অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খেতে হবে - রাতে কাশি কমানোর উপায়

অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খেতে হবে। আমাদের শরীরের ঠান্ড লাগলে বেশির ভাব সময় কাশি হয়। সেই কাশি কমানোর জন্য অনেক চিকিৎসা করতে হয়। চিকিৎসা না করে কিংবা কোনো ওষুধ না খেলে আপনি কাশি কমাবেন কিভাবে বিস্তারিত জানতে চাইলে আরটিকেলটি শুরু থেকে শেষ পযন্ত পড়তে থাকুন।

বর্তমান সময়ে মানুষ ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাশি ভালো করতে চায়। কারন চিকিৎসা করলে পরবর্তিতে অন্য অন্য রোগের লহ্মন দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন অতিরিক্ত কাশি হলে কি খেতে হবে সেই সম্পর্কে।

সূচিপত্রঃ অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খেতে হবে জেনে নিন

অতিরিক্ত কাশি হলে কি ওষুধ খেতে হবে

অতিরিক্ত কাশি হলে বিভিন্ন উপায়ে ভালো করে যায়। তবে ঘরোয়া উপায়ে যদি ভালো করতে চান আদা এবং চা খেতে পারেন। আদা চা তৈরি করার সময় পানি বেশি গরম করা যাবেনা। হালকা গরম করে চা তৈরি করবেন। এবং সেই চা আস্তে আস্তে খাবেন। 

আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের বমি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন

একবারে পানি খাওয়ার মতো সব খেলে কিন্তু উপকার পাবেন না। এছারাও যদি আপনার বাসায় চা না থাকলে আদা দিয়ে পানি গরম করে খাবেন। তাহলে কাশি ভালো হয়ে যাবে।

যাদের কাশি অনেক দিন ধরে আছে ভালো হচ্ছে না কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করে। তখন আপনি ডাক্তরের পরামর্শ নিবেন। যাতে করে খুব দ্রুত ভালে হয়ে যায়। বেশি সময় কাশি নিয়ে বসে থাকবেন না তাহলে শরীরে হ্মতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।

রাতে কাশি কমানোর উপায়

আপনার যদি রাতে ঘুমানের সময় কাশি হয়প থাকে তাহলে যে কাজগুলে করলে আপনার কাশি ভালো হবে তা হল।

  • রাতের খাবার ঘুমানোর ১ ঘন্টা আগে খেয়ে নিবেন। যাতে করে খাবার গুলো হজম হয়ে যায়। এরপর গরম পানি খেয়ে ঘুমাবেন। টানা কয়েকদিন এক গ্লাস করে গরম পানি খেলে আপনার কাশি ভালো হয়ে যাবে।

  • এছারাও কাশি হওয়ার লহ্মন দেখা দিলে ঠান্ড পানি খাওয়া বাদ দিয়ে দিবেন তখন থেকে। যেকোনো খাবার খাওয়ার পর গরম পানি খাবেন। এভল রাতে ঘুমানোর সময় গলাই গামছা বা কাপর দিয়ে পেঁচিয়ে রেখে ঘুমাবেন।

  • উপরের নিয়ম গুলো যদি আপনি ঠিক মতো মেনে চলেন তাহলে আশা করা যাবে আপনার রাতের কাশি খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।

কাশি কমানোর ঘরোয়া উপায়

হঠাত কে যদি আপনার কাশি হয় কিংবা কাশি হওয়ার লহ্মন দেখা দেয়। তখন আপনার কাছে কাি ভালো হওয়ার ওষুধ না থাকলে ঘরোয়া উপায়ে ভালো করতে পারবেন।

আপনার বাসায় যদি মধু থাকে তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণ মধু খাবেন। কারণ মধু কাশি ভালো হওয়ার জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার। এছাড়াও মধু পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। গরমকালে মধুর পরিমাণ বেশি হলেই শরীরে সমস্যা হয়। এজন্য যদি পানির সাথে মধু মিশিয়ে খান তাহলে আপনার ক্ষতিকর কোনো প্রভাব পড়বে না শরীরে। 

তুলসী পাতা খাবেন। তুলসী পাতা কাশি ভালো হওয়ার ঔষধ। তুলসী গাছটি বেশিরভাগ গ্রামে পাওয়া যায় শহর অঞ্চলে পাওয়া যায় না। আপনি যদি ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া উপায় ভালো করতে চান তাহলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে আপনি খুব সহজেই কাশি ভালো করতে পারবেন। 

শুকনো কাশি কিসের লহ্মন 

শুকনো কাশি মূলত অনেক কারণে হয়ে থাকে। যদি আপনার শরীরে এলার্জি থাকে এবং এলার্জির চিকিৎসা না করে আপনি যদি বসে থাকেন তাহলে পরবর্তীতে শুকনো কাশি হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। 

  • এছাড়া যদি আপনার ফুসফুসে ময়লা বা ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণে থাকতে না পারে শুকনো কাশি হতে পারে। এবং ড্রিপ বা হাঁপানির কারণে অনেক সময় শুকনো কাশি হয়। শুকনো কাশি হলে আপনাদের চিকিৎসা নিতে হবে আর নয় তো ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে ভালো করতে হবে। 

  • দীর্ঘদিন ধরে শুকনো কাশি হয়ে থাকলে এটি আস্তে আস্তে বেড়ে যেতে পারে। তাই উচিত শুকনো কাশি হওয়া মাত্রই চিকিৎসা নেওয়া প্রতিটি মানুষের জন্য। 

শুকনো কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় 

ডাক্তারের বড় মানুষের ছাড়াও আপনি বাড়িতে বসে থেকে শুকনো কাশি ভালো করতে পারবেন। এর জন্য বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। গরম পানির সাথে লবণ মিশিয়ে পান করতে হবে নিয়মিত কয়েকদিন।

আরো পড়ুনঃ পেট ব্যথা কিসের লক্ষণ - পেট ব্যথা ও পাতলা পায়খানা ভালো করার উপায়

লেবুর পানি খেতে হবে। লেবু পানি খাওয়ার জন্য পানি গরম করা যাবে না আবার অতিরিক্ত ঠান্ডাও হওয়া যাবে না পানি। হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে আপনি খেতে পারেন এছাড়াও ভাতের সাথে মিশিয়ে যদি আপনি লেবু খেতে পারেন তাহলে আপনার শুকনো কাশি খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। 

 গলা খুসখুস ও কাশি দূর করার উপায় 

আপনার গলা যদি সব সময় ফুসফুস করে এবং হালকা কাশিভাব হয়। এক্ষেত্রে আপনি ধুলাবালি কিংবা ময়লা আবর্জনা থেকে দূরে থাকবেন। 

  • গলা খুসখুস এবং কাশি হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ধূমপান করা। এবং বায়ু দূষণের হলে মূলত এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। আবার দেখা যায় ঠান্ডার সময় বেশিরভাগ মানুষের খুসখুশে কাশি হয়। 

  • ঠান্ডার সময় যদি দেখেন খুশির হয়েছে তাহলে ঠান্ডা পানি খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন। এমনকি গোসল করার সময়ও হালকা গরম পানি ব্যবহার করে গোসল করবেন। 

  • নিয়ন্ত্রণের বাহিরে তরল পদার্থ পান করলে গলা খুসখুস হতে পারে। যেমন ফলের রস, কোকাকোলা, কিংবা বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয় অতিরিক্ত পান করা থেকে দূরে থাকবেন। বিশেষ করে ঠান্ডার সময় খাওয়া মোটেও যাবে না। 

  • অনেক সময় দেখা যায় কাশি হলে মানুষ যা কফি বেশি বেশি খাওয়া শুরু করে। মোটেও তা করা যাবে না। অতিরিক্ত চা এবং কফি খেলে শরীরের পানি শূন্যতা দেখা দেওয়া সম্ভাবনা থাকে বেশিরভাগ। অতিরিক্ত চা এবং কফি খেলে আপনার কাশি ভালো না হয়ে সেটার বিপরীত অর্থাৎ খারাপ লক্ষণ দেখা দিতে পারে। 

শুকনো কাশি কোন রোগের লক্ষণ 

দীর্ঘদিন যাবত ধরে যদি আপনার শুকনো কাশি হয়ে থাকে। তাহলে নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আপনার। যার ফলে আপনার কাশি এবং সর্দি বেড়ে যাবে। তার পাশাপাশি বুক জ্বালাপোড়া করবে অনেক। বিশেষ করে রাতে বেশিরভাগ সময় বুক জ্বালা পোড়া শুরু করে। দিনে হয়তো আপনি বুঝতে পারবেন না। শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা হতে পারে। 

তাই আপনার উচিত শুকনো কাশি নিয়ে বেশি দিন ধরে অপেক্ষা করা যাবে না। কিংবা শুকনো কাশি হওয়ার লক্ষণ দেখা দিলে সঠিক ঠিক ঘরোয়া উপায়ে কাশি ভালো করার পদ্ধতি নিতে হবে। কাশি হওয়ার আগে আপনার গলা খুসখুস করবে। মাথা কট কট করবে। এমন ধরনের সমস্যা দেখা দেওয়া মাত্রই আপনি কাশি ভালো হওয়ার যে উপায় গুলো সেই উপায় গুলো অবলম্বন করবেন। তাহলে আপনার পরবর্তীতে কাশি বেড়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকবে না। 

কাশি হলে দম বন্ধ হয়ে আসে কেন 

এমন সমস্যা প্রায় সব মানুষেরই হয়ে থাকে। যখন অতিরিক্ত কাশি হয় কাশতে লাগলে দম বন্ধ হয়ে যায়। আপনার শরীরের পাশে থাকলে খাওয়া ঠিকমতো ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না যার কারণে কোন বস্তু বা খাবার গলার পিছনে বেধে যায়। 

যার কারণে আপনি যখন কাশতে লাগেন তখন আপনার দম বন্ধ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে আপনার শ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে, কিংবা আপনার মাথায় ঝাজ উঠে যেতে পারে। প্রতিটি মানুষের সাথে বেশিরভাগ সময় যে কাজটি হয়ে থাকে তা হলো খাদ্যনালীতে যদি কোন বস্তুু আটকে সেই সময় কাশি হলে শেষ বন্ধ হয়ে যায়। 

আমাদের শেষ মন্তব্য 

ইতিমধ্য আপনারা জেনেছেন কাশি ভালো করার উপায়। এবং অতিরিক্ত কাজ হলে ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করলে কিভাবে কাজ ভালো করা যাবে। এখানে আমার শেষ মন্তব্য হচ্ছে আপনি যদি হঠাৎ করে কাশিতে আক্রান্ত হয়ে যান। সে ক্ষেত্রে যত দ্রুত পারবেন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। 

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করার পর। গরম পানি ব্যবহার করে গোসল করবেন এবং গরম পানি খাবেন সবসময়। এবং আদা পানি খাওয়ার চেষ্টা করবেন বেশি বেশি। আর যাদের খুশখুশি সমস্যা অনেক দিন ধরে হয়ে আছে তারা হয়তো ভাবছেন যে এই সমস্যা কোন বড় ধরনের সমস্যা নাই। যার জন্য আপনাকে চিকিৎসা করছেন না।  

খুশখুসে কাশির জন্য যদি চিকিৎসা নাও করেন তাহলে গরম পানি ব্যবহার করবেন। পাশাপাশি তুলসী পাতার রস খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে খুব দ্রুত কাশি ভালো হয়ে যাবে। আজকের মত আমি এখানে শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :

comment url