অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা - অল্প পুঁজিতে ২০ টি ব্যবসার আইডিয়া
অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে জানুন। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষের কাছে টাকার সংকট দেখা দেয়। মানুষ চাই যে অল্প পুঁজি নিয়ে এমন কিছু ব্যবসা করা যাবে, যাতে সেই ব্যবসা থেকে অধিক পরিমাণ লাভ করা যায়। আজ আপনাদের সামনে এমন কিছু ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করব যেই ব্যবসা গুলো আপনি নিয়ে শুরু করতে পারবেন, এবং অধিক পরিমাণে লাভ করতে পারবেন।
বাংলাদেশের বাজারে চাকরির থেকে এখন ব্যবসার মূল্য বেশি বেড়ে গেছে। তাই আপনি যদি চাকরির পিছনে ছুটাছুটি করে চাকরি না পান এত হতাশ হওয়ার কিছু নাই। আপনার কাছে যদি অল্প কিছু পুঁজি থাকে সেই পুঁজি দিয়েই শুরু করে দিন ব্যবসা। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব অল্প পুজিতে ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
সূচিপত্রঃ অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত
- অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা
- অল্প পুঁজিতে ২০ টি ব্যবসার আইডিয়া
- অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা বীজ ও সারের দোকান
- অল্প পুঁজিতে অনলাইনে আইডি বেচাকেনা
- অল্প পুঁজিতে মুরগির ব্যবসা করে লাভমান
- অল্প পুজিতে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কাপরের
- ই- কমার্স ব্যবসা শুরু করুন অল্প পুঁজিতে
- অল্প পুঁজিতে ফলমূলের ব্যবসা করে আয়
- ফাস্ট ফুডের দোকান দিন অল্প পুঁজিতে
- আমাদের শেষ মন্তব্য
অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা
অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে জানতে হলে এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখন চাকরি ছেড়ে ব্যবসার পিছনে লেগে আছে। কারণ চাকরির থেকে দ্বিগুন টাকা লাভ করতে পারি তারা ব্যবসা করে। এজন্য আপনি যদি একজন বেকার হয়ে থাকেন।
আরো পড়ুনঃ ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম
লেখাপড়া করছেন অনেক তবুও কোন চাকরি পাচ্ছেন না। তাহলে ছেড়ে দিন চাকরির আশা। আজকাল হাত খরচের টাকা কার কাছেই না থাকে। সেই হাত খরচের টাকা আপনি কাজে লাগিয়ে হাত খরচে আরো বৃদ্ধি করে তুললাম। কারণ আজকাল হাত খরচের টাকা অথবা অল্প পুজিতে অনেক রকমের ব্যবসা করা যায়।
যে ব্যবসা গুলো শুরু করে পরবর্তীতে তারা আরো উন্নত করে ফেলতে পারবে। আপনি হয়তো ভাবতে পারেন অল্প পুঁজি নিয়ে কোন কোন ব্যবসা শুরু করা যাবে। আপনার ভাবনা দূর করার জন্য আমরা এই আর্টিকেলে নিয়ে আসলাম অল্প টাকা বিনিয়োগ করে যেই ২০ টি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এবং অল্প পুঁজিতে ২০ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচে পড়তে থাকুন।
অল্প পুঁজিতে ২০ টি ব্যবসার আইডিয়া
অল্প পুঁজিতে ২০ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। এমন কিছু ব্যবসা আছে যেগুলো আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো করতে পারবেন। সে ব্যবসা করতে যদি অল্প কিছু টাকা বিনিয়োগ করে অতিরিক্ত পরিমাণে লাভ করা যায় তাহলে আপনার কেমন লাগবে, অবশ্যই ভালো লাগবে।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম সাইট বিকাশে পেমেন্ট ১০০% গ্যারান্টি
বেকার মানুষের কাছে টাকার সংকট থাকার কারণে তারা বড় ব্যবসা শুরু করতে পারেনা। তাদের জন্য এই ২০ টি ব্যবসা রয়েছে। যে ব্যবসা গুলো খুব সহজেই এবং খুব সীমিত টাকা বিনিয়োগ করে শুরু করতে পারবে। তাহলে চলেন শুরু করা যাক কি কি ব্যবসা করতে পারবেন অল্প টাকা বিনিয়োগ করে সেই আলোচনা জানতে নিচে আসুন।
- কফিশপ: বর্তমান সময়ে খুব অল্প টাকা বিনিয়োগ করে আপনি কফি শপের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। কফি শপের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক পরিমাণ। আপনার গ্রামের ভিতরে অথবা আপনার গ্রামে যদি কোন বাজার থাকে সেই বাজারের আশেপাশে একটি দোকান দিয়ে সেখানে কফি শপের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন।
- মোবাইল রিচার্জ: এটি একটি অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা। আপনি যদি মোবাইল ফোন চালানো ভালো পারেন তাহলে এই ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন। অল্প কিছু টাকা ইনভেস্ট করে শুরু করতে পারবেন। আপনার গ্রামের ভিতরে যদি মানুষজনের চাহিদা বেশি থাকে। সেরকম জায়গাতে আপনি একটি দোকান দিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।
- আইসক্রিম ব্যবসা: এই ব্যবসাতেও আপনি অল্প টাকা বিনিয়োগ করে শুরু করতে পারবেন। কিন্তু এই ব্যবসা আপনি গরমের সময় করতে করতে পারবেন। কারণ গরমকালে আইসক্রিম এর চাহিদা থাকে সবসময়। শীতের সময় এই ব্যবসাটি চাহিদা নাই বললেই চলে। এখন আপনি হয়তো ভেবে দেখতে পারেন এই ব্যবসাটি আপনার জন্য করা সম্ভব হবে কি হবে না সেই ব্যাপারে।
- হোটেল ব্যবসা: হোটেলের ব্যবসাটি আপনি যেকোনো জায়গায় করতে পারবেন। তবে আপনি যেখানে এই ব্যবসাটি করতে চাচ্ছেন সেখানে অবশ্যই মানুষ জনের চাহিদা বেশি থাকতে হবে। তাহলে আপনি অধিক পরিমাণ লাভ করতে পারবেন হোটেল থেকে। হোটেলে ব্যবসা শুরু করা অবস্থাতে আপনার বেশি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে না। খুব অল্প পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে হোটেল এর ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
- ফুলের ব্যবসা: এই ব্যবসা করতে আপনার অল্প টাকা লাগবে। কিন্তু এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার একটা ভালো জায়গা লাগবে। ভালো জায়গা বলতে কি স্কুল কলেজের আশেপাশে। এই ব্যবসাটি বাজারের ভিতরে বসলে আপনি ভালো পরিমাণ লাভ করতে পারবেন না অথবা ভালো পরিমাণে বিক্রি করতেও পারবেন না। বিশেষ করে শহর অঞ্চলে ফুলের চাহিদা থাকে বেশি পরিমাণ।
- ঝালমুড়ি ব্যবসা: ঝালমুড়ি একটি মুখরুচি খাবার। যার জন্য এর চাহিদা সবসময় অনেক বেশি। স্কুল, কলেজের আশে পাশে যদি আপনি একটা দকান দিতে পারেন তাহলে প্রচুর পরিমান বেচাকেনা করতে পারবেন। এই ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনার ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার ভিতর শুরু করতে পারবেন।
অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা বীজ ও সারের দোকান
অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা বীজ ও সারের দোকান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। এটি এমন একটি ব্যবসা যে ব্যবসায় সারা বছর সচরাচর চাহিদা থাকেই। এই ব্যবসাটি সারা বছর চাহিদা থাকার মূল কারণ হচ্ছে কৃষকরা। কৃষকরা সারা বছর জমিতে আবাদ করে থাকে। যে আবাদ করে সেই আবাদের জন্য বীজ অথবা সার এই দুইটার প্রয়োজন হয়।
এটা ছাড়া তারা কখনোই পারবে না। চাহিদা বেশি থাকার কারণে বিভিন্ন সময় দোকানদাররা অতিরিক্ত দামে স্যার এবং বীজ বিক্রি করে থাকে। তবুও চাহিদা কমে না কারণ কৃষকরা সার এবং বীজ না কিনলে আবাদ করতে পারবে না। বাধ্য হয়ে দোকানদাররা যে দাম চায় সেই দামে কৃষকদের কিনে নিতে হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন এই ব্যবসাটি চাহিদা কত পরিমান।
আরো পড়ুনঃ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
এই ব্যবসা থেকে কি পরিমাণ লাভ করা যাবে। এই ব্যবসাটি অনেক বড় ব্যবসা। কিন্তু আপনি চাইলে প্রথম অবস্থায় যখন শুরু করবেন অল্প টাকা বিনিয়োগ করে শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসাটি আপনার গ্রামের ভিতরে যদি কোন বাজার থাকে সেই বাজারে দোকান দিয়ে শুরু করতে হবে। এই ব্যবসা শুরু করতে হলে অবশ্যই আপনার এই অভিজ্ঞতা থাকতে হবে যে। এই পণ্যগুলো কোন সময় কম দামে বিক্রি হয় বা পাইকারি হয়ে থাকে।
তখন আপনার বেশি করে কিনে নিতে হবে। পরবর্তীতে যখন দাম বেড়ে যাবে তখন আপনি বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন। তাহলে আপনার লাভ অধিক পরিমাণ হবে এই ব্যবসা থেকে। এবং আরো কি কি ব্যবসা অল্প টাকায় শুরু করতে পারবেন। যার চাহিদা রয়েছে অনেক এবং বেশি টাকা লাভ করতে পারবেন। সেই ব্যবসা সম্পর্কে জানতে হলে নিচে পড়তে থাকুন।
অল্প পুঁজিতে অনলাইনে আইডি বেচাকেনা
অল্প পুঁজিতে অনলাইনে আইডি বেচাকেনা করে টাকা আয় করবেন কিভাবে জেনে নিন। অনলাইনে বেচাকেনা ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই আপনার ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব চ্যানেলের দাম দর সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনি খুব সীমিত পরিমাণ টাকা ইনভেস্ট করে কিছু আইডি অথবা ইউটিউব চ্যানেল কিনবেন।
- পরবর্তীতে আবার সেইটা অন্যদের কাছে বেশি টাকা বিক্রি করে দিবেন। এই ব্যবসার জন্য আপনার ফেসবুক চালানোর অভিজ্ঞতাও থাকতে হবে। ফেসবুকে বিভিন্ন পাবলিক গ্রুপ রয়েছে ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজ বেচা কেনার জন্য। সেগুলো গ্রুপ আপনার খুঁজে নিতে হবে।
- কোনটা অরজিনাল গ্রুপ এবং কোনটা ফেক গ্রুপ সেটাও চেনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এসব বিস্তারিত জেনে যদি আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে এখান থেকে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন আপনি। আবারো বলে রাখি অভিজ্ঞতা ছাড়া এগুলো ব্যবসাতে গেলে লাভ না হয়ে উল্টো আপনার লস হয়ে যাবে।
- এইগুলো বিষয়ে যদি আপনার অভিজ্ঞতা না থাকে তাহলে ফেসবুকে অনেক পাবলিক গ্রুপ আছে সেগুলো গ্রুপের এডমিন কে এসএমএস করে তাদের কাছ থেকে শিখতে পারবেন। আশা করছি বুঝতে পারছেন এই ব্যবসা শুরু করতে হলে কোন কোন বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে সেই সম্পর্কে।
অল্প পুঁজিতে মুরগির ব্যবসা করে লাভমান
অল্প পুঁজিতে মুরগির ব্যবসা করে লাভমান হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ তাহলে আপনি কেনো বসে আছেন আপনিও শুরু করে দিন। আপনার হাতে যদি বিনিয়োগ করার কিছু টাকা থাকে তাহলে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করে দিন। আপনার গ্রামের দিকে অথবা হাটে বাজারে গিয়ে পাইকারি দামে মুরগি কিনবেন।
তারপর সেই মুরগি আপনি যদি খুরচা বিক্রি করতে যান অবশ্যই আপনি সেখান থেকে লাভ করতে পারবেন। তবে আপনার বিষয় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বাজারে কখন কোন নামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি সেইগুলো জেনে রাখতে হবে। তারপর আপনি পাইকারি দামে যেখানে কম দাম পাবেন এবং যাচাই বাছাই করে কম দামে কিনার চেষ্টা করবেন।
আরো পড়ুনঃ ইউটিউব চ্যানেলে ইনকাম বাড়ানোর ১০ টি সহজ উপাই
অথবা আপনি চাইলে মুরগির খামার দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। প্রথমে আপনি অল্প কিছু টাকা দিয়ে মুরগির বাচ্চা কিনবেন। আর মুরগির খাবার কিনে সে মুরগি লালন পালন করবেন। যখন আপনার খামারের মুরগিগুলো বড় হয়ে ডিম দেওয়া শুরু করবে সেদিন থেকে আবার আপনি বাচ্চা ফুটাবেন।
এভাবে আস্তে আস্তে আপনার খামারটি বড় করবে তাহলে আপনার ইনকাম বেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে আপনার পরিশ্রম করতে হবে ঠিকমতো খাবার দিতে হবে বাচ্চাগুলোকে। সময় মত যত্ন নিয়ে রাখতে হবে বাচ্চাগুলো নয়তো বেঁচে থাকতে পারবে না। এইভাবে যদি ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনি অনেক লাভমান হতে পারবেন এই ব্যবসা থেকে।
অল্প পুজিতে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কাপরের
অল্প পুজিতে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কাপরের। আপনি কি জানেন কাপরের ব্যবসাতে কি পরিমান লাভ করা যায় যদি না জেনে থাকেন তাহলে জেনে নিন। পাশাপাশি আপনার কাছে যদি অল্প পুঁজি থাকে তাহলে আপনিও শুরু করে দিতে পারবেন এই ব্যবসা। অল্প কিছু টাকা বিনিয়োগ করে কাপড় কিনে দোকানে এসে বিক্রি করলে সেই কাপড় থেকে আপনি দ্বিগুণ পরিমাণ লাভ করতে পারবেন। বাংলাদেশের মধ্য এটি সব থেকে লাভজনক ব্যবসা বলে দাবি করতে পারবে। এই ব্যবসাতে আপনার কখনো লস হবে না শুধু লাভ হবে।
আপনার গ্রামে যদি মানুষের চাহিদা বেশি থাকে। তাহলে আপনি আপনার গ্রামে দোকান দিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। প্রথম অবস্থাতে আপনি ১০ হাজার টাকার মতো বিনিয়োগ করলেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। পরবর্তীতে যখন বেশি পরিমাণ লাভ হবে তখন আপনি এই ব্যবসাটি আস্তে আস্তে বড় করে নিবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন কি পরিমাণ লাভ করা যায় এই ব্যবসা থেকে।
ই- কমার্স ব্যবসা শুরু করুন অল্প পুঁজিতে
ই- কমার্স ব্যবসা শুরু করুন অল্প পুঁজিতে। ই-কমার্স ব্যবসা বলতে নির্দিষ্ট কোন কোম্পানির পণ্য সেল করা অনলাইনের মাধ্যমে। আপনি এই ব্যবসা করে আপনি খুব সহজে লাভ করতে পারবেন। এবং আপনার সুবিধামতো এই ব্যবসাটি করতে পারবেন। ই-কমার্স ব্যবসা অর্থাৎ এই ব্যবসাটি আপনি আপনার হাতে থাকা ফোন দিয়ে বাসায় বসে থেকে করতে পারবেন। এই ব্যবসার নিয়ম হচ্ছে আপনি বড় বড় কোম্পানির পণ্য সেল করবেন।
যেমন অ্যামাজন, আলিবাবা, দারাজ, এইগুলো কোম্পানি থেকে পণ্য নিয়ে আপনি অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটে পোস্ট করে সেল করতে পারবেন। আপনি যদি এই ব্যবসা করেন অবশ্যই আপনার মার্কেটিংয়ে দক্ষতা থাকতে হবে। মার্কেটিং বলতে আপনি আপনার এই পণ্য কিভাবে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাবেন সেটা বোঝায়। আপনি যখন বেশি মানুষের কাছে এই পৌঁছে দিবেন।
আরো পড়ুনঃ ইতালি ভিসা আবেদন ফরম 2024 - ইতালি ভিসার আবেদন করার নিয়ম
তারা অবশ্যই আপনার পণ্য দেখার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনি অনলাইন থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্ডার পাবেন। এতে করে আপনার বেচাকিনা বেশি হবে। আপনি যখন বেচাকেনা বেশি করতে পারবেন তখন কোম্পানি থেকে আপনাকে কমিশন বেশি পরিমাণ দিবে। এই ব্যবসাটিতে আরেকটি উপায় রয়েছে বেশি টাকা আয় করার।
সেটা হচ্ছে আপনি যখন কোন কোম্পানির পুণ্য সেল করার জন্য তাদের কাছ থেকে অনুমোদন নিবেন। তখন তারা আপনাকে নির্দিষ্ট একটা দাম বলবে যে দামে বিক্রি করলে আপনি তাদের কাছ থেকে কমিশন পাবেন। আপনি চাইলে তাদের নির্দিষ্ট দাম থেকে বেশি দামে বিক্রি করে। তাদের পণ্যের যেই দাম সেটা তাদেরকে বুঝিয়ে দিয়ে বাকি টাকা লাভ করতে পারবেন।
এই ব্যবসা করলে আপনি আপনার বেতনের টাকা অনলাইনে নিতে পারবেন বিকাশের মাধ্যমে অথবা আপনার ব্যাংকের মাধ্যমে। কোন ঝামেলা ছাড়াই পেমেন্ট নিতে পারবেন তাদের কাছ থেকে। অনেক রকমের সুবিধা পাওয়া যায় এই ব্যবসা করলে। বলতে গেলে এই ব্যবসাটি বাংলাদেশের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসাটির ভিতরে রয়েছে।
অল্প পুঁজিতে ফলমূলের ব্যবসা করে আয়
অল্প পুঁজিতে ফলমূলের ব্যবসা করে আয় করবেন কিভাবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে থাকুন। এই ব্যবসাতে মূলত বেশি টাকা বিনিয়োগ করা লাগে না। যে কোন মানুষ এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। তবে এই ব্যবসাটি শুরু করতে হলে ভালো কোন জায়গা দেখে ব্যবসা শুরু করতে হবে। গ্রামের ভিতর তেমন বেচাকেনা হয় না এসব ফলের।
তাই যদি পারেন শহর অঞ্চলে বা ভালো কোন বাজারে যদি পারেন একটা দোকান দিবেন। সে দোকানে বিভিন্ন রকমের ফল বিক্রি করা শুরু করবেন। তবে প্রথম অবস্থাতে আপনি অল্প টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করে। সেখান থেকে যখন লাভবান হতে পারবেন তারপর আপনি আস্তে আস্তে দোকানকে বড় করে দিবেন।
আরো পড়ুনঃ এলার্জি দূর করার উপায় - এলার্জি কেনো হয় জেনে নিন
এই ব্যবসাতে আপনার লস নেই। তবে আপনি যে মালগুলো কিনবেন সেগুলো টিকিয়ে রাখতে হবে নষ্ট হয়ে গেলে লস হয়ে যাবে। এজন্য এই ব্যবসা শুরু করার পর উচিত তাদের কাস্টমার কতটা চাহিদা করে এই ফলমূলের উপর। তারপর সেই চিন্তা ভাবনা নিয়ে কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী ফলমূল দোকানে তুলতে হবে। তাহলে তেমন লস হওয়ার কোন পদ্ধতি নাই।
এমন আরো অল্প পুঁজিতে লাভজনক কিছু ব্যবসা নিচে দেওয়া হল
- মুদি দোকান: মুদি দোকান দিয়ে আপনি সারা বছর ব্যবসা করতে পারবেন। মুদি দোকান বলতে বিভিন্ন ধরনের ছোট বাচ্চাদের খাওয়ার জিনিস এবং রান্নাবান্নার কাজে যেসব খাবারগুলো ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেই সেইগুলো। এছাড়াও পান, বিড়ি, সিগারেট এর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক পরিমাণে।
- যেগুলো আপনি আপনার মুদি দোকানে বেচাকেনা করতে পারবেন। এই ব্যবসা করার জন্য আপনার কোন অভিজ্ঞতা লাগবে না অথবা আপনি গ্রামের ভিতরে এই ব্যবসা করতে পারবেন। আপনি যেখানেই করেন না কেন গ্রাম অথবা শহর সবখানেই চাহিদা রয়েছে ব্যাপক পরিমাণ। তাই এই ব্যবসা করে আপনি বেশি পরিমাণ লাভ করতে পারবেন।
- শাক সবজির ব্যবসা: শাকসবজির ব্যবসা আপনি দুই ভাবে করিতে পারবেন। এক নম্বর হচ্ছে আপনি শাকসবজি নিজে চাষ করি ব্যবসা করতে পারবেন। দুই নাম্বার হচ্ছে আপনি বাজার থেকে পাইকারি দামে শাকসবজি কিনে এনে বেশি দামে খুচরা বিক্রি করতে পারবেন। তবে নিজে করতে হলে অবশ্যই আপনার নিজের কিছু জমি থাকতে হবে। যেখানে আপনি শুধু বীজ কিনলেই সেই বীজ লাগিয়ে শাক সবজি চাষ করতে পারবেন।
- শাকসবজি চাষ করতে বেশি খরচ হয় না, ওষুধ তেমন একটা ব্যবহার করা লাগে না, তবে একটু পরিশ্রম করতে হবে, ঠিকমতো যদি পরিশ্রম করতে পারেন তাহলে সেই শাকসবজি থেকে আপনি ব্যাপক পরিমাণে ব্যবসা করতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে পাইকারি দামে কিনেও ব্যবসা করতে পারবেন বেশি পরিমান। যদি আপনি পাইকারি কিনে ব্যবসা করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে কিছু টাকা আপনার বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু এই বিষয়ে আপনার এক্সপার্ট থাকতে হবে।
- কখন কোন শাকসবজি কেমন দাম যাচ্ছে সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে সব জায়গাতে খবর নিয়ে। বিভিন্ন জায়গায় যাচাই-বাছাই করে যেখানে কম দামে কিনতে পারবেন সেখান থেকে কিনতে হবে। তাহলে আপনি সেটা খুচরা বিক্রি করে লাভ করতে পারবেন বেশি। আর যদি আপনি এগুলো না জেনে হঠাৎ করে কিনে এনে বিক্রি করতে লাগেন, তখন হয়তো আপনি এভাবে লাভ দিয়ে বিক্রি করতে না পারলে উল্টো লস খেয়ে যেতে পারেন।
- দর্জির ব্যবসা: দর্জির ব্যবসা আপনি করতে পারবেন অল্প টাকা বিনিয়োগ করে। ব্যবসা করতে হলে এই কাজের জন্য আপনার পারদর্শী থাকতে হবে অবশ্যই। অভিজ্ঞতা ছাড়া আপনি দর্জির ব্যবসা করতে পারবেন না। এই কাজের চাহিদা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। মানুষ সচরাচর পোশাক কিনেই থাকে। সেই পোশাকগুলো ফিট করার জন্য অথবা কোন সমস্যা থাকলে সেইগুলোর সমাধানের জন্য দর্জির কাছে যেতে হয়।
- তাহলে বুঝতেই পারছেন আপনি, একজন দর্জির কাছে কাজের চাহিদা কত পরিমান থাকে। আপনি যত ভালো কাজ করে দিতে পারবেন মানুষের চাইলে তত বেড়ে যাবে আপনার থেকে কাজ করে নেওয়ার। কিন্তু যদি আপনি কাজে এক্সপার্ট না হন তাহলে আপনার কাছে মানুষের চাহিদা খুব কম থাকবে। সে ক্ষেত্রে আপনি ব্যবসা করে তেমন একটা লাভ করতে পারবেন না।
- তরমুজ এর ব্যবসা: তরমুজের ব্যবসা আপনি সারা বছর করতে পারবেন না। বিশেষ করে শীতের সময় তরমুজের চাহিদা একেবারে কমে যায়। তাই যখন তরমুজের সিজন আসবে তখন আপনি পাইকারি নিয়েও ব্যবসা করতে পারবেন। অথবা আপনি তরমুজের আরত করতে পারবেন। কারণ তরমুজের সিজনের সময় তরমুজের দাম অনেকটাই কমে যায়, যেখানে আপনি অল্প টাকা বিনিয়োগ করে অনেক বড় একটা আরত করতে পারবেন।
- যেখান থেকে প্রচুর পরিমান লাভ করতে পারবেন আমার মতে। আবার আপনি তরমুজ অন্য পদ্ধতিতে বিক্রি করে ব্যবসা করতে পারবেন। আরতের পাশাপাশি আপনি খুচরা বিক্রি করবেন। খুচরা বিক্রি করতে হলে অবশ্যই আপনার এমন জায়গা দেখতে হবে যেখানে মানুষের চাহিদা বেশি রয়েছে। তাহলে আপনি খুচরা বিক্রি করে অনেক টাকা লাভ করতে পারবেন। কম টাকা বিনিয়োগ করে বেশি টাকা লাভ করার মতো একটি ব্যবসা হল তরমুজের ব্যবসা।
- শরবত এর ব্যবসা: শরবত সারা বছর চলে শুধুমাত্র শীত বাদে। শীতের সময় চাহিদা কমে যায়। নয়তো গরমের সময় প্রচুর পরিমাণে চাহিদা থাকে শরবতের উপর। মানুষ সচরাচর খেয়ে থাকি শরবত একটু গরম লাগলেই। এই ব্যবসাতে আমি শহর অঞ্চলেও করতে পারবেন আবার গ্রাম অঞ্চলের করতে পারবেন। গ্রাম অঞ্চলে চাহিদা বেশি থাকবে কোথায় যেখানে আপনি কৃষকদের দেখতে পাবেন সেখানে চাহিদা বেশি থাকবে।
- কারণ তারা কাজকর্ম করে করে ঘেমে যায় তখন তারা শরবতের উপর চাহিদা বেশি করে। শহরাঞ্চলে রিক্সাওয়ালা রিক্সা চালাইতে চালাইতে যখন ঘেমে যায় তখন তারা শরবত পান করে, যাতে করে তাদের শরীরকে ঠান্ডা করতে পারে। কারণ তারা গরমে রিক্সা চালাতে পারবে না সঠিক মত, এজন্য তাদের শরবত প্রতিনিয়ত খেতেই হবে।
- চায়ের দোকান: চায়ের ব্যবসার চাহিদা বিশেষ করে শহরাঞ্চলের থেকে গ্রাম অঞ্চলে বেশি হয় থাকে। গ্রাম বাংলার মানুষরা বিকেল হলেই চায়ের দোকানে ভির জমায়। আপনি যদি একজন গ্রামের মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে চায়ের দোকান দিতে পারেন। এই ব্যবসাটি খুব বেশি পরিমাণ বিনিয়োগ করা লাগে না। অল্প পরিমাণ বিনিয়োগ করি আপনি ব্যবসা থেকে লাভবান হতে পারবেন।
ফাস্ট ফুডের দোকান দিন অল্প পুঁজিতে
অল্প পুঁজিতে ফাস্ট ফুডের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করুন। বর্তমান সময়ে ফাস্ট ফুডের চাহিদা রয়েছে অনেক। কারণ মানুষ দিন দিন অলস হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে তারা বাসায় নিজেরা রান্না না করে ফাস্টফুড অর্ডার দিয়ে থাকেন। এবং ভালো খাবার খাওয়ার জন্য ফাস্টফুড এর চাহিদা অনেক বেশি। কারণ ফাস্টফুড প্রতিটা মানুষের জনপ্রিয় একটি খাবার। ফাস্ট ফুড খেতে কার না ভালো লাগে।
আপনি যে এরিয়ার ভিতরে ফার্স্ট ফুডের দোকান দিবেন সেই এরিয়ার ভিতর মানুষের চাহিদা কেমন সেটা লক্ষ্য করবেন। যদি অতিরিক্ত পরিমাণে মানুষের চাহিদা এবং ফাস্টফুড বিক্রি হওয়ার মতো সম্ভাবনা থাকে আপনার কাছে মনে হয়। তাহলে আপনি ব্যবসাটি করতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনার প্রথম অবস্থায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা হলেই হবে।
এই টাকা দিয়ে আপনি আপনার ব্যবসা করে অতিরিক্ত পরিমাণ লাভ করতে পারবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন ফাস্ট ফুড এর চাহিদা মানুষের কাছে কতটা আছে সেই সম্পর্কে। এবং এই ফাস্টফুডের দোকান দিয়ে আপনি কেমন ব্যবসা করতে পারবেন সেটাও জেনেছেন ইতিমধ্য।
আমাদের শেষ মন্তব্য
ইতিমধ্যেই আপনারা জেনেছেন অল্প পুঁজিতে লাভমান ব্যবসা সম্পর্কে এবং কোন কোন ব্যবসা আপনি অল্প পুঁজি নিয়ে শুরু করতে পারবেন। সে ব্যবসাগুলো থেকে আসলে আপনি কি পরিমান লাভ করতে পারবেন। সেই বিস্তারিত জেনেছেন। অন্যদিকে আপনি গ্রামের দিকে কোন ব্যবসা করলে লাভজকন করতে পারবেন এবং শহর অঞ্চলে কোন ব্যবসা করলে লাভবান হতে পারবেন।
এসব সকল বিস্তারিত আলোচনা এই আর্টিকেলে বলা হয়েছে যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জেনেছেন। আমার মতামতে আপনি যদি একজন শিক্ষিত বেকার হয়ে থাকেন। তাহলে চাকরি আশা ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা শুরু করে দিন। আপনার কাছে যদি ব্যবসা করার মতো বেশি টাকা না থাকে তাহলে শুরুতে আপনি অল্প টাকা দিয়ে যেকোন ব্যবসা শুরু করে দিন।
যাতে করে আপনি সেই ব্যবসা থেকে লাভবান হয়ে পরবর্তীতে আপনার উন্নত কোন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এজন্য আমি বলি ব্যবসা প্রতিটি মানুষের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি আয়ের পদ্ধতি। আজকের মত আমি এখানেই শেষ করছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি কোথাও ভুল বানান পান তাহলে সেটা আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, আল্লাহ হাফেজ।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url