চোখ দিয়ে পানি পড়লে করণীয় কি - বাচ্চাদের চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণ
চোখ দিয়ে পানি পড়লে করণীয় কি এবং বাচ্চাদের চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণ জেনে নিন। অনেক সময় দেখা যায় ঘুম থেকে উঠে কোনো কারন ছারাই চোখ দিয়ে পানি পরে। এরপর তারা চোখে ঘোষা ঘোষি করে। এটা মোটেি ঠিক নয়। কারন এটি হ্মতির কারন হয়ে দারাই।
আজকের আর্টিকেল টি থেকে আপনি জানতে পারবেন। চোখ দিয়ে পানি পড়লে করণীয় কি। কেনো চোখ দিয়ে পানি পড়ে সেই সম্পর্কে। এছারাও জানতে পারবেন বাচ্চদের চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারন কি। তো চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক।
সূচিপত্রঃ চোখ দিয়ে পানি পড়লে করণীয় কি জানুন
- চোখ দিয়ে পানি পড়লে করণীয় কি
- বাচ্চাদের চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণ
- চোখে জল জমার কারণ কি
- চোখ দিয়ে পানি পড়া কোন রোগের লক্ষণ
- চোখ দিয়ে পানি পড়ার ঔষধ
- চোখের এলার্জি দূর করার উপায়
- চোখের এলার্জি দূর করার খাবার
- চোখে পানি পড়া সম্পর্কে আমার শেষ কথা
চোখ দিয়ে পানি পড়লে করণীয় কি
চোখ দিয়ে পানি পড়লে করণীয় কি সেটি আমরা অনেকেই জানিনা। আমাদের চোখে যথেষ্ট পরিমাণ পানি থেকেই থাকে। এবং সেই পানিটি চোখের নেত্রনালী দিয়ে নাকের ভিতরে প্রবেশ করে এরপর নাক দিয়ে বাহির হয়। কিন্তু যখন অতিরিক্ত পানি চোখে যেমন বাদে এরপর নেত্রনালী বন্ধ হয়ে যায় তখন চোখ দিয়ে পানি পড়া শুরু করে। চোখ দিয়ে পানি পড়া শুরু হলে সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় মধু খেলে কি হয় - মধু খাওয়ার উপকারিতা
কেননা হাত দিয়ে নড়াচড়া করালে চোখে আরও বেশি সমস্যা হতে পারে। এরপর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করবেন পাশাপাশি নিয়মিত ঘুম পারবেন। তাহলে চোখ দিয়ে পানি পড়া কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এছাড়াও আপনি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখের কোনায় থাকা পূজ পরিষ্কার করবেন। তাহলে চোখ দিয়ে পানি পড়া সমস্যা খুব সহজে হয় না।
বাচ্চাদের চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণ
বাচ্চাদের চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণ জেনে নিন। একটা বাচ্চ যখন অতিরিক্ত পানি খাই সেই পানি গুলো কোথায় যায় এটা হয়তো আপনি জানেন না। পানি গুলো মূলত তার শরীরের রগে রগে ২ ভাগ যায় আর এক ভাব তার চোখের এক কোনায় জমে থাকে।
এবং নাকের সাথে চোখের পানির সংযোগ রয়েছে। বাচ্চ যখন ঘুম থেকে উঠে তখন পানি গুলো জমে শক্ত হয়। কারন সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখে জমে থাকা পানি গুলো পরিস্কার করেনা। পরবর্তীতে সেই পানি চলাচল এর রাস্ত বন্ধ হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ জাফরান খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
জমে থাকে পানি আস্তে আস্তে নরম হতে থাকে তখন থেকে বাচ্চদের চোখ দিয়ে পানি পরে। কম বয়সি শিশুদের এই ধরনের সমস্যা হলে সরাসরি ডাক্তরের চিকিৎসা নিবেন না। এতে করে অন্য ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাকে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি বেশু খাওয়াবেন। তাহলে আস্তে আস্তে চোখ দিয়ে পানি পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
চোখে জল জমার কারণ কি
চোখে জল জমার কারণ কি জেনে নিন। সমবয়সি মানুষের চোখ দিয়ে জল পরা সমস্যা হয়ে থাকে বেশির ভাগ হ্মেএে চোখে এলার্জি হলে। যাদের শরীরে এলার্জি আছে তাদের চোখে যেকোনো সময় চোখে এলার্জি উঠতে পারে। যার ফলে চোখে অতিরিক্ত চুলকানি হয়। চোখ অতিরিক্ত চুলকানো শুরু করলে তারপর চোখ দিয়ে পানি পড়া শুরু করে।
সেই সময় টা যদি আপনি চোখ ভালোভাবে পরিষ্কার না করেন তাহলে চোখ থেকে সম্পূর্ণ পানি পড়তে পারবেনা। যার ফলে চোখের থাকা পানি গুলো জমে যায় বাড়ানোর জায়গা থাকেনা। যখন আপনি বুঝতে পারবেন আপনার চোখের জল জমে আছে সাথে সাথে আপনি ডাক্তরের পরামর্শ নিবেন।
এবং সঠিক সময়ে ডাক্তরের চিকিৎসা ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে আপনার চোখে আরো সমস্যা আক্রান্ত করবে। এমনকি আপনার চোখ দিয়ে ঝাপসা দেখা শুরু করবেন। আশা করছি বুঝতে পারছেন।
চোখ দিয়ে পানি পড়া কোন রোগের লক্ষণ
চোখ দিয়ে পানি পড়া কোন রোগের লক্ষণ জেনে নিন। আমাদের অনেক সময় চোখ দিয়ে পানি পড়লেও আমরা সেটাতে তেমন নজর দিয়না। এই ভুলটি কখনো করা যাবেনা। আপনার চোখ দিয়ে পানি পড়লে সাথে সাথে চিকিৎসা নিবেন। না হলে আপনার এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে কিংবা চোখে বিভিন্ন ধরনের ঘা হতে পারে।
এছারাও আরো সমস্যা হতে পারে যেমন নাকের সর্দি হতে পারে। নাক দিয়ে পানি পড়া শুরু করবে। তাই আপনি যদি এই সমস্যা থেকে রহ্মা পেতে চান তাহলে ভালো ভালো খাবার খেতে হবে। ভাজাপোড়া খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। ফলমূল জাতীয় খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করবেন। ফলমূল আপনার চোখ কে সুরহ্মা রাখতে অনেক সাহায্য করে।
চোখ দিয়ে পানি পড়ার ঔষধ
চোখ দিয়ে পানি পড়ার ঔষধ অনেকেই চিনতে পারেন না কোনটা সঠিক ওষুধ আর কোনটা ভুল ওষুধ। আপনার চোখ দিয়ে পানি পড়লে সেটি যদি আপনি ভালো করতে চান তাহলে (পেরিনিয়াল) এই ওষুধ টি খাবেন। এই ওষুধ আপনার চোখের পানি পড়া দূর করবে। চোখে জমে থাকা পানি দূর করবে। অথবা আপনার যদি নাক দিয়ে পানি পড়ে সেটিও ভালো করতে সাহায্য করবে এই ওষুধ।
অনেকেই দেখা যায় চোখ দিয়ে পানি পড়ার সময় চোখে চুলকানি শুরু হয় সেটি ভালো করবে। এই ওষুধ খাওয়ার নিয়ম হল দিনে ২ বার করে। সকালে খাওয়ার পর একবার খেতে হবে আর রাতে খাওয়ার পর ঘুমানোর আগে একবার খেতে হবে। এটি খাওয়ার সাথে একটি করে গ্যাসের ট্যাবলেট খাবেন তাহলে আপনার শরীরে কোনো সমস্যা হবেনা।
চোখের এলার্জি দূর করার উপায়
চোখের এলার্জি দূর করার উপায় জেনে নিন। চোখে এলার্জি হলে আপনার ঠিক থাকতে পারিনা ছটফট করি। চোখে হাত দিয়ে চুলকাই একটা সময় চোখ লাল হয়ে যায়। এতে করে মারাত্বক হ্মতির সমমুখীন হতে হয়। আপনি যদি এই সমস্যা থেকে রহ্মা পেতে চান তাহলে খাবার খাওয়া এবং চলাফেরা করার নিয়ম মানতে হবে।
আরো পড়ুনঃ হজম শক্তি বৃদ্ধির ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
চোখ চুলকানের সময় ঠান্ড জাতীয় কোনো কিছু চোখে প্রবেশ করাবেন। তাহলে চোখ চুলকানো একটু কমে যাবে। ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন চোখ পরিষ্কার করতে হবে। খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে বেগুন, মিষ্টি কুমরা, পুই শাক। এবং চেষ্টা করবেন ভর্তা দিয়ে ভাত খাওয়ার।
গরুর মাংশ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। শরীর সব সময় পরিষ্কার রাখবেন। তাহলে এলার্জি কমে যাবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলে এলার্জি সমস্যা নিয়ে কখনো ডাক্তরের চিকিৎসা করবেন না। এতে করে মারাত্বক হ্মতির সম্মুখীত হতে হবে। যতদূর পারবেন এলার্জি সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা করা থেকে বিরত থাকতে।
চোখের এলার্জি দূর করার খাবার
চোখের এলার্জি দূর করার খাবার গুলো কি কি তা জেনে নিন। আদা, এটি নিয়মিত খেলে প্রাাকৃতিক ভাবে আপনার চোখের এলার্জি দূর করবে। আদা আপনি চা বানিয়ে খেতে পারেন অথবা গরম পানির সাথে মিশিয়ে আদা খেতে পারবেন। ভিটামিন সি খাবারের ভিতর হলে টমেটো। প্রতিদিন সকালে টমেটো খাবেন ২ থেকে ৩ টা করে।
আপনার চোখের এলার্জি দূর করার জন্য অনেক সাহায্য করবে টমেটো। এবং আপনার চোখে বা শরীরে কোনো ধরনের রোগ থাকলে ভালো করে দিবে। শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। প্রিয় পাঠক আশা করছি খুব সহজেই বুঝতে পারছেন যে আমাদের চোখের এলার্জি ভালে করার জন্য কোন খাবার গুলো খাওয়া উচিত হবে।
চোখে পানি পড়া সম্পর্কে আমার শেষ কথা
চোখে পানি পড়া সম্পর্কে আমার শেষ কথা হলো। ইতিমধ্যে আপনি জেনেছেন চোখ দিয়ে পানি পড়লে করণীয় কি এবং কেন চোখ দিয়ে পানি পড়ে সেই সম্পর্কে। আপনার যদি চোখ দিয়ে পানি পড়ার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে ডাক্তর দেখান। যদি এলার্জি হয় তাহলে খাবারের তালিকা ঠিক রাখবেন। চিকিৎসা করা থেকে বিরত থাকবেন।
আর যদি অন্য কোনো সমস্যার কারনে চোখ দিয়ে পানি পড়ে তাহলে ডাক্তরের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ভাবে চিকিৎসা নিবেন। প্রিয় পাঠক আজকের মতো আমি এখানেই শেষ করছি আর্টিকেল টি পড়ে আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url