হয়ে থাকতে হবে। রাস্তায় ছোটাছুটি করা যাবে না। ভূমিকম্প হওয়ার তারিখ যেদিন পারবেন তার একদিন আগে বাড়িতে থাকা কাজের আসবাবপত্র কিংবা বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখবেন। বড় বড় গাছপালা কিংবা বিল্ডিংয়ের নিচে থাকবেন না। 

ভূমিকম্পের একদিন আগে থেকে বেশি বেশি দোয়া করা শুরু করবেন। আপনি যেখানে থাকবেন সেই জায়গাটা সব সময় সুরহ্মিত রাখার চেষ্টা করবেন। বাড়ির ভিতরে খুব কম সময় থাকবেন। এছাড়াও প্রস্তুতি নিতে হবে ভূমিকম্প হওয়া মাত্রই যেন আপনি বাহিরে ফাঁকা জায়গায় আশ্রয় নিতে পারেন। এসকল প্রস্তুতি ভূমিকম্প হওয়ার আগে থেকে মেনে চলতে পারেন। 

তাহলে ভূমিকম্প দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আর যদি ঘুমের ভিতরে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে ভূমিকম্প শুরু শুরু হলে আপনি আতঙ্কিত হবেন না। মাথার উপর বালিশ চাপা দিয়ে শুয়ে পড়ুন এবং বেশি বেশি দোয়া করবেন। দোয়া করার বিনিময়ে আল্লাহ খুব তারাতারি ভূমিকম্প বন্ধ করে দিতে পারে। 

বাংলাদেশে ভূমিকম্প মোকাবেলার করনীয়

ভূমিকম্পকে বলা যেতে পারে একটি ভূমির কম্পন। ভূমির অভ্যন্তরে যখন একটি শিলা অন্য শিলার উপরে উঠে যায় তখনই সৃষ্টি হয় ভূমিকম্প। তবে নির্দিষ্ট কোন ভূমিকম্প সরাসরি নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। ভূমিকম্প মোকাবেলা করার জন্য সরকারের পরিকল্পনা প্রয়োজন। 

বাংলাদেশে-ভূমিকম্প-মোকাবেলার-করনীয়

গবেষকদের মতে জানা যায় বাংলাদেশে বছরে ৬ বার করে ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার ভিতর থেকে কিছু কিছু ভূমিকম্প মানুষ টের পায় আবার কিছু ভূমিকম্প কেউ টের পায়না। এর কারণ হলো যখন অতিরিক্ত এবং ভয়ংকরভাবে ভূমিকম্প হয় তখন মানুষ বুঝতে পারে ভূমিকম্পের লক্ষণ।

ভূমিকম্পের প্রকারভেদ: ভূমিকম্প মূলত তিন প্রকার হয়ে থাকে মৃদু, মাঝারি, প্রচন্ড। প্রচন্ড ভূমিকম্প বলতে যখন ৭০ কিলোমিটার থেকে ৩০০ কিলোমিটারের মাঝামাঝিতে থাকে তখন তাকে মাঝারি ভূমিকম্প বলে চিহ্নিত করা হয়। 

এবং ৩০০ কিলোমিটারের নিচে থাকলে সেটিকে প্রচন্ড ভূমিকম্প বলে চিহ্নিত করা হয়। প্রচন্ড গভীরতার ভূমিকম্প যখন দেখা দেয় তখন মানুষ আতঙ্কে পড়ে যায়। এবং বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। 

বাংলাদেশে ভূমিকম্পের কারন ও উৎস 

বাংলাদেশে ভূমিকম্প হওয়ার প্রধান কারন হল বাংলাদেশের টেকটনিক প্লেটের সাথে আরো ৩ টি দেশের টেকটনিক প্লেট সংযুক্ত হয়ে আছে। যার ফলে প্লেট গুলো স্থির থাকতে পারেনা। প্লেট নড়াচড়া করার সময় মাটিতে এক প্রকার কম্পন হয়। যেখান থেকে বাংলাদেশে ভূমিকম্প শুরু হয়। 

এছারাও আরো একটি কারনে বাংলাদেশে ভূমিকম্প হয়ে থাকে যেটা হল, ভারত এবং ইউরেশীয় প্লেট এই দুই দেশের প্লেট হিমালয়ের পাদদেশে আটকে পড়ে আছে। যেটা এখন পযন্ত সমাধান করা যায়নি। বিশেষ করে ১৯৩৪ সালের পর থেকে প্লেট গুলো খুব বেশি নড়াচড়া করেনি। এজন্য বাংলাদেশে ১৯৩৪ সালের পর থেকে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়নি। 

ছোট ছোট ভূমিকম্প হয় যেটার জন্য বাংলাদেশ এখন পযন্ত হ্মতিগ্রস্থ হতে পারেনি। বিজ্ঞানীরা ধারনা করেছে যে অনেক দিন ধরে দুই প্লেট আটকা পড়ার কারনে ভবিষ্যতে দুটো প্লেট একসাথে নড়ে উঠবে এবং অতি নিকটে কম্পন সৃষ্টি হয়ে দুই দেশে ভায়াবহ ভূমিকম্প হতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় - শরীর দুর্বলতা কাটানোর উপায়

বিজ্ঞানীরা দুই দেশের টকটনিক প্লেটের অবস্থান দেখলেই বুঝতে পারে যে দুইটি দেশ ভেসে আছে যেটা ভূমিকম্পের কারন। এছারাও অন্যন্য দেশে অগ্নিগিরি বিস্ফোরণ করলে মাটিতে যে কম্পন সৃষ্টি হয় সেটার জন্য অন্য অন্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশে কিছুটা ভূমিকম্প দেখা দেয় যার ফলে বাংলাদেশের কোনো হ্মতি হয়না। 

ছোট ছোট ভূমিকম্প হওয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বলেছেন। বাংলাদেশে ছোট ছোট ভূমিকম্প একটা সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প হওয়ার কারন হয়ে দ্বারাবে। এই বলে বিজ্ঞানীরা বাংলাদেশকে বিভিন্ন সতর্কবার্তা দিয়ে রেখেছেন।

ভূমিকম্প হলে কি কি হ্মতি হতে পারে

অতিরিক্ত ভূমিকম্প হলে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় মাটি নড়াচড়া করে। যার ফলে অনেক পাহার কিংবা বড় বড় বিল্ডিং গুলো ভেংগে যায়। ভূমিকম্প হলে বিভিন্ন দেশের পার্বত অঞ্চলগুলো থেকে ধেস নেমে আসে। রাস্তা ঘাট, রেলপথ ভেংগে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 

এছারাও বিভিন্ন জায়গার রাস্তা গুলো অচল হয়ে যায়। আবার এমনও সময় আছে ভূমিকম্প হলে নিচের মাটি এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে যায়। যেগুলো এলাকা দুর্ভিহ্ম সেগুলো তলিয়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষের আঘাত জনিত মৃত্যু হয়। বড় বড় ভবন ধসে যেয়ে অনেক মানুষ মারা যায়। 

এছাড়া ভূমিকম্পের কারণে যদি আপনার শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে সেটা দীর্ঘ মেয়াদী থাকে সহজে ভালো হতে চাই না। ভূমিকম্পের কারণে ডুবে যাওয়া কিংবা আগুনে পুড়েও মানুষ নিহত হয়। এবং ভূমিকম্পের কবলে পড়ে হাজার হাজার মানুষ মাটির নিচে হারিয়ে যায়।  

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে করণীয় 

ভূমিকম্প হলে মূলত যে ক্ষয়ক্ষতিগুলো হয় তা হলো বিল্ডিং ভেঙ্গে যাওয়া। বড় বড় গাছপালা থাকলে ভেঙ্গে পড়া। বিদ্যুৎ নষ্ট হয়ে যাওয়া। এবং পাহাড় গুলোর ধস নেমে নেমে যায়। 

  • বড় বড় দালান কিংবা বিল্ডিং তৈরি করবেন না। চেষ্টা করবেন ছোট করে বাড়ি তৈরি করা, এবং ছোট বাড়িতে বাসস্থান করা।

  • বাড়ির আশেপাশে বড় ধরনের কোন গাছ রাখবেন না। কিংবা রাস্তার পাশে বড় বড় গাছ রাখা থেকে দূরে থাকুন। ভূমিকম্পের সময় বড় গাছগুলো পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রাস্তার পাশে যদি বড় ধরনের গাছ থাকে ভূমিকম্পের সময় রাস্তা দিয়ে মানুষ গেলে হঠাৎ কোন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

  • আপনার বাড়িটি সব সময় সেফ রাখবেন। মানুষের অজান্তেই হঠাৎ করে যদি ভূমিকম্প হয় যাতে আপনি খুব দ্রুত ভালো জায়গায় আশ্রয় নিতে পারেন সেরকম জায়গাতে বাড়ি রাখবেন। 

  • রাতের বেলা কোথাও যাওয়ার সময় অবশ্যই হাতে টর্চ লাইট রাখবেন। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর হঠাৎ করে যদি ভূমিকম্প দেখা দেয় আপনি আলো ছাড়া বাহিরে আসতে পারবেন না।  

  • হঠাৎ করে যদি ভূমিকম্প দেখা দেয় আপনি সরাসরি বিদ্যুৎ অফ করবেন। বিদ্যুৎ বলতে আপনার রুমের ভিতরে যে মেন সুইচ সেটি অফ করে বাইরে চলে আসবেন। 

ভূমিকম্প হওয়ার কারণ কয়টি ও কি কি

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুযায়ী ধারণা করা হয়েছে ভূমিকম্পের কারণ সাধারণত তিনটি। প্রধান কারণ হচ্ছে 

  • ভূ-পৃষ্ঠ হঠাৎ করে পরিবর্তন হয়ে গেলে ভূমিকম্প হওয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়া সম্ভাবনা থাকে। 

  • লাভা জনিত অগ্নিগিরি বিস্ফোরণ হলে কিংবা উৎক্ষিপ্ত হয়ে গেলে ভূমিকম্প সৃষ্টি হতে পারে। 

  • ভারত-বাংলাদেশ ইউরেশীয় এবং মিয়ানমার এই কয়েকটি দেশগুলো টেকটনিক প্লেটের মাঝে আবদ্ধ হয়ে আছে। প্লেটগুলো যখন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পরিবর্তন হতে থাকে তখন ভূমিকম্প হয়। 

  • ভূ পৃষ্ঠ পরিবর্তন হওয়ার ফলে যে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয় সেটা ১ থেকে ২ মিনিটের জন্য হয়ে থাকে। লাভা জনিত অগ্নিগিরি বিস্ফোরণ হলে যে ভূমিকম্পটি হয় সেটা মাত্র কয়েক সেকেন্ডের জন্য হয়ে থাকে। এবং টেকটনিক প্লেট পরিবর্তন হওয়ার জন্য যে ভূমিকম্পটি সৃষ্টি হয় সেটা আট থেকে দশ মিনিট পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং এর আগেও শেষ হয়ে যায়। 

  • বিশেষ ভূ পৃষ্ঠ পরিবর্তন হয় বেশি বেশি যার ফলে ভূমিকম্প হয়। টেকটনিক প্লেট গুলো আস্তে আস্তে পরিবর্তন হয়। যখন দেখবেন দেশে অনেক দিন থেকে ভূমিকম্প হচ্ছেনা। তখন বুঝে নিতে হবে টেকটনিক প্লেটের সমস্যা হয়েছে। তাই বলে ভূমিকম্প শুধু বন্ধ হয়ে থাকবে ব্যাপার টা এমন না।

  • ভবিষ্যতে ভূমিকম্পের মাধ্যমে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই আমি বলবো ভূমিকম্প হলে করনীয় কি এবং ভূমিকম্প হওয়ার আগের করনীয় গুলো জেনে রাখবেন। তাহলে আপনি ভূমিকম্পের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাবেন। 

সর্বোচ্চ ভূমিকম্পের মাত্রা কত হয় 

বর্তমান সময়ে পৃথিবীতে বড় ধরনের ভূমিকম্প হয় না বললেই চলে। তবে ১৯৬০ সালে ২২ মে একটি ভূমিকম্প হয়েছিল যেটা সর্বোচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প। এবং ইতিহাসে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প ছিল। এটির মাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫। 

আপনি জানলে অবাক হবেন যে, একটি ভূমিকম্পের মাধ্যমে ৪৮৫ জন মারা গেছিল। এবং ২০ লাখ জনের মত ঘরছাড়া হয়ে গিয়েছিলেন। ঘটনাটি ঘটার পরে নাচ কাটলেট আমেরিকান প্লেটের নিচে চলে গেছিল। যার কারণে চিলি দেশটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্তের মুখে পড়েছিল। এছারাও বাংলাদেশে ১৯১৮ সালে একবার ভূমিকম্প হয়েছিল যেটার মাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৫। 

বাংলাদেশের মধ্য এটাই ছিল সর্বোচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প। এই ভূমিকম্পটি হওয়ার পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা ধসে গেছিল। ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত ছোট ছোট ভূমিকম্প হতেই থাকে। ১৯৩৪ সালের পর যখন ভয়াবহ ভূমিকম্প হওয়া বন্ধ হয় তারপর থেকে বাংলাদেশ আস্তে আস্তে স্বাভাবিকে আসে। 

ভূমিকম্প পরিমাপক যন্ত্রের নাম 

ভূমিকম্প মাপার যন্ত্রটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি যন্ত্র যেটি দ্বারা ভূমিকম্পের সকল খবর পাওয়া যায়। প্রাচীন কাল থেকেই একই যন্ত্র ব্যবহার করে আসতেছে তাই এই যন্ত্র কে সাধারণত ইংরেজিতে সিজমোগ্রাফ নামে ডাকা হয়। প্রাচীন কাল থেকে এই যন্ত্রের চাহিদা কখনো কমেনি। 

আরো পড়ুনঃ আমলকি সিরাপ খেলে কি মোটা হয় - আমলকি সিরাপ খাওয়ার উপকারিতা

সিজমোগ্রাফ যন্ত্রটি ভূমিকম্পের অত্যাধুনিক পরিমাপ এবং বিশ্লেষণের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে বোঝায়। এই যন্ত্রটি ব্যবহার করলে আপনি শুধুমাত্র ভূমিকম্পের পরিস্থিতি গুলো প্রমাণ পাবেন। সঠিকভাবে ভূমিকম্প পরিমাপ করতে যন্ত্রটি প্রচুর পরিমাণ সাহায্য করে। 

ভূমিকম্পের মাত্রা কিভাবে পরিমাপ করা হয়

ভূমিকম্প মাপার প্রধান কাজ হল। রিখটার মাপনী ভূমিকম্পের নাম কে প্রাবল্যক সংখ্যা দ্বারা প্রকাশ করে। এরপর লগারিদম থেকে ভূমিকম্পের মাত্রা গুলো রিখটার দ্বারা নির্ধারণ করা হয়। এর পর বুঝা যায় ভূমিকম্প একটি ১০- ভিত্তির লগারিদমীয়। অর্থাৎ এটি দ্বারা বোঝানো হয়েছে ভূমিকম্পের পূর্ববর্তী সংখ্যার চাইতে ১০ গুন বেশি শক্তিশালী। 

সহজ ভাবে বলতে গেলে দুই মাত্রার ভূমিকম্পের থেকে তিন মাত্রার ভূমিকম্প ১০ গুন বেশি শক্তিশালী হবে। রিখটার মাপনী দিয়ে মূলত সংখ্যার উপর বিবেচনা করে ভূমিকম্পের মাত্রাগুলো মাপা হয়। এরকম ধরনের আরো অনেক যন্ত্র আছে যেটা যারা অন্যান্য দেশের ভূমিকম্প মাপে। এটা এমন একটি যন্ত্র ভূমিকম্প হওয়ার লক্ষণ দেখা দেওয়া মাত্রই মিটারে রেকর্ড হয়ে যায়। 

ভূমিকম্পের-মাত্রা-পরিমাপ-করা

সেগুলো মিটারে নেটওয়ার্ক থাকার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মিটারগুলো রাখা হয়েছে। কত দূর বজায় রেখে ভূমিকম্প হয়েছে। সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে রেকর্ড করার পর তার বিশ্লেষণ কম্প্যুটার হয়ে বেড়িয়ে আসে। যার কারনে তারা সাথে সাথেই খবরগুলো বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিতে পারে। 

ভূমিকম্প সম্পর্কে আমাদের শেষ কথা 

ইতিমধ্য আপনারা জেনেছেন ভূমিকম্প হলে করনীয় কি এবং ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কি পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। ভূমিকম্প সম্পর্কে আমার মতামত হলো ভূমিকম্প হওয়ার সঠিক নিয়ম কেউ দিতে পারে না। কখন হবে এবং কোন সময় হবে এ ধরনের খবরগুলো আপনারা বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলে পেয়ে থাকেন। 

এগুলো খবর দেখে আপনারা সতর্ক হয়ে থাকবেন। যদিও এগুলো খবরে ভূমিকম্প হওয়ার সঠিক নিয়ম বলতে পারেনা, তবে আপনাকে সতর্ক করার জন্য তারা খবর দিয়ে থাকে। ভূমিকম্প হওয়ার লক্ষণ বুঝতে পারলে আপনি ভাই কাজ করা থেকে দূরে থাকবেন। এবং ফাঁকা জায়গাতে থাকার চেষ্টা করবেন সব সময়। 

ভূমিকম্প হওয়ার খবর যেদিন আপনি পাবেন তার একদিন আগে এবং একদিন পর পর্যন্ত সতর্ক হয়ে থাকবেন। তাহলে ভূমিকম্পের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা থেকে আপনি রক্ষা পেতে পারেন। আজকের মত আমি এখানেই শেষ করেছি। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :

comment url