দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। রাতে ঘুমানোর সময় হঠাৎ পেটে গ্যাস হয়। তখন অনেকে সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু গ্রহণ করে। সেই গ্যাস কেনো হয়। গ্যাস থেকে রক্ষা পাওয়া এবং দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব।
কোন কোন খাবার খেয়ে ঘুমালে রাতে গ্যাস হবে। পেটের গ্যাস দ্রুত কমাবেন কিভাবে। এবং সেই গ্যাসকে চিরতরে দূর করে দিবেন কিভাবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে এই পোস্ট শুরু থেকে পর্যন্ত সম্পন্ন ভালোভাবে করতে থাকুন।তাহলে পারবেন দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
- দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
- পেটে গ্যাস কেন হয়
- পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হওয়ার লক্ষণ
- অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি হয়
- অতিরিক্ত গ্যাসের ওষুধ খেলে কি হয়
- সকালে কি খেলে গ্যাস হয় না
- যেসব সবজি খেলে গ্যাস কমে যায়
- আমাদের শেষ মন্তব্য
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।গ্যাস মূলত বিভিন্ন খাবার সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। দেখা যায় রাতে এমন কিছু খেয়ে ঘুমিয়ে গেলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন আপনার পেট ফুলে গেছে গ্যাসের কারণে। এবং সেই গ্যাসের কারণে পরবর্তীতে আপনার বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। বেশিক্ষণ গ্যাস নিয়ে বসে থাকা যাবে না। আপনার গ্যাস হয়েছে কিন্তু আপনার বাসায় গ্যাসের ট্যাবলেট নাইট। গ্যাসের ট্যাবলেট বা ওষুধ না খেয়ে অন্য কিছু উপায়ে কিভাবে ভালো করবেন আপনার পেটের গ্যাস। ট্যাবলেট বা ওষুধ ছাড়া আপনার পেটের গ্যাস ভালো করতে হলে নিয়মিত কিছু খাবার খেতে হবে। সেই খাবার গুলো কি কি সেগুলো আজ আপনাদের সামনে আলোচনা করব। তাহলে চলুন দেরি না করে করা যাক।
আরো পড়ুন ঃ এলার্জি দূর করার উপায় - এলার্জি কেনো হয় জেনে নিন
- লেবুর রস : রাতে হঠাৎ করে আপনার যদি গ্যাস হয়ে থাকে। গ্যাসের ট্যাবলেট কোনরকম ওষুধ না পাইলে। লেবুর রস আর এক গ্লাস পানি মিশিয়ে গরম করে নিবেন। পরিষ্কার পানিতে মিশিয়ে নিবেন লেবুর রস। গরম করা হয়ে গেলে সেটা রেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবেন। যখন দেখবেন পানিতে হালকা হালকা গরম আছে তখন সেটা খেয়ে নিবেন। পরের দিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আবার একই নিয়মে লেবুর রস খেতে হবে।
- আদা এবং তুলসি পাতা : তুলসি পাতা গাছ থেকে ছুটে নিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। এরপর এক টুকরো আদা পাতলা করে কেটে নিবেন। কয়েক টুকরো আদা আর কিছু তুলসি পাতা এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে নিবেন। এরপর সেটা হালকা হালকা গরম করে নিবেন। তারপর সেই পানি ছেঁকে নিবেন। ছেঁকে নিয়ে ওই পানিটি খাবেন। আদা এবং তুলসি পাতা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। একজন সাধারণ মানুষ খাবার সমস্যা থাকলে বা অতিরিক্ত খেলে সমস্যা হলে। আদা এবং তুলসি পাতা খেতে পারেন। এতে করে আপনার হজমের কোন সমস্যা হবে না।
- জিরা চা : আপনার যদি গ্যাসের কারণে পেট ফাঁপা করে তাহলে আপনি গ্যাসের সমস্যা সমাধান করার জন্য জিরা দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে। প্রথমে আপনি কিছু জিরা আর এক গ্লাস পানি নিবেন। পানি গরম করে জিরা গুলো ফুটিয়ে নিবেন এরপর আপনি সেই পানিটি কোন কিছু দিয়েছে কে নিবেন। ছেঁকে নেওয়ার পর খেতে হবে। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং হজমের এনজাইম তৈরি করতে পারে জিরা যা খাওয়ার ফলে। দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায় জিরা চা খাওয়া।
- আপেল সিডের ভিগেনার: পেট ফাঁপা করে অথবা ওজন না হওয়ার কারণে পেট ফুলে যায়। তাহলে আপেল সিডের ভিগেনার পানি বা চা এর সাথে মিশিয়ে খেলে ভালো হয়ে যাবে। তবে আপনার নিয়মিত খেতে হবে যাতে করে পরবর্তীতে এই সমস্যাগুলো আর না হয় আশা করছি বুঝতে পারছেন।
- কলা: আপনের শরীর নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিন নিয়মিত কলা খাবেন। দিনে ২ তা করে কলা খাওয়া উচিত প্রতিটি মানুষের জন্য। গ্যাসের সমস্যা থাকলে চিরতরে বিদাই হয়ে যাবে। কলা খেয়ে আপনার ত্বক ভালো থাকবে পাশাপাশি আপনি আস্তে আস্তে ফর্সা হয়ে যাবেন। আপনার চেহারা অনেক পরিবর্তন হয়ে যাবে। সব বয়সী মানুষের জন্য কলা খাওয়া উপকারি। কলাতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই। কলাতে প্রচুর পরিমান মিনারেল ও পটাশিয়াম আছে। বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পাবেন যদি আপনি নিয়মিত কলা খেতে পারেন। তাহলে বুজতেই পারছেন কলা খাওয়া মানুষের জন্য কতটা জরুরি।
পেটে গ্যাস কেন হয়
পেটে গ্যাস কেন হয় জানেন। না জানলে জেনে নিন প্রতিটি মানুষের জেনে নেওয়া উচিত কোন কোন খাবারে বা কি কারণে গ্যাস হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। গ্যাস মূলত ভাজাপোড়া বা শুকনা মরিচ খাওয়ার ফলে হয়ে থাকে। অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণের কারণে পেটে গ্যাস হয়ে থাকে। আবার আপনাকে যখন অনেক ক্ষুধা লাগে না খেয়ে থাকেন। পরবর্তীতে আপনি যখন অতিরিক্ত খেতে যাবেন তখন আপনার পেটে গ্যাস হয়ে যাবে। অথবা খালি পেটে ক্ষুধা লাগলে চা এবং কফি খাওয়া থেকে দ্রুত থাকবেন।
আরো পড়ুন ঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায়
অতিরিক্ত ধূমপানের কারণেও পেটে গ্যাস হয়ে থাকে। বিশেষ করে যাদের হজমের সমস্যা আছে। তারা অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া অথবা চা কফি ধূমপান এগুলো থেকে দূরে থাকুন। আর হজমশক্তি বৃদ্ধি করার জন্য কোন খাবার গুলো খেতে হবে সেগুলো ইতিমধ্য উপরে বলে দেয়া হয়েছে। আপনার হজম শক্তি যদি ঠিক থাকে তাহলে খাওয়ার কমবেশি ভাই একটু সমস্যা হলেও তাতে কোন সমস্যা নাই আপনার। হজম শক্তি সমস্যা থাকলে নিয়ম মেনে খেতে হবে খাবারগুলো।
পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হওয়ার লক্ষণ
পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হওয়ার লক্ষণ। আপনার পেটে কখন গ্যাস হবে। এবং গ্যাস হওয়ার আগে কোন কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। গ্যাস হওয়ার আগে আপনার পেট ফুলে যাবে অথবা পেটের মাঝখানে জ্বলতে থাকবে তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গ্যাস হওয়ার আরো কিছু লক্ষণ। খুদা কম লাগবে আপনাকে। ঘনঘন পেট খারাপ হবে। পেট খারাপ হওয়ার হলে ঘন ঘন বাথরুমে যেতে হবে আপনাকে। এবং বমি বমি ভাব হতে পারে তল পেটে ব্যথা হতে পারে। এই সমস্যা গুলো দেখা দিলে সরাসরি গ্যাসের সমস্যা দূর করার জন্য কাজ চালিয়ে যেতে হবে আপনার। অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি হয়
অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি হয় জানতে চান তাহলে এই পর্ব টি মনযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। গ্যাসের সমস্যা প্রায় মানুষের হয়ে থাকে। কিন্তু প্রতিটি মানুষের উচিত গ্যাসের সমস্যা হইলে দ্রুত সমাধান করার। পেটে গ্যাস নিয়ে বসে থাকা যাবে না ফলে আরো অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নিন অতিরিক্ত গ্যাস নিয়ে বসে থাকলে কোন কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
আরো পড়ুন ঃ ইন্ডিয়ান ভিসা চেক করার নিয়ম - পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ইন্ডিয়ান ভিসা চেক
গ্যাসের সমস্যা নিয়ে বসে থাকলে পাতলা পায়খানা দেখা দিতে পারে অথবা পেট ফুলে যেতে পারে। পাতলা পায়খানা যদি অতিরিক্ত পরিমাণ দেখা দেয় তাহলে আপনার ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চেষ্টা করবেন গ্যাসের ট্যাবলেট না খেয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে গ্যাস ভালো করা যায়। কারণ একটা মানুষের জন্য অতিরিক্ত গ্যাসের ট্যাবলেট খাওয়া ঠিক হবে না। অতিরিক্ত গ্যাসের ট্যাবলেট খেলে বা ওষুধ খেলে কি সমস্যা হয় তা নিচে দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত গ্যাসের ওষুধ খেলে কি হয়
অতিরিক্ত গ্যাসের ওষুধ খেলে কি হয় এটা সবারই জেনে রাখা উচিত। কারণ কে আছে না জেনে না শুনে পেটে গ্যাস হওয়া মাত্রই গ্যাসের ট্যাবলেট ওষুধ খেয়ে গ্যাস ভালো করার চেষ্টা করে। এই কাজটা মোটেও করা যাবে না। অতিরিক্ত গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার ফলে আপনি এলার্জিতে ভুলতে পারেন।
অথবা আপনার শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দিবে। এবং আরো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনার আগে থেকে সাবধান হয়ে যাবেন গ্যাস হয়ে থাকলে অতিরিক্ত গ্যাসের ওষুধ খাবেন না। ঘরোয়া পদ্ধতিতে এবং কোন কোন খাবার খেয়ে গ্যাস ভালো করবেন সেইগুলো এই পোস্ট এর উপরে দেওয়া হয়েছে আপনারা ইতিমধ্য জেনে গিয়েছেন।
সকালে কি খেলে গ্যাস হয় না
সকালে কি খেলে গ্যাস হয়না সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি ফলমূল খাবেন যেমন আপেল। আপেল রয়েছে প্রচুর পরিমাণ শর্করা ও পুষ্টি উপাদান। সকালে খালি পেটে আপেল খাওয়ার ফলে আপনার শারীরিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে। আপেল একটি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার পাশাপাশি ভিটামিন বি এর কাজ করবে।
আরো পড়ুন ঃ ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম
নিয়মিত আপেল খাওয়ার ফলে আপনি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ থেকে রক্ষা পাবেন। তরমুজ, কলা, কমলা, খেজুর, পাকা পেঁপে, কিসমিস,বাদাম, এগুলো খাবারে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে। আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি খাবার এইগুলো। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত খান তাহলে আপনার শক্তি বৃদ্ধি করবে। আশা করছি বুঝতে পারছেন সকালে কোন খাবারগুলো খেলে আপনার পেটে গ্যাস হবে না সেই সম্পর্কে
যেসব সবজি খেলে গ্যাস কমে যায়
যেসব সবজি খেলে গ্যাস কমে যায়। অনেক সময় দেখা যায় এমন কিছু রান্না করে খাওয়ার পর যা তার পেটে হজম হতে পারে না এর ফলে গ্যাস হয়ে যায়। এজন্য আজকে আলোচনা করব কোন কোন সবজি খেলে গ্যাস কমে যায়। ফুলকপি, বাঁধাকপি, কাঁচা পেঁপে, লাউ, এবং সবুজ শাকসবজি হলুদ গুঁড়ো, কাঁচা মরি,রসুন, পিয়া এই গুলো খাবার আপনি প্রতিদিন নিয়মিত খাবেন।
যেগুলো আপনি রান্না করে খেতে পারবেন এর ভিতর কোন গ্যাস নাই, পুদিনা পাতা এটা আপনি চিবিয়ে খেতে পারবেন। পুদিনা পাতা গ্যাস ভালো করার জন্য অনেক সাহায্য করে। আপনার অভ্যাস থাকতে হবে পুদিনা পাতা চিবিয়ে খাবার। তাহলে আপনি গ্যাসের সমস্যা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
আমাদের শেষ মন্তব্য
ইতিমধ্য আপনারা জেনেছেন দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়,পেটে অতিরিক্ত গ্যাস হওয়ার লক্ষণ,পেটে গ্যাস কেন হয়,অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি হয়,অতিরিক্ত গ্যাসের ওষুধ খেলে কি হয়,সকালে কি খেলে গ্যাস হয় না,যেসব সবজি খেলে গ্যাস কমে যায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা। আমার মতামত হচ্ছে আপনার যদি হঠাৎ গ্যাসের সমস্যা হয়ে যায় তাহলে উপরে দেওয়া আছে সেগুলো পড়লে বুঝতে পারবেন কিভাবে দ্রুত গ্যাস ভালো করবেন।
তবে যাদের গ্যাসের সমস্যা নাই বিশেষ করে তারা আগে থেকেই সাবধান হয়ে যাবেন। যাতে করে পরবর্তীতে আপনাদের গ্যাসের সমস্যায় না করতে হয়। সকালের খাবারটা অন্তত তৈলাক্ত তো খাবার থেকে দূরে থাকবেন। ফলমূল খাবেন সকালে ঘুম থেকে উঠে কলা আপেল অথবা খেজুর কিসমিস ভিজিয়ে খাবেন।
এতে করে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার হবে পাশাপাশি আপনাকে গ্যাসের সমস্যা আক্রান্ত করতে পারবে না। আজকের মত আমি এখানেই শেষ করছি। এই পোস্ট পড়ে আপনার কাছে কেমন লেগেছে। এবং আপনি কতটা উপকার পেয়েছেন এই পোস্ট পড়ে তা কমেন্ট করে জানিয়ে দিন। আশা করছি সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url