কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ - কিডনি ড্যামেজ থেকে বাঁচতে কি করবেন
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ, কিডনি ড্যামেজ থেকে বাঁচতে কি করবেন, কিডনি ভালো রাখার
উপায় কি জেনে নিন বিস্তারিত। একটা মানুষের সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে হলে তার কিডনি
ভালো রাখতে হবে। কিডনি মানুষের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আজকের আর্টিকেলে
জানাবো আপনার শরীরের কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ কতদূর তা কিভাবে বুঝবেন সেই সম্পর্কে।
বেঁচে থাকতে হলে আপনার শরীরের কিডনি সমস্যা হয়েছে কিনা তা দেখতে হবে। হঠাৎ কোনো
সমস্যা হলে মারাত্মক আকার ধারন করে নিবে কিডনি। বর্তমান সময়ে প্রায় মানুষই
কিডনির সমস্যায় ভুগে। কিডনির সমস্যা হওয়ার আগেই জেনে নিন কিডনি ভালো আছে কিনা।
অথবা কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ হচ্ছে কিনা সেই সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই আলোচনা
শুরু থেকে শেষ পযন্ত পড়তে থাকুন।
সূচিপত্রঃ কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ
- কি খেলে কিডনি ড্যামেজ হওয়ার লক্ষণ বেশি থাকে
- কিডনি রোগ কেন হয়
- কিডনি ড্যামেজ থেকে বাঁচতে কি করবেন
- কিডনি কেন গুরুত্বপূর্ণ
- পানি খেলে কিডনি সুস্থ থাকে
- কিডনি রোগ কি ভাল হয়
- কিডনি রোগী কতদিন বাঁচে
- কিডনি রোগের সবচেয়ে বড় লক্ষণ কোনটি
- কিডনির ব্যথা কোথায় হয়
- কিডনি ভালো রাখার জন্য ব্যায়াম করা যাবে কি
- আমাদের শেষ মন্তব্য
কিডনি ড্যমেজের লক্ষণ
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ কিভাবে বুঝবেন। কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ
একটি অঙ্গ। দূষিত রক্ত নিয়ন্ত্রণে রেখে পরিষ্কার রক্ত সে কে নিয়ে যা আবার
শরীরের ভিতর প্রচলন করে দেয়। আবার শরীরের ভিতর কোন দূষিত পদার্থ থাকলে সেটা শরীরে
প্রচলন না করে অন্য কোন উপায়ে শরীর থেকে বের করে দিতে পারে। এতটা উপকারী
একটি অঙ্গ ভালো আছে কিনা তা জানবেন কিভাবে, কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ কতটুকু।
কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ দেখা দিলে কোন কোন সমস্যা হতে পারে সেই সম্পর্কে
জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ আমি মোটা হবো কিভাবে - মোটা হওয়ার উপায়
- প্রস্রাব : অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু মানুষের অতিরিক্ত পরিমাণে প্রস্রাব হয়। আবার কারো কারো প্রস্রাব হতে চাই না এই সমস্যাগুলো হয়ে থাকে। কিডনির সমস্যা দেখা দিলে ঘন ঘন প্রস্রাব হবে। আপনি যখনই দেখবেন আপনার ঘন ঘন প্রস্রাব হচ্ছে এবং সারাদিনে একবার হচ্ছে বা হচ্ছে না।তাহলে আপনার কিডনির সমস্যার লক্ষণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
- আবার আপনি রাতে ঘুমাতে গেলেন ঘুমের ভিতরেই আপনার প্রস্রাব এর চাপ দিয়েছে। এরকম সমস্যা আছে কিনা লহ্ম করবেন। কারন মানুষের সাধারনত ঘুমের ভিতর ১ বার প্রস্রাব হয়। এমন হলে সমস্যা হবেনা তবে রাগে ঘুমানো অবস্থায় যদি ৩-৪ বার প্রস্রাব হয় তাহলে আপনার কিডনির সমস্যা হওয়ার লহ্মণ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর জন্য আপনি সরাসরি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
- ক্লান্তি : আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যায় কোন কিছু কাজ করতে গেলে সঠিক মত করতে পারেন না। আবার সামান্য হাঁটাহাঁটি করতে লাগলেও আপনি ক্লান্তি হয়ে যান। এই ধরনের সমস্যাগুলো যদি হয়ে থাকে। তাহলে আপনার কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ দেখা দিতে পারে সঠিক নিয়মে চিকিৎসা নিতে হবে।
- হাত পা ফোলাফোলা ভাব: অসুস্থতার কারণেও অনেক সময় মানুষের হাত-পা ফুলে যাই। কিন্তু আপনার লক্ষ্য করতে হবে এই সমস্যাটা দীর্ঘদিন ধরে আছে কিনা। যদি আপনি বুঝতে পারেন দুই থেকে তিন দিন পরেই ঠিক হয়ে গেছে তাহলে কোন সমস্যা হবে না। আর যদি দেখেন দীর্ঘদিন যাবত হাত-পা ফোলা ফোলা ভাব হয়ে থাকে। তাহলে বুঝে নিতে হবে আপনার কিডনি সমস্যার লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
- তলপেটে ব্যথা : এই সমস্যা টা মূলত গ্যাসের কারনেও হয়ে থাকে আবার মেয়েদের হ্মেএে দেখা যায় পিরিয়ডের সময় ও এমন হয়। সাধারনত তলপেটে হয়ে থাকলে কিছুহ্মন পর ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু যখন দেখবেন টানা ১৫ দিন বা ১ মাস ধরে একই সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। তাহলে আপনার বুঝে নিতে হবে কিডনির সমস্যা দেখা দেওয়ার লহ্মন এটা।
- বমি বমি ভাব: আপনার যদি কিডনির সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে আপনি ঠিক মতো কিছু খেতে পারবেন না। আপনি খাবার না পারা সওে যদি জোর করে খেতে যান তাহলে যা খাবেন সেটাই বমি হয়ে বের হয়ে যাবে। আশা করছি বুঝতে পারছেন কোন কোন সমস্যা দেখার দিতে পারে কিডনি ড্যামেজ হলে।
- রক্ত উৎপাদন: একটা সাধারন মানুষ রক্ত বৃদ্ধি করার জন্য যেই খাদ্য খেয়ে থাকে। তাদের রক্ত উৎপাদন সঠিক ভাবে করতে পারে। কিন্তু যখন একটা মানুষের কিডনির সমস্যা দেখা দিবে তখন সে যতই ভালো খাবার গ্রহণ করুক না কেনো রক্ত উৎপাদন করতে হরমোন এর সমস্যা দেখা দিবে। রক্ত সঠিক নিয়ন্ত্রণে চলাচল করতে পারবে না।
- অতিরিক্ত তৃষ্ণা : একটা সুস্থ মানুষের জন্য প্রতিদিন ৮ গ্লাস পানি খাওয়া উচিত। কিন্তু আপনি যখন দেখবেন ৮ গ্লাস পানি খাওয়ার পর ও সব সময় তৃষ্ণা লেগেই থাকছে এই রকম সমস্যা হওয়া ভালো না। আপনি কোনো কাজ করছেন না বাহিরে যাচ্ছেন না তবু যদি সারাদিন আপনাক তৃষ্ণা লেগে থাকে তাহলে সেটা কিডনির সমস্যার লহ্মন। এই সমস্যা গুলো নিয়ে বসে থাকা উচিত না দ্রুত চিকিৎসা নেওয়ার প্রয়োজন।
- ঘুম কম: যখন দেখবেন আপনি নিয়মিত ঘুম আসতে পারছেন না। ঘুম আসতে গেলেই কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে আবার উঠে যাচ্ছেন। অথবা সারাদিন কাজ কর্ম করে রাতে একটু ঘুমাতে গেলে তবুও ঘুম হয় না। এবং আপনার কোন টেনশন বা ডিপ্রেশনের কাজ নাই অথচ আপনি অযথা টেনশন এবং ডিপ্রেশনে ভুগছেন। এ ধরনের সমস্যা যদি হয়ে থাকে আপনার তাহলে কিডনি ড্যামেজ হওয়ার লক্ষণ বেশি আছে।
কি খেলে কিডনি ড্যামেজ হওয়ার লক্ষণ বেশি থাকে
কি খেলে কিডনি ড্যামেজ হওয়ার লক্ষণ বেশি থাকে। একজন মানুষ হিসেবে এই
সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত কিডনির যদি সমস্যা নাও থাকে তবে আগে থেকে সাবধান
হওয়ার জন্য কোন কোন খাবার খাওয়া যাবে না এবং কি খেলে কিডনি ড্যামেজ
হওয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে সেই সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত পেটের গ্যাস কমানোর উপায়
কোল ড্রিংকস অথবা কোমল পানীয় এসব খাবারে কিডনির সমস্যা হতে পারে। তবে
খাওয়া যাবে হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য। অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না।
আপনার প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ মিলি পর্যন্ত খেতে পারবেন। যদিও প্রতিদিন
খাওয়া ঠিক নয় তবে আপনার শরীর যদি সুস্থ থাকতে পারে তাহলে আপনার কিডনিতে
কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারবেনা।
- লবন: লবণ কম হলে আমরা সেই তরকারি দিয়ে ভাত খাইতে পারিনা এতে করে পরবর্তীতে আমরা আবার লবণ দিয়ে ভাত খাই। এটা মোটেও ঠিক না কাচা লবন খাওয়া যাবে না। যদিও লবণ ভেজে খেতে হবে কিন্তু লবণের পরিমাণ বেশি খাওয়া যাবে না। লবণে অতিরিক্ত পরিমাণ সোডিয়াম থাকে যা আপনার কিডনির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
- কলা: কলার পরিমান বেশি খাওয়া যাবেনা। বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ মানুষই এখন বাজারে বা বাহিরে কোথাও গেলে পাকা কলা খেয়ে থাকে। এটা মোটেও ঠিক না। এতে করে শরীরের কিডনির উপর ক্ষতিকর চাপ পড়তে পারে। তবে আপনি প্রতিদিন একটা করে কলা খেতে পারবেন। কলা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকার। কিন্তু অতিরিক্ত খেলে কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ দেখা দিবে।
- চিনি: চিনি একটি সোডিয়াম যুক্ত খাবার। মিষ্টি খাবার আমরা অনেকেই পছন্দ করে থাকি। তবে চিনি দিয়ে তৈরি করা খাবার নিয়মিত খেতে পারবেন। বিশেষ করে কাচা চিনি খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন। কারণ অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে যে সমস্যাগুলো হবে সে সমস্যাগুলোর কথা বলে শেষ করা যাবে না। এজন্য প্রতিটি মানুষেরই উচিত অতিরিক্ত চিনি খাওয়া থেকে দূরে থাকা।
- ফাস্টফুড: আমাদের মুখের রুচির জন্য অথবা খাবার অনেক স্বাদের কারণে খেয়ে থাকি। ফাস্টফুড শরীরের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা করতে পারে। অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়ার ফলে আপনি রাতে রাতে মোটা হয়ে যাবেন। কিন্তু আপনার কিডনিতে যদি একবার ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এতে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে পারেন।
- দুগ্ধজাত: এই খাবার গুলোতে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকে। আপনার শরীরের জন্য যতটুকু প্রোটিন প্রয়োজন সেটুকু নিয়ন্ত্রণে রেখে খেতে পারবেন। তবে দুগ্ধজাত খাবারে বেশি পরিমাণ প্রোটিন থাকে। কিডনি ভালো রাখার যদি চেষ্টা করেন তাহলে এই খাবারগুলো থেকে এড়িয়ে চলাই ভালো আমার মতে। এখন আপনাদের যদি শরীরে কন্ট্রোল করতে পারে তাহলে অল্প করে খেতে পারেন।
- কামরাঙ্গা : মানুষের জন্য এই খাবারটি অনেক বিপদজনক একটি খাবার। কিডনি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন কামরাঙ্গায় অতিরিক্ত নিউরো টক্সিন এবং অক্সলেট থাকার কারণে কিডনির উপর প্রচুর পরিমাণ ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাছাড়াও একজন সুস্থ মানুষ যদি নিয়ন্ত্রণের বাহিরে যদি কামরাঙ্গা খেতে থাকে তাহলে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কামরাঙ্গা খাওয়া থেকে সব মানুষেরই দূরে থাকা উচিত। প্রিয় দর্শক তাহলে বুঝতেই পারছেন কামরাঙ্গা মানুষের জন্য কতটা ভয়ংকর খাবার।
কিডনি রোগ কেন হয়
ইতিমধ্য আপনারা জেনেছেন কি খেলে কিডনি ড্যামেজ এর লক্ষণ বেশি হয়। এখন
জেনে নিন কিডনি রোগ কেন হয়। আপনি হয়তো অনেকেই জানেন কিডনি আমাদের
শরীরের উপকারী পদার্থ এবং দূষিত পদার্থ আলাদা করে তারপর আপনার শরীরের
যেটা প্রয়োজন হয় সেটা প্রদান করে আপনার শরীরকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। আপনি
যখন অতিরিক্ত দূষিত কোন খাবার খাবেন যেটা কিডনি নিজেও সহ্য করতে পারবে
না।
যার ফলে কিডনি নিজেই বলে দিবে আমি আর এসব কন্ট্রোল করতে পারবো না। এখন
আমার জন্য এমন কিছু প্রদান করেন যাতে আমি আপনার খাদ্য অথবা রক্ত প্রচলনের
কাজ করতে পারি। তখন আপনারা ডাক্তারি পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করেন অতঃপর
কিডনি আস্তে আস্তে সুস্থ হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন কিডনি রোগ কিভাবে এবং
কেন হয়ে থাকে।
কিডনি ড্যামেজ থেকে বাঁচতে কি করবেন
কিডনি ড্যামেজ থেকে বাঁচতে কি করবেন। ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন কোন কোন
খাবার কিডনির জন্য ক্ষতিকর। এবং কিডনি ড্যামেজ থেকে রক্ষা করতে কোন কোন
খাবারে এড়িয়ে চলা। এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব কোন খাবার আপনার কিডনি
কে সুরক্ষা রাখতে পারবে। সে সম্পর্কে তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু
করা যাক। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন আপনারা।
আরো পড়ুনঃ লিভার নষ্টের লহ্মণ - ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়
- কমলা লেবু: এটি একটি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার। লেবু আপনার কিডনিকে সঠিক নিয়ন্ত্রণে রেখে সুরক্ষা দিবে। কমলালেবু আপনার শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পারবে যদি আপনি নিয়মিত খেতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পানির সাথে মিশিয়ে লেবুর রস খেতে হবে। প্রতিদিন সকালে খেতে হবে তাহলে আপনার কিডনি সুরক্ষা থাকবে।
- ডিম: ডিম একটি প্রোটিন জাতীয় খাবার ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। আপনারা হয়তোবা ভাবতে পারেন উপরের অংশে বলা হয়েছে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না যাবে তবে নিয়মিত খেতে হবে। ডিম কেন খেতে বললাম কারণ। ডিমের যতটুকু পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে তা আপনার শরীরের ক্ষতি না করে উপকার করতে পারবে।
- শাক-সবজি : বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খেতে পারবেন না আপনি। বিশেষ করে সবুজ শাকসবজি যেমন বাঁধাকপি খেতে পারবেন। বাঁধাকপি একটি নিত্য দিনের খাবার। যা আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। সবুজ শাক,পালং শাক খেতে পারেন। প্রতিদিন নিয়মিত এগুলো খেতে পারলে আপনার কিডনি ভালো থাকবে।
- মাছ: ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের মাছ খেতে পারেন। মাছ খেলে আপনার শরীরের কোন অংশ ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নাই। পাশাপাশি আপনার কিডনিকে সুরক্ষা রাখবে মাছ খেলে। বিশেষ করে ছোট আকারে যেসব মাছ পাওয়া যায় সেগুলো পাবেন। ছোট মাছে পুষ্টি বেশি থাকে। নিয়মিত মাছ খাওয়ার ফলে আমি আপনার শরীরে ক্যালসিয়াম ফসফরাস এবং আয়রনের অভাব পূরণ করতে পারবে।
- রসুন: আপনার যদি কিডনির কোন সমস্যার লক্ষণ দেখা দেয় অথবা এমনিতে কোন সমস্যা হয়ে থাকলে। প্রতিদিন নিয়মিত রসুন খাইলে কিডনির সমস্যা দূর করে দিতে সাহায্য করবে। রসুন প্রতিটি মানুষের জন্য উপকারী একটি খাবার। এজন্য প্রতিটি মানুষেরই উচিত প্রতিদিন সকালে রসুন খাওয়া। তবে রান্না করে খাওয়া যাবেনা রসুন। রান্না করে খাওয়ার থেকে কাঁচা রসুন খেলে অনেক উপকার হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে রসুন খেতে হবে।তাহলে আপনার কিডনি কে সুরক্ষা রাখতে পারবে।
- আপেল:ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি জাতীয় খাবার আপেল। আপেলে আছে প্রচুর পরিমাণ ম্যালিকা অ্যাসিড। এবং আপেলে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং আপনার কিডনি সুরক্ষা রাখবে। জন্য প্রতিটি মানুষের উচিত প্রতিদিন একটি করে হলেও আপেল খাওয়া।
- আদা: সকলে চা এর সাথে মিশিয়ে আদা খেয়ে থাকি। শরীরের উপকার হবে বলে আসলে মোটেও না। চা এর সাথে মিশিয়ে আধা খেলে কোন উপকার হবে না। আদা খেতে হবে গরম পানির সাথে মিশিয়ে। প্রতিদিন সকালে হালকা করে নাস্তা খাওয়া পর পানির সাথে মিশিয়ে আদা খেতে পারেন এতে করে আপনার কিডনিতে সমস্যা থাকলে দূর করবে। পাশাপাশি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে আদা।
কিডনি কেন গুরুত্বপূর্ণ
কিডনি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ আপনারা জানেন যদি না জেনে থাকেন তাহলে জেনে
নিন। কিডনি আমাদের দেহের বিশেষ কার্যকরী একটি অঙ্গ। কিডনির জন্য আমরা
বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ থেকে রক্ষা পায়। এখন আপনি ভাবতেই পারেন কিডনির
জন্য কিভাবে রোগ প্রতিরোধ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিন কিডনি
আমাদের শরীরে কি কাজ করে। খাবার খাওয়ার সময় আপনি হঠাৎ করে কোন ময়লা
থাকা কিছু খেয়ে ফেললেন।
সেটা যদি আপনার পেটে যাওয়ার পরে আপনার অঙ্গের ভিতরে যাই তাহলে আপনি বড়
কোন মারাত্মক ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারেন। এজন্য কিডনি আমাদের সে
ময়লা পদার্থগুলো ছেঁকে পরিষ্কার পদার্থগুলো আমাদের দেহের ভিতরে পরিচালনা
করে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় আপনার রক্ত দূষিত হয়ে গেছে কোন কারনে।
ফলে আপনি কি করছেন নতুন করে রক্ত বৃদ্ধি করার জন্য ফলমূল খাদ্য তালিকায়
ভালো খাবার রাখছেন।
শুধু কি খেলেই আপনার রক্ত পরিষ্কার হয়ে যাবে মোটেও না। আপনি যখন রক্ত
বৃদ্ধির জন্য নতুন খাবার খাবেন এবং আপনার শরীরে যখন নতুন রক্ত গ্রহণ
করবে। পরবর্তীতে যে দূষিত রক্ত আপনার শরীরে ছিল সেটা কিডনি নিজে ভাগ করে
নিবে। এক সাইটে। রাখবে পরিষ্কার রক্ত এবং অন্য সাইটে রাখবে দূষিত রক্ত।
তারপর আপনার শরীরের জন্য কোন রক্তটা প্রয়োজন অবশ্যই পরিষ্কার রক্ত। তখন
কিডনি কি করবে জানেন পরিষ্কার রক্ত গুলো আলাদা করে আপনার প্রতিটি অঙ্গে
প্রবেশ করাবে। এবং দূষিত যে রক্তগুলো থাকবে সেগুলো প্রস্রাব এর মাধ্যমে
বাহির করে দিবে। আশা করছি বুঝতে পারছেন আমাদের শরীরের জন্য কিডনি কেন
এতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই সম্পর্কে।
পানি খেলে কিডনি সুস্থ থাকে
পানি খেলে কিডনি সুস্থ থাকে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। পানির অপর নাম
জীবন। এই কথা দ্বারা আপনারা বুঝতে পারছেন যে পানি আমাদের শরীরের জন্য
কতটা প্রয়োজন হতে পারে। অতিরিক্ত পানি খাওয়ার ফলে আপনার কিডনি ভিজিয়ে
থাকবে এতে করে কিডনির ক্ষতি হওয়ার কোন সুযোগ নাই। যদি পানি কম খান তাহলে
আপনার খাদ্য প্রচলন করার জন্য কিডনি সারাদিন কাজ করতে থাকবে।
সারাদিন কিডনি কাজ করার পরও যদি পানি না পাই তাহলে সে আস্তে আস্তে ক্ষতি
হওয়ার পর্যায়ে চলে যায়। এজন্য প্রত্যেকটি মানুষের উচিত কিডনিকে ভালো
রাখতে হলে বেশি বেশি পানি পান করুন। পানিতে কোন ধরনের ক্ষতিকর উপকরণ থাকে
না। পানি সব সময় শরীরের উপকারিতার কাজ করে থাকে।
কিডনি রোগ কি ভাল হয়
কিডনি রোগ কি ভাল হয় অনেকে জানেন না এই বিষয়ে। আসুন এবার জেনে নিন
কিডনি রোগ হলে সেই রোগ ভালো করা কি সম্ভব হবে নাকি হবে না সে সম্পর্কে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন কিডনি রোগ সহজে ভালো হতে চাই না। অনেক মানুষ দেখা যায়
কিডনি রোগের সমস্যায় ভুগে আসে সে রোগ ভালো করার জন্য বাহিরের দেশে অথবা
ভালো চিকিৎসা করার জন্য অনেক টাকা খরচ করে থাকি। আসলে পৃথিবীতে কিডনি
রোগীদের মৃত্যুর হার বেড়েছে অধিক পরিমাণ।
আরো পড়ুনঃ নিম পাতার উপকারিতা এলার্জি - ব্রুন দূর করতে নিম পাতা ব্যবহার
আপনি যদি কিডনি রোগের চিকিৎসা করেন। টানা এক বছর ভালো কোন হাসপাতালে থেকে
চিকিৎসা করলেন। পরের বছরে গিয়ে দেখা যায় তার কিডনি রোগের সমস্যা
দ্বিগুণ বেড়ে গেছে বেশিরভাগ মানুষই এখন এই নিয়ন্ত্রণে আছেন। যারা
চিকিৎসা করলে ভালো না হয়ে উল্টো আরো বেশি হয়ে যাচ্ছে কিডনি রোগের
সমস্যা। এজন্য যাদের কিডনি ভালো আছে তার আগে থেকেই সাবধান হন যাতে করে
পরবর্তীতে আপনাদেরও ওই সমস্যায় না ভুগতে হয়।
কিডনি রোগী কতদিন বাঁচে
অনেকেরই হয়তো জানার ইচ্ছে থাকে যে একটা কিডনি রোগী কতদিন বাঁচে। যদিও
বেঁচে থাকা বা মৃত্যু হওয়া এসব আল্লাহর হাতে। বর্তমানে বিশেষজ্ঞদের
ভাবনায় বলা যায়। একটা কিডনি রোগী ডায়ালাইসিসে কমপক্ষে তার জীবনকাল
পাঁচ থেকে দশ বছর হয়ে থাকে। একজন কিডনি রোগী যদি তার ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি
না করতে পারে তাহলে ৫ থেকে দশ বছর বেঁচে থাকা তার জন্য অনেক কঠিন হয়ে
যাবে।
আরো পড়ুনঃ৭ দিনে চিকন হওয়ার উপায়
অন্যদিকে দেখা যায় কিডনি সমস্যায় ভুগা একটা রোগী ডায়ালাইসিসে পাঁচ
থেকে ১০ বছর বেঁচে থাকবে জানার পরও। সে তার চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যকর
নিয়ন্ত্রণ রেখে যাচ্ছে। তারপরে কিছু কিছু মানুষ কিভাবে চেষ্টা করার জন্য
২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারতেছে। আশা করছি বুঝতে পারছেন একটা
রোগী কতদিন বাঁচে এবং কোন কোন কার্যক্রমের কারণে অতিরিক্ত বেঁচে থাকার
ভরসা রাখছে সেই সম্পর্কে।
কিডনি রোগের সবচেয়ে বড় লক্ষণ কোনটি
কিডনি রোগের সবচেয়ে বড় লক্ষণ কোনটি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানান এই
পর্বতে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ যখন হঠাৎ করে তার প্রস্রাব এর
দুর্গন্ধ হয়। প্রস্রাব পড়ার সময় অনেক জ্বালাপোড়া করে, আবার তার হাত
পা চোখ মুখ ফোলে যায়। তার তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা। এইগুলো সমস্যা যখন
দীর্ঘ সময় ধরে থাকে। তখন একটা মানুষ কিডনি রোগের সমস্যায় ভুগতে
পারে।অনেক চিকিৎসা করার পরও যখন দেখছে রোগ ভালো হচ্ছে না তখন তাকে
দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ বলা হয়ে থাকে।
কারণ যে যত ভালো চিকিৎসাই করুক না কেন এবং যত ভালো খাবার গ্রহণ করুক না
কেন কোন কিছুই কিডনি রোগ ভালো হতে সাহায্য করবে না। তাহলে বুঝতেই পারছেন
একটা মানুষের কোন সমস্যা দেখা দিলে সবচেয়ে বড় সমস্যার লক্ষণ দেখা দিতে
পারে কিডনিতে।কিডনির ব্যথা কোথায় হয়কিডনির ব্যথা কোথায় হয় সেই
সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। একটা মানুষের যখন কিডনির রোগ হয়ে থাকে তখন
অনেক রকমের ব্যথা আমি সহ্য করতে হয় তার।
বিশেষ করে মেরুদন্ড থেকে একটু নিচে ডান পাশে এবং বাম পাশে ব্যথা হয়ে
থাকে। আবার এই ব্যথা কিছুক্ষণ পর অন্য জায়গায় চলে যায় যেমন কোমরের
নিচেও এই ব্যথা হতে পারে।কিডনিজনিত ব্যথা অনেক কষ্টকর যেটা মানুষের সহ্য
করা আর মৃত্যু স্বাদ গ্রহণ করা একই কথা। যে মানুষটা কিডনির রোগ হয়েছে
এবং সে রোগের জন্য যে ব্যথা সহ্য করতেছে সেই ব্যথা সব সময় হয়ে থাকে।
যেমন ধরেন সারাদিন তো হবেই বটে ঘুমানোর সময় একটু নড়াচাড়া করলেও তার
ব্যথা অতিরিক্ত বেড়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম
উঠতে বসতে হাটাহাটি করতে প্রতিটা অঙ্গে তার ব্যথা সহ্য করতে হয়। যা একটা
মানুষের জন্য এতটা কষ্টকর হয়ে থাকে যেই কষ্টের কথা কাউকে বলে শেষ করার
মতো নয়। তাহলে আপনারা হয়তো বুঝতে পারছেন কিডনির ব্যথা কোথায় হয়ে
থাকে। এবং কিডনির ব্যথা কতটা কষ্টকর সেটাও ইতিমধ্য জেনে গেছেন।
কিডনি ভালো রাখার জন্য ব্যায়াম করা যাবে কি
কিডনি ভালো রাখার জন্য ব্যায়াম করা যাবে কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত
জানুন। কিডনি ভালো রাখার জন্য ব্যায়াম করা যাবে তবে কিছু কিছু ব্যায়াম
আছে যেগুলা করলে আপনার কিডনি ক্ষতি হতে পারে। যেমন ধরেন অতিরিক্ত
দৌড়াদৌড়ি, অথবা অতিরিক্ত সাইকেল চালানো এগুলো কাজে রকম থেকে দূরে থাকতে
হবে। কারণ আপনার কিডনি রক্ত সঞ্চালন করা কমিয়ে দেয়। তবে শরীরকে সুস্থ
রাখতে এবং কিডনি সুরক্ষা রাখার জন্য যেগুলো আপনি করতে পারেন তাহলে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হাটাহাটি করতে পারেন এতে কিডনির কোন সমস্যা
হবে না। বিশেষ করে একটা মানুষ যদি তার শরীর ভালো রাখতে চাই প্রতিদিন তার
সকালে হাটাহাটি করা উচিত। তাহলে বুঝতেই পারছেন কিডনি ভালো রাখতে হলে কোন
ব্যায়াম করতে হবে। এবং আপনার কিডনির ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে কোন কোন
ব্যায়াম সেটি জানতে পেরেছেন।
আমাদের শেষ মন্তব্য
ইতিমধ্য আপনারা জেনেছেন কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ,কিডনি ড্যামেজ থেকে বাঁচতে
কি করবেন,কিডনি রোগ কেনো হয়,কিডনি কেন গুরুত্বপূর্ণ,পানি খেলে কিডনি
সুস্থ থাকে,কিডনি রোগ কি ভাল হয়,কিডনি রোগী কতদিন বাঁচে,কিডনি রোগের
সবচেয়ে বড় লক্ষণ কোনটি এবং কিডনির ব্যথা কোথায় হয় সে সম্পর্কে
বিস্তারিত। এখানে আমার মতামত হচ্ছে যাদের কিডনির সমস্যা আসে তারা
প্রতিদিন সকালে লেবুর রস খাবেন।
আর আজকের আর্টিকেলে গেলে যেগুলো খাবারের আলোচনা করা হয়েছে সেগুলোর ভিতর
থেকে আপনি যতটুকু পারেন চেষ্টা করবেন খাওয়ার। কিডনিকে ভালো রাখার জন্য
দূষিত খাবার থেকে সব সময় দূরে থাকবেন এবং কোন ময়লা আবর্জনা থাকা খাবার
খাবেন না। যাদের সমস্যা নেই তার আগে থেকেই সাবধান হওয়ার জন্য প্রতিদিন
লেবু খাবেন।
কারণ লেবুর আপনার রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে পাশাপাশি রক্ত
পরিচালনা করার জন্য কিডনির উপর যেই চাপটা পড়বে সেই চাপটা কমাতে সাহায্য
করে লেবুর রস। আশা করছি সকল বিষয়ে যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকেন
সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। আমাদের এই আর্টিকেলটি করে আপনাদের কাছে কেমন
লেগেছে সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এখানে শেষ করছি সবাই ভালো
থাকবে সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url