লিভার নষ্টের লহ্মণ - ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়
লিভার নষ্টের লহ্মণ কিভাবে বুজবেন। আজকে আপনার সাথে আলোচনা করবো। লিভার নষ্টের লহ্মণ,ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়, এবং আপনার শরীরের লিভার ভালো রাখতে হলে কোন কোন নিয়ম মানতে হবে। কোন কোন খাবার খেতে হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত।
লিভার প্রতিটি মানুষের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। সেই লিভার ভালো আছে নাকি নষ্ট হতে যাচ্ছে সেটা কিভাবে বুজবেন। কারন লিভার অনেক মানুষের অনেক সমস্যার কারনে নষ্ট হয়ে থাকে। এজন্য আপনাদের আগে থেকে সাবধান হতে হবে যাতে করে আপনিও ওই সমস্যা না পরেন। তাহলে চলুন লিভার নষ্টের লহ্মণ সম্পর্কে জেনে নিন।
সূচিপত্রঃ লিভার নষ্টের লহ্মণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- লিভার নষ্টের লহ্মণ
- ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়
- লিভার ভালো রাখার উপায়
- লিভার সিরোসিস রোগী কত দিন বাঁচে
- লিভার ক্যান্সার লক্ষণ
- লিভার ভালো রাখতে নিয়মিত লেবু খাওয়া
- আমাদের শেষ মন্তব্য
লিভার নষ্টের লহ্মণ
লিভার নষ্টের লহ্মণ, লিভার যেটা প্রতিটি মানুষের শরীরে থাকে। লিভারের সমস্যা অনেক রকমের হয়ে থাকে। এমন কিছু সমস্যা আছে যা মানুষের মৃত্যু পযন্ত নিয়ে যায়। তাই আমাদের বেঁচে থাকলে হলে লিভারকে ভালো রাখতে হবে। আর যদি আপনার লিভারের হয়েই থাকে। তাহলে আপনার লিভার নষ্ট হতে আর কতদিন বা কেমন সময় লাগবে সেটা আপনি বুঝতে পারবেন। লিভার কেনো নষ্ট হয় লিভার নষ্টের লহ্মণ কি কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
আরো পড়ুন ঃ এলার্জি দূর করার উপায় - এলার্জি কেনো হয় জেনে নিন
লিভার নষ্টের লহ্মণ বরো ধরনের কোনো সমস্যা দিয়ে হয়না। ছোট খাটো সমস্যা দেখা দিবে। যেগুলো আপনার বুঝতে খুব সমস্যা হবে। যেমন পেট ফোলা, একজন সাধারন মানুষের গ্যাসের সমস্যার কারণেও পেট ফোলে যায়। আপনি হয়তো গ্যাসের সমস্যা ভেবে ওষুধ খাবেন এটা মোটেও করা যাবে না। তাহলে আরো অতিরিক্ত ক্ষতির প্রভাবে পড়বেন আপনি। তবে পেট ফোলার পাশাপাশি আরো কিছু দিক খেয়াল রাখতে হবে। পেটের চারদিকে ফুলে যাচ্ছে নাকি দেখবেন। এবং হাত পা ফুলে, হাত পায়ের গিট ফুলে যাচ্ছে কিনা সেদিকে খেলায় করবেন। যদি আপনি বুঝতে পারেন আপনার সবগুলোই ফুলে যাচ্ছে। তাহলে আপনার লিভার নষ্টের লক্ষণ দেখা দিচ্ছে।
লিভারের সমস্যা থাকলে আপনি কাজ করতে পারবেন না ঠিকমতো। দুর্বলতা অনুভব হবে। শরীরে পাবেন না ঠিকমত। মনোযোগ সহকারে কোন কিছু করতে পারবেন না। যেটাই করেন না কেন সেটার উপর বিরক্তি অনুভব হবে আপনার। কারণ লিভার ভালো থাকলে আপনি সবকিছুই করতে পারবেন। লিভার আপনাকে শক্তি প্রদান করে। আপনি যখন ক্লান্তি অনুভব করবেন লিভার তখন অন্য কোন রোগে যুক্ত করে নিবে। মানে লিভারের সমস্যা থাকা অবস্থাতে অন্য কোন সমস্যা হতে পারে আপনার। যার ফলে আপনার লিভার নষ্ট হওয়ার লক্ষণ বেশি।
লিভার যদি অতিরিক্ত বড় হয়ে যায় তাহলে হজম শক্তির সমস্যা দেখা দিবে আপনার। ঠিকমতো খাইতে পারবেন না। কোন কিছু খেললেও সেটা সঠিক নিয়মে হজম হতে পারবেনা। তবে একটা জিনিস পরীক্ষা করার জন্য আপনার দেখতে হবে তো করে কিছু খাবেন আগে। অল্প কিছু খাওয়ার পরও যদি দেখছেন আপনার হজমের সমস্যা হচ্ছে তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার লিভারের সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ আপনার লিভার নষ্ট হওয়ার দিকে প্রভাব ফেলছে।
ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়
ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। ফ্যাটি লিভার এই নামটি সবার কাছে খুব পরিচিত। কারন ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এখন প্রায় মানুষের হয়ে থাকে।আপনার যদি ফ্যাটি লিভার হয়ে থাকবে তাহলে নিয়মিত খাবার প্রদান করেন শরীরে। অস্বস্তিকর কোন খাবার খাওয়া যাবেনা। যেমন আপনার যদি চা খাওয়ার অভ্যাস থাকে অতিরিক্ত চা খাওয়া যাবে না। দুধ অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা। এগুলো খাওয়ার ফলে ফ্যাটি লিভার বেড়ে যেতে পারে।
ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তি হওয়ার জন্য আপনার ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। এবং অতিরিক্ত কোন কিছু খাওয়ার ফলে আপনি যদি মোটা হতে থাকেন তাহলে সেটা খাওয়া কমিয়ে দিন। আপনার ওজন কে নিয়ন্ত্রণে রাখেন। তারপর শাকসবজি খান। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাকসবজি ডাল ভাত রাখুন। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া বাদ দিয়ে দিন।
আরো পড়ুন ঃ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। আপনার যদি ডিম খাওয়ার অভ্যাস থাকে কমিয়ে দিন। ডিম খেলে আপনার শরীরে প্রোটিন বৃদ্ধি পাবে ফলে ফ্যাটি লিভার বেড়ে যেতে পারে। প্রোটিন যুক্ত খাবারে আরো কিছু রয়েছে। আলু, দই, চিনা বাদাম,মাংসের ফালি।এগুলো খাওয়ার থেকে সব সময় দূরে থাকবেন। তাহলে দেখবেন তিন থেকে চার মাসের ভিতর আপনি এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে শুরু করেছেন।
লিভার ভালো রাখার উপায়
লিভার ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো। এই পর্বটি মনযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। লিভার ভালো রাখতে চাইলে অবশ্যই আপনার এই নিয়ম গুলো মানতে হবে। সর্ব প্রথমে রয়েছে সময় মত খাওয়া। সকাল দুপুর এবং বিকেলের খাবার সঠিক সময় খেতে হবে। সকালের নাস্তায় হালকা করে খেতে হবে। চর্বিযুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন। চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে আপনার তাহলে আস্তে আস্তে কমিয়ে দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফলমূল জাতীয় খাবার খাবেন।
বিশেষ করে ভিটামিন সি খাবারগুলো নিয়মিত খাবেন যেমন আপেল,কমলা, কলা, সকালের নাস্তাই এই খাবারগুলো রাখবেন। পানি পান করার সময় খেয়াল রাখতে হবে আপনি কি বিশুদ্ধ পানি পান করছেন কিনা। অথবা আপনি চাইলে পানি গরম করে ফুটিয়ে নিয়ে খেতে পারে এটা আপনার উপকার বেশি হবে। বাইরের খাবার থেকে দূরে থাকবেন হোটেল বা কোনো রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে বিশুদ্ধ পানি সাথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
যাতে করে আপনার লিভারে কোন সমস্যা দেখা না দিতে পারে। আপনার ওজন অতিরিক্ত বেড়ে থাকে অথবা অতিরিক্ত কমে থাকে। তাহলে আপনি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন নিয়মিত খাবার খেয়ে। বাহিরের চা অথবা কফি খাওয়া থেকে দূরে থাকুন। চা ও কফি খেলে আপনার লিভারের সমস্যা অতি তাড়াতাড়ি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনি যদি লিভারকে ভালো রাখতে চান তাহলে রাতে খাবার পর ঘুমিয়ে পড়বেন না। ঘুমানোর কমপক্ষে এক ঘন্টা আগে খাবার খাবেন যাতে করে আপনার খাবারগুলো সঠিকমত হজম হতে পারে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। এতে করে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এবং আপনার লিভার কে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। বাজে খাবার থেকে দূরে থাকবেন যেমন ধূমপান করবেন না। বা কোন অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাবেন না। এগুলো খাবার বারণ করে যদি থাকতে পারেন অথবা যে খাবারগুলো খাওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই খাবারগুলো যদি আপনি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আপনার লিভার সুস্থ থাকবে।
লিভার সিরোসিস রোগী কত দিন বাঁচে
লিভার সিরোসিস রোগী কত দিন বাঁচে জেনে নিন। লিভার সিরোসিসের কারণ হচ্ছে মানুষের দেহের ভিতর যখন দূষিত কিছু প্রবেশ করে তখন তাদের শরীর ক্লান্তি হয়ে যায়। কারণ যখন দূষিত কিছু পদার্থ লিভারের কাছে পৌঁছায়। তখন লিভার পরিচালনা করার জন্য দূষিত পদার্থ গুলোই পরিচালনা করে থাকে। তখন তাদের শরীরে লিভার সিরোসিস নামে রোগ আক্রান্ত করে নাই।
আরো পড়ুন ঃ ৭ দিনে লম্বা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
এই রোগের চিকিৎসা করার জন্য যত ভালো ডাক্তার দেখান না কেন বেশিদিন বেঁচে থাকার সম্ভাবনা হয় না। লিভার সিরোসিস আক্রান্ত রোগী এক বছর খুব বেশি হলে বাঁচতে পারে। তবে সবার ক্ষেত্রে এমন নয়। লিভার সিরোসিস রোগীদের ৪৩ ভাগ এক বছর বাসার সম্ভাবনা থাকে। তাহলে বুঝতে পারছেন একজন লিভার কতদিন বেঁচে থাকা সম্ভব সেই সম্পর্কে।
লিভার ক্যান্সার লক্ষণ
লিভার ক্যান্সার লক্ষণ কখন দেখা দিতে পারে এবং কিভাবে কোন রুপে দেখা দিতে পারে সেই সম্পর্কে আলোচনা করব। লিভার ক্যান্সার দেখা দিলে তখন সেই মানুষ কোন কাজকর্ম করিতে পারিনা। এবং সে খুব সহজেই ক্লান্তি হয়ে পড়ে। আবার অনেক সময় জ্বর আসে। অতিরিক্ত জ্বর আসেনা হালকা করে জ্বর আসবে কিন্তু সেই জ্বরটা দীর্ঘ সময় ধরে থাকে আশা করছি বুঝতে পারছেন।
খাওয়া রুচি থাকে না। আপনি যতই ভালো খাবার খেতে লাগেন না কেন খেতে পারবেন না যদি আপনার লিভার ক্যান্সার লক্ষণ দেখা দেয়। অতিরিক্ত গ্যাস হয়ে থাকে। আপনি কোন কিছু খেতে লাগলে হজম হতে পারে না হজমের সমস্যা দেখা দেয়। আবার আপনি যেটাই খান না কেন তা বমি বমি ভাব হয়ে বের করে দেন খাবারগুলো। আপনার পেটের সমস্যা হবে সারাদিন পেট ফেঁপে করবে।
আরো পড়ুন ঃ ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম
এমনকি আপনার পেটে কামড় দিতে পারে। এর ফলে আপনি কোন কিছু খেতে পারবেন না আপনার শরীর আস্তে আস্তে ওজন কমে যাবে। এরকম সমস্যা দেখা দিলে লিভার ক্যান্সার লক্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনি যদি ইতিমধ্য জেনে থাকেন তাহলে এই লক্ষণ গুলো দেখা দেওয়া মাত্রই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। আর যারা জানেন না তারা এই পরবর্তী করার পর জানতে পারবেন যদি মনোযোগ সহকারে এই আর্টিকেলটি করে থাকেন।
লিভার ভালো রাখতে নিয়মিত লেবু খাওয়া
লিভার ভালো রাখতে নিয়মিত লেবু খাওয়া। আপনি কি জানেন লেবু খাওয়া ঘরের জন্য কতটা উপকারী যদি না জেনে থাকেন তাহলে জেনে নিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা করে চোখে নিবেন। তারপরে একটা লেবুর রস এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে নিবেন। ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে সেটা খেয়ে নেন। এবারে যদি ময়লা কোন কিছু থাকে সেটা পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে লেবুর রস।
প্রতিদিন আপনি সকাল এবং বিকেলে এবার করে লেবুর রস পানির সাথে মিশিয়ে খান। আপনার শরীরের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পাবেন লেবুর রস খাওয়ার ফলে। অনেক সময় পেটের সমস্যা থাকার কারণে ও লেবুর রস খেলে ভালো হয়ে যায়। তাহলে বুঝতেই পারছেন একটা মানুষের জন্য লেবু খাওয়া কতটা উপকারি।
আমাদের শেষ মন্তব্য
ইতিমধ্য আপনারা জেনেছেন লিভার নষ্টের লহ্মণ,ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়,লিভার ভালো রাখার উপায়,লিভার সিরোসিস রোগী কত দিন বাঁচে,লিভার ক্যান্সার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত। আমার মতামতে হচ্ছে যাদের লিভার সমস্যা হয়ে আছে তারা দ্রুত ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এবং আপনাদের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনুন। চর্বি জাতীয় কোন কিছু খাবার খাবেন না। অতিরিক্ত গরম কোন খাবার খাবেন না। লিভার ভালো রাখার জন্য পানি খাবার নিয়মিত ফলমূল খাবেন সকালে খালি পেটে।
তাহলে লিভার যে খাদ্য তালিকা পরিচালনা করে থাকে। সেই খাদ্য তালিকায় যদি ভালো খাবার থাকে তাহলে আপনার লিভার সঠিক মত পরিচালনা করতে পারবে এবং লিভার ভালো থাকতে পারবে। যাদের ঘরের সমস্যা নেই তারাও আগে থেকে সাবধান হয়ে যান। বাহিরের খাওয়া কমিয়ে দিন। যতটুকু পারবেন নিজে সংগ্রহ করে খাবেন। আশা করছি বুঝতে পারছেন আমার মন্তব্য। আজ এখানেই শেষ করছি এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url