গর্ভাবস্থায় কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়
গর্ভাবস্থায় কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। গর্ভাবস্থায় অনেক সময় শরীরে কৃমি হয়। সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যায়না। তাই সেটি বাসায় বসে ঘরোয়া উপায়ে ভালো করতে হবে।
আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন কৃমি কেন হয়। এবং কৃমি ভালো করার জন্য আপনার করণীয় কি সেই সম্পর্কে। তাই আর্টিকেল টি শুরু থেকে শেষ পযন্ত পড়তে থাকুন।
সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় জানুন
- গর্ভাবস্থায় কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- গর্ভাবস্থায় কৃমি হলে করণীয়
- বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়
- পেটে কৃমি আছে কি না বুজবেন কিভাবে
- বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ
- কি খেলে কৃমি ভালো হবে
- কৃমি ভালো করার ওষুধ
- কৃমির লহ্মন গুলো কি কি
- কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
- গর্ভাবস্থায় কৃমির ওষুধ সম্পর্কে আমার শেষ মতামত
গর্ভাবস্থায় কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়
গর্ভাবস্থায় কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেল টি মনযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আমাদের ভিতর অনেকেই আছে যাদের গর্ভাবস্থায় কৃমি হয়। এটা নিয়ে তাদেট টেনশন করার কোনো কারন নাই। আপনি পেটে থাকা কৃমি ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে ভালো করবেন যেভাব তা নিচে দেখুন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি
- প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই থেকে তিন কোয়া রসুন খাবেন। কারণ রসুনে অ্যান্টি প্যারাসাইটিক থাকে প্রচুর পরিমানে যা আপনার পেটে থেকে কৃমি খুব সহজেই দূর করে দিবে। এটি খাওয়ার নিয়ম এক গ্লাস পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে ভালোভাবে তারপর খালি পেটে গ্রহণ করতে হবে।
- পেটে থাকা কৃমি দূর করার জন্য নারকেল অনেক সাহায্য করবে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাঁচা নারকেল খাবেন। নিয়মিত সাত থেকে ১০ দিন খেলে আপনার পেটে থেকে কৃমি কমে যাওয়া শুরু করবে।
- গাজর: গাজরে বিটা কেরোটিন এবং ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি থাকে প্রচুর পরিমাণ। যার কারণে আপনি যদি নিয়মিত গাজর খেতে পারেন তাহলে আপনার পেটে থাকা কৃমি খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
গর্ভাবস্থায় কৃমি হলে করণীয়
গর্ভাবস্থায় কৃমি হলে কি করবেন আপনি জেনে নিন। গর্ভবতী নারীরা অনেকেই আছেন পাঁচ থেকে ছয় মাসের সময় ক্রিমের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে যদি আপনার অতিরিক্ত সমস্যা বুঝতে পারেন তাহলে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ আমলকি সিরাপ খেলে কি মোটা হয়
কৃমি দূর করার জন্য ডাক্তার আপনাকে কিছু ট্যাবলেট দিতে পারে সেই ট্যাবলেট গুলো আপনার পরিবারের সবাইকে খাওয়াতে হবে। যাতে করে একজনের কাছ থেকে অন্যজনার কাছে কৃমি যেন দৌরাতে না পারে। কৃমির ওষুধ টানা সাত দিন খেতে হবে। এছাড়া অতিরিক্ত কৃমি হওয়ার ক্ষেত্রে আপনি ১৫ দিন পর্যন্ত ওষুধ খেতে পারবেন। অন্যদিকে চিকিৎসার পাশাপাশি আপনার চলাফেরা পরিপাক হতে হবে।
কোন কিছু ফল খাওয়ার সময় ধুয়ে খেতে হবে। নিজ হাতে কোন খাবার গ্রহণ করার আগে সাবান দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে হাত ধরে নিতে হবে। আপনার চলাফেরার উপর যদি যত্ন নেন তাহলে আশা করা যায় কৃমি ভালো হয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে ক্রিমে হওয়ার সম্ভাবনা কম দেখা দেবে।
বাচ্চাদের কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায়
বাচ্চাদের কৃমির দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। প্রিয় পাঠক বাচ্চাদের কৃমি হলে অনেক ভয়াবহয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনি যদি বুঝতে পারেন যে বাচ্চার কৃমি হয়েছে সাথে সাথে তার চিকিৎসার পরামর্শ নিতে হবে অথবা ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব দ্রুত ভালো করতে হবে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিতে না পারলে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে যেভাবে বাচ্চাদের কৃমি দূর করবেন তা জেনে নিন।
- পেঁপে: বাচ্চাদের পেটে থাকা কৃমির দূর করতে প্রতিদিন পেঁপে খেতে হবে। পাকা পেঁপেই ভিটামিন বেশি থাকে, পাশাপাশি পরজীবী নাশক উপকারিতা রয়েছে। এছাড়াও আপনি চাইলে কাচের পেঁপে রান্না করে খেতে পারেন। তবে আপনি যদি পেটে থাকা কৃমি ভালো করতে চান তাহলে প্রতিদিন একবার করে হলেও পেঁপে গ্রহণ করতে হবে।
- খুব তাড়াতাড়ি বাচ্চাদের কৃমি দূর করার জন্য পেঁপে যেভাবে খাওয়ার নিয়ম তা হল। এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চামচ চা, এক চামচ মধু, এবং এক চামচ পাকা পেঁপের গুড়ো মিশিয়ে নিতে হবে সঠিকভাবে। এরপর হালকা ও শিশু গরম করে নিয়ে সেটি সকালে খালি পেটে গ্রহণ করতে হবে।
পেটে কৃমি আছে কি না বুজবেন কিভাবে
পেটে কৃমি আছে কি না বুঝবেন কিভাবে জেনে নিন। এমন সমস্যার সম্মুখীন প্রায় অনেকেরই হতে হয় যখন পেটে কৃমি থাকা সত্ত্বেও বুঝতে পারা যায় না। তাই আজকে আপনাদেরকে জানাবো যে সমস্যাগুলো হলে আপনার পেটে কৃমি আছে বুঝতে হবে সে সম্পর্কে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
আপনার পেটে যদি কৃমি থাকে তাহলে মাথায় অনেক ব্যথা করবে। এ বিষয় নিয়ে আপনি ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করতে যাবেন ডাক্তার সঠিকভাবে চিকিৎসা করার পরও দেখা যাচ্ছে আবার হঠাৎ করে পেটে ব্যথা কিংবা মাথায় যন্ত্রণা হওয়া শুরু করছে। এমন সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার পেটে কৃমি রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ - কিডনি ড্যামেজ থেকে বাঁচতে কি করবেন
অতিরিক্ত টেনশন কিংবা শরীরের শক্তি হারিয়ে ফেলা। এই সমস্যাগুলো দেখা দিলে পেটে কৃমি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি আরও যে সমস্যাগুলো দেখা দিবে তা হল কোন কিছুর উপর থেকে মন উঠে যাওয়া। কিংবা শরীরের বিরক্তিকর ভাব অনুভব করা। যা আপনার পেটে থাকে কৃমি বাসা বাধা শুরু করবে।
হঠাৎ করেই আপনি মিষ্টি খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে উঠেছেন। কোন কারণ ছাড়াই আপনি শরীরের দুর্বলতা অনুভব করছেন। এরকম সমস্যা দেখা দিলে সাথে সাথে কৃমি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এই সমস্যা গুলি দীর্ঘদিন যাবত ধরে থাকলে পেটে বাসা বাঁধবে পরবর্তীতে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
বড়দের ঘন ঘন কৃমি হওয়ার কারণ
বড়দের ঘনঘন কৃমি হওয়ার কারণ জেনে নিন। পরিবারের বড় মানুষ মানে তাদের কাজের চাপ অতিরিক্ত থাকে। তারা বেশিরভাগ সময় কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। কাজের চাপের জন্য তারা নিজের শরীরের যত্ন নিতে পারে না ঠিকমতো। যেমন কাজ করতে করতে কোন খাবার গ্রহণ করার সময় হঠাৎ করেই হাত না ধুয়ে খেয়ে ফেলে। যার ফলে তাদের পেটে কৃমি হওয়ার সম্ভাবনা হয়।
এবং যেকোনো মানুষের ক্ষেত্রে কোন কিছু খাওয়ার আগে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে তারপর খাবার খেতে হবে। অপরিষ্কার হাতে খাবার গ্রহণ করলে কৃমির বাসা বাঁধে। অপরিষ্কার পানি পান করলে পেটে কৃমি হয়। হাতে ময়লা থাকা শর্তেও সেই হাত না ধুয়ে খাবার খেলে। প্রিয় পাঠক উপরের কথার সাথে আপনার যদু মিল থাকে তাহলে পরিবর্তন করুন এবং শরীরের যত্ন নিন তাহলে আশা করা যায় কৃমি থেকে আপনি বিরত থাকতে পারবেন।
কি খেলে কৃমি ভালো হবে
কি খেলে কৃমি ভালো হবেন এটার সঠিক তথ্য অনেকেই জানেন না। তাই কৃমির সমস্যা দূর করতে পারছেন না। আমার মতামত কৃমির সাথে জরিত অথবা স্বাভাবিক মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। যাদের পেটে ইতিমধ্যে কৃমি হয়েছে তারা সাথে সাথে ডাক্তরের পরামর্শ নিবেন এবং প্রতিদিন সকালে ১ থেকে ২ টি করে লবঙ্গ খাবেন। সেই সাথে মিষ্টি কুমড়ার বীজ এক গ্লাস পানিতে গরম করে নিবেন। এরপর সেটি খালি পেটে সকালে কেউ খাবেন।
আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় - শরীর দুর্বলতা কাটানোর উপায়
আর যাদের কৃমি হয় নাই এখনও তাদের জন্য যে করণীয় তা হল। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দই রসুন খাবেন। এবং দুইটি করে লবঙ্গ খাবেন। যতদূর সম্ভব মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো ছেড়ে দিবেন। এবং চলাফেরা পরিপাক করবেন শরীরে যত্ন নিবেন নিয়মিত। এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে চলতে পারলে পেটে কৃমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
কৃমি ভালো করার ওষুধ
কৃমি ভালো করার ওষুধ কোনটা খেতে হবে জেনে নিন। যাদের বাসা গ্রামে তাদের বাসার আশে পাশে ভালো কোনো ডাক্তর না থাকলে অ্যালবেনডাজল নামে একটি ট্যাবলেট আছে সেটা কিনে খাবেন। এই ওষুধ অ্যালবেন্ডাজোলাম নামে পরিচিত। এখন অনেকেই ভাবতে পারেন যে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে এই ঔষধ কেন কিনে খাব। তাহলে এবার জেনে নিন কেন এই ঔষধ খাবেন। অনেক সময় ভালো কোন ডাক্তার থাকে না চিকিৎসা করার মত।
অথবা ক্রিমের সমস্যাগুলো দূর করার জন্য ভালোভাবে চিকিৎসা করতে পারেন না কিছু কিছু ডাক্তার। তাই আপনি তাদের কাছ থেকে চিকিৎসা না করে উপরে দেওয়া যে ট্যাবলেটটির নাম বলেছি এই ট্যাবলেট কিনে খাবেন। চিকিৎসা না করে শুধু ট্যাবলেট কিনে খেলে আপনার কৃমি খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে আশা করা যায়।
কৃমির লহ্মন গুলো কি কি
কৃমির লহ্মন গুলো কি কি জেনে নিন। আমাদের শরীরে চলাফেলা একটু নরমাল করলে কৃমি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যা আমরা সরাসরি বুঝতে পারিনা। তারা কিভাবে বুজবেন যে পেটে কৃমি হয়েছে। চলুন শুরু করা যাক এবার।
- পেট ব্যথা: হঠাত করে পেট ব্যথা বা পেটে কামর দেওয়া সমস্যা হয়ে থাকলে কৃমি হতে পারে।
- পেট ফুলে যাওয়া কিংবা বমি: কোনো কারন ছারাই পেট ফুলে গেলে অথবা আপনি সঠিক সময়ে খাওয়ার দাওয়া করছেন তারপর ও যদি আপনার পেট ফুলে যায় তাহলে পেটে কৃমি হয়েছে। যার ফলে কোনো কারন ছারাই মাঝে মাঝে আপনার বমি হতে পারে।
- হঠাত করেই ওজন কমে গেলে বুঝে নিতে হবে যে আপনার পেটে কৃমি রয়েছে। অথবা শরীরের শক্তি কমে যেতে পারে পেটে কৃমি থাকার কারনে।
কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। প্রিয় পাঠক কৃমির ওষুধ বিভিন্ন রকম এবং বিভিন্নভাবে খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। আপনার ওজন যদি ৬০ কেজির উপরে হয়ে থাকে তাহলে আপনি ট্যাবলেট কিংবা ফাইল যেকোনো খাবার ২৮ দিন প্রতিদিন দুই বেলা খেতে পারবেন। আর যদি আপনার ওজন ষাট কেজির নিচে হয়ে থাকে তাহলে ১৪ দিন পরপর মোট ২৮ দিনে দুইবার চিকিৎসা করতে পারবেন।
স্বাভাবিকভাবে আপনার শরীর যদি ইয়ং বয়সের হয়ে থাকে তাহলে আপনি খুব বেশি হলে ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত চিকিৎসা করবেন। দীর্ঘদিন যাবত চিকিৎসা করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। আশা করছি খুব সহজেই বুঝতে পারছেন।
গর্ভাবস্থায় কৃমির ওষুধ সম্পর্কে আমার শেষ মতামত
প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যে আপনি জেনেছেন গর্ভাবস্থায় কৃমি দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং এই কৃমি কেন মানুষের পেটে হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে সকল বিস্তারিত। সম্পন্ন আর্টিকেলটির মধ্য আমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি মনে হয়েছে তা হল ইতিপূর্বে আপনার যদি কৃমির সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে খাবারের ভিতর পরিবর্তন আনুন সুষম খাবার গ্রহণ করুন। এর পাশাপাশি ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চালিয়ে যান।
এছাড়াও যাদের শরীর স্বাভাবিকভাবে রয়েছে তারা খাবারের সমস্যা থাকলে কিংবা চলাফেরা অযত্নে থাকলে সেইসব পরিবর্তন করুন। যাতে করে আপনারাও পরবর্তীতে কৃমির সমস্যায় না পড়েন। যাইহোক এতক্ষণ আপনাদের সামনে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলাম তার থেকে আপনি কি পরিমান উপকার পেয়েছেন তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url