গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লহ্মণ
গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লহ্মণ। আপনি যদি একজন বিবাহিত মেয়ে হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এটা জেনে রাখা উচিত। গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহ আগে কি কি লহ্মন দেখা দিতে পারে আপনার শরীরে। সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে শুরু থেকে শেষ পযন্ত এই পোস্ট পড়তে থাকুন তাহলে জানতে পারবেন
গর্ভবতী হওয়ার লহ্মণ, নতুন নতুন যারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। বেশির ভাগ তারাই জানেন না যে গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লহ্মণ কেমন হবে। বা কি কি করতে হবে সেই বিষয়ে কিছু জানেন না আপনি। আজকের এই পোস্টে জানাবো আপনি গর্ভবতী হয়েছেন কিনা সেটা কিভাবে বুজবেন। এবং গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লহ্মণ আপনার কেমন হবে সেই সম্পর্কে আলোচনা করবো।
সূচিপত্রঃ গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লহ্মণ সম্পর্কে বিস্তারিত জনুন
গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লহ্মণ
গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লহ্মণ কেমন হবে সেই সম্পর্কে জানতে হলে মনযোগ সহকারে পড়ুন এই পর্বটি। যারা নতুন নতুন বিবাহ করেছে না ধরে নেয় তাদের পিরিয়ড মিস হয়ে গেলে হয়তা তারা গর্ভবতী। শুধু যে পিরিয়ড মিস হলে সে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা আছে এটা একদম ভুল ধারনা। তবে পিরিয়ড মিস হওয়ার পাশাপাশি আরো কিছু লহ্মণ দেখা দেয়। সেই লহ্মণ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করবো আপনাদের সামনে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
আরো পড়ুনঃ ৭ দিনে লম্বা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
- গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লহ্মণ কেমন হয়। একটা নারীর যখন পিরিয়ড মিস হয় তারপর থেকে তার শরীর যদি অসুস্থ হয়ে পরে অথবা যখন তার বমি বমি ভাব হয়, সকালে খুব থেকে উঠেই সে অসুস্থ ভাব বুঝতে পারে তখন সে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- গর্ভবতী হওয়ার ৭ দিন আগে থেকে তার মুখের রুচি পরিবর্তন হয়ে যায়। তার সামনে যতোই ভালো খাবার দেওয়া হয় না কেনো সে কোনো কিছু খেতে পারবেনা। এবং সে খাওয়ার সময় এক প্রকার বিরক্ত অনুভব করবে। তারপর আস্তে আস্তে সে নিজেও বুঝে নিতে পারবে যে তার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা সেটা।
- প্রেগন্যান্সি হওয়ার ৭ দিন আগে থেকে তার রক্তচাপ সমস্যা হবে। শরীরে দুর্বলতা অনুভব করবে যার ফলে মাথা গা ঘুরবে।এমনকি সে না খেয়ে থাকার ফলে শক্তি হারিয়ে ফেলবে। এজন্য রক্তচাপের সমস্যা বা মাথা ঘুরতে লাগলেও একটু কষ্ট করে খেয়ে নিবেন না খেয়ে থাকা যাবেনা।
- শরীরের তাপমাত্রা অনুভব করা। একজন মহিলার যখন প্রেগন্যান্সির হওয়ার লহ্মণ দেখা দেওয়ার সম্ভবনা থাকে। তখন তার শরীরে অধিক পরিমান তাপমাত্রা অনুভব করবে। এবং সেই তাপমাত্রা প্রায় ১৫ দিন যাবত থাকবে পারে। এর জন্য আপনার কোনো চিন্তা করতে হবেনা পরবর্তীতে ঠিক হয়ে যাবে।
- গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লহ্মণ যদি এমন দেখা দেয় তাহলে আপনি খাবার খেতে পারবেন না ঠিকমতো। খাবার খেতে না পারলে আপনার শরীরে আরো সমস্যা বাড়তে পারে। তাই যত দ্রুত পারেন ডাক্তরের পরামর্শ নিন। নিয়মিত চিকিৎসা করতে হবে। আপনি যদি গর্ভবতী হয়েও যাব তারপর যেন আপনার শরীর খারাপ না থাকে। সে কারনে ডাক্তরের পরামর্শ নেওয়াটা আপনার খুব জরুরি।
গর্ভবতী হওয়ার লহ্মণ
গর্ভবতী হওয়ার লহ্মণ। ইতিমধ্যে আপনি জেনেছেন গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লহ্মণ। এবার জেনে নিন একজন মহিলার প্রথমবার মা হওয়ার লহ্মণ অর্থাৎ গর্ভবতী হওয়ার লহ্মন কেমন হবে। সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা জানুন। প্রথমবার একটা মহিলা যখন মা হতে যাবে তখন মাসিক মিা হয়ে গেলেও তারা সঠিক বুঝতে পারবেনা যে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভবনা কতটুকু। পিরিয়ড মিস হওয়ার পর যখন গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তখন আপনার মেজাজ পরিবর্তন হয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা
আপনি কারো সাথে কথা বলার সময় খিটখিটে করে কথা বলবেন আপনার কোন কিছু ভালো লাগবে না। শরীরে ক্লান্তি দুর্বলতা এগুলোর কারণে আপনি খাওয়া দাওয়া করতে পারবেন না। ঘন ঘন প্রসাব হবে। আপনি খাওয়া দাওয়া না করলেও আপনার প্রসাব ঘন ঘন দেখা দিবে। জ্বর এবং পেট ব্যথা দেখা দিবে। এটা কখন দেখা দিবে জানেন। আপনার পিরিয়ড মিস হওয়ার পরপর হালকা করে জ্বর এবং পেট ব্যথা শুরু হবে।
পিরিয়ড মিস হওয়ার পর যদি কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনি গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ কোষ্ঠকাঠিন্য এজন্য হরমোন কে দায়ী করা হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন পিরিয়ড মিস হওয়ার পর কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু আছে সেই সম্পর্কে।
গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ
গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। যারা দ্বিতীয় বার গর্ভবতী হতে যাচ্ছেন তারা একমাস আগে থেকেই বুঝতে পারবেন কোন কোন লক্ষণ দেখা দিতে পারে সেইগুলো। যেমন ধরেন একদিকে মাসিক হচ্ছে না নিয়মিত তারপর আবার অন্যদিকে সমস্যা তার শরীর নিয়ে। গর্ভবতী হওয়ার এক মাস আগে থেকেই বুক জ্বালা করবে অনেক।
করতে পারবেন না যার ফলে আপনার ডাক্তারের চিকিৎসা পরামর্শ নিতে হবে। এবং এক মাস আগে থেকেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাওয়া শুরু করবে। আপনি একটা জিনিস খেয়াল করবেন আগের দুই মাস আপনার ওজন কেমন ছিল গর্ভবতী হওয়ার এক মাস আগে থেকে আপনার ওজন কতটা দ্রুত বাড়ছে। যদি বুঝতে পারেন আগের থেকে তিন গুন ওজন বাড়তেছে।
তাহলে আপনার বুঝে নিতে হবে আপনি গর্ভবতী হতে যাচ্ছেন। এর পাশাপাশি আপনার স্তন নরম হয়ে যাবে সেইদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। যারা প্রথমবার গর্ভবতী হতে যাচ্ছেন তারা হয়তো এইসব বুঝতে পারবেন না। যদি না বুঝতে পারেন তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। আশা করছি বুঝতে পারছেন গর্ভবতী হওয়ার একমাস আগে আপনার লক্ষণ কেমন হতে পারে।
গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা
গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা জেনে নিন। গর্ভবতী হলে খেতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। আপনি যদি বুঝতে পারেন ১ মাস আগে থেকেই আপনি গর্ভবতী। তাহলে আপনার খাবার পরিবর্তন করুন। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সকালে শর্করা জাতীয় খাবার খেতে হবে যেমন ভাত রুটি এবং শাকসবজি। সকালের খাবারের তালিকায় দেখতে হবে ডিম দুধ প্রোটিন জাতীয় খাবার।
আরো পড়ুনঃ ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়
সকালে এবং দুপুরে খেতে পারবেন রাতে অতিরিক্ত কিছু খাওয়া যাবে না। দুপুরের খাবারের তালিকা রাখুন মাছ মাংস ও ডাল। অতিরিক্ত কোন কিছুই খাওয়া যাবেনা সবকিছু নিয়ম মেনে খেতে হবে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য। সব সময় এমন খাবার খেতে হবে যে খাবারে পোস্টটি বেশি। যাতে করে আপনার শরীরে পুষ্টির অভাব না দেয়। আপনার দুর্বলতা কাটানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। গর্ভবতী অবস্থায় আপনি দুর্বল হয়ে গেলে আপনার বাচ্চার সমস্যা হয়ে যেতে পারে। এজন্য সাবধানে চলাফেরা করতে হবে গর্ভবতী অবস্থায়।
গর্ভবতী মায়েদের নিষিদ্ধ খাবার
গর্ভবতী মায়েদের নিষিদ্ধ খাবারগুলো কি কি তা জেনে নিন। আপনি যদি কোন কিছু রান্না করে খেতে চান তাহলে সেটা পুরোপুরি সিদ্ধ করে রান্না করে নিবেন। একটু কাঁচা বা রান্না না হওয়া পর্যন্ত সেটা খাওয়া যাবে না। বাহিরের কোন কিছু খাবারের সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ খাবার হওয়া যাবে না যার ফলে আপনার বা আপনার বাচ্চার সমস্যা হতে পারে। কোন ধরনের জিংক বা কমল পানীয় পান করা যাবে না। প্রতিদিন আপনার ১১ মিলিগ্রাম জিংক খাওয়া প্রয়োজন। এর জন্য আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন ডাক্তার আপনাকে বৃদ্ধির জন্য ট্যাবলেট দিবে এবং সেটা আপনার খাওয়ার জন্য উপযুক্ত।
আরো পড়ুনঃ এলার্জি দূর করার উপায় - এলার্জি কেনো হয় জেনে নিন
গর্ভ অবস্থায় গরম খাবার যেমন চা কফি এগুলো খাওয়া যাবে না। দুধ খেতে পারবে তবে হালকা গরম করে নিতে হবে। তবে কাঁচা দুধ খাওয়া যাবেনা। অথবা কাঁচা কোন ডিম খাওয়া যাবে না। কলিজা খেতে পারেন,কলিজা দিয়ে বানানো খাবার খেতে পারবেন। কলিজাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ থাকে। আপনার শরীরের জন্য ভিটামিন এ কতটুকু প্রয়োজন সেই অনুযায়ী কলিজা খেতে হবে। অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না তাহলে শরীরের উপকার না হয়ে ক্ষতির প্রভাব ফেলতে পারে।
গর্ভবতী মায়েদের যে সকল ফল খাওয়া যাবে
গর্ভবতী মায়েদের যে সকল ফল খাওয়া যাবে সেটা জানতে হবে যদি আপনি একজন গর্ভবতী মেয়ে হয়ে থাকেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা করে কিছু খেয়ে নিবেন অথবা পানি খাবেন। তারপরে কলা খাদ্য তালিকায় রাখবেন।কলাতে আছে প্রচুর পরিমাণ হিমোগ্লোবিন যা রক্ত বৃদ্ধি করে। এবং গর্ভবতী মেয়েরা শক্তি কম পায় সেই সময়টা শক্তির চাহিদা পূরণ করতে পারে কলা খাওয়ার ফলে।
কমলা একটি ভিটামিন যে জাতীয় ফল। গর্ভবতী মেয়েদের ভিটামিন সি অতিরিক্ত খেলে সমস্যা হবে না। যারা গর্ভবতী অবস্থায় আছেন তারা ভিটামিন সি জাতীয় ফল পছন্দ করে থাকেন। এবং এই ফল খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে দুর্বলতা কাটিয়ে দিবে শরীরকে সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখবে।
গর্ভবতী মহিলারা আপেল প্রতিদিন নিয়মিত খাবেন। আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ যার শরীরে পুষ্টি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আপেলে রয়েছে ভিটামিন সি যার ফলে আপনার রোগ প্রতিরোধ থেকে রক্ষা করতে পারে।
তরমুজ প্রতিদিন খাওয়া উচিত। যদিও তরমুজ সব সময় পাওয়া যায় না। যে সময়টা পাবেন এই সময়টা প্রতিদিন তরমুজ খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ যা আপনার মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে। এবং অতিরিক্ত তরমুজ খেলে আপনার শরীর এবং দেহের যে কোন সমস্যা বা অসুস্থতা দূর করে দিতে পারে। গর্ভবতী মহিলারা নিয়মিত তরমুজ খাবেন।
আমাদের শেষ মন্তব্য
ইতিমধ্য আপনারা জেনেছেন গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লহ্মণ,গর্ভবতী হওয়ার লহ্মণ,গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ,গর্ভবতী মায়ের খাদ্য তালিকা, গর্ভবতী মায়েদের নিষিদ্ধ খাবার, এবং গর্ভবতী মায়েদের যে সকল ফল খাওয়া যাবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত। এখানে আমার মতামত হচ্ছে যারা নতুন প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হতে যাচ্ছেন। তারা প্রথমবার বুঝতে পারবেন না গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণগুলো।
এজন্য যদি আপনাদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায় পাশাপাশি আপনার শরীর অতিরিক্ত পরিমাণ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আপনি বুঝতে পারছেন না যে আপনি গর্ভবতী হতে যাচ্ছেন কিনা। সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত চিকিৎসা করুন। গর্ভবতী হওয়ার অবস্থায় নিয়মিত খাবার খাবেন।
এই আর্টিকেলটি পরে আপনারা জেনেছেন গর্ভবতী থাকা অবস্থায় কোন কোন খাবার খাওয়া যাবে সে সম্পর্কে। সে খাবারগুলো নিয়ম মেনে খাবেন।আর যে খাবারগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে তা খাওয়া থেকে দূরে থাকুন আশা করছি বুঝতে পারছেন। আজকের মত আমি এখানে শেষ করছি। আমার এই পোস্ট পড়ে আপনি কতটা উৎসাহিত পেয়েছেন তা কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url