আমি মোটা হবো কিভাবে - মোটা হওয়ার উপায়
আমি মোটা হবো কিভাবে অথবা মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। যারা চিকন হয়ে দুশ্চিন্তায় পরে গেছেন। তাদের আজ থেকে আর চিন্তা নাই। এই পোস্টে জানাবো ৭ দিনে কিভাবে মোটা হবে এবং মোটা হওয়ার উপায় গুলো কি কি জানতে হলে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ শুরু থেকে শেষ পযন্ত পড়তে থাকুন।
আমি মোটা হবো কিভাবে এই কথাটা যারা চিকন আছে তারা সচারাচর বলেই থাকেন। কিন্তু কোনো সমাধান পান না কারো কাছে। চিন্ত নাই। আপনি ঘরে বসে নিজে নিজে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে মোটা হতে পারবেন। আজকে আপনাদের সাথে আমি মোটা হবো কিভাবে অথবা মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করছি।
সূচিপত্রঃ আমি মোটা হবো কিভাবে বিস্তারিত জানুন
- আমি মোটা হবো কিভাবে
- মোটা হওয়ার উপায়
- কি খেলে মোটা হওয়া যায়
- কলা খেলে কি মোটা হওয়া যায়
- কোমল পানীয় পান করে মোটা হওয়া
- মোটা হওয়ার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা
- মোটা হওয়ার জন্য কোন কোন ব্যায়াম করতে হবে
- সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায়
- ওষুধ খেয়ে মোটা হওয়া যাবে কি
- কম ঘুমালে কি মোটা হওয়া যায়
- গাজর ও শসা খেলে কি মোটা হওয়া যায়
- মোটা হতে দুধ পান করা
- ফাস্ট ফুড খেয়ে মোটা হওয়া
- ফাস্ট ফুড খাওয়ার অপকারিতা
- আমাদের শেষ মন্তব্য
আমি মোটা হবো কিভাবে
আমি মোটা হবো কিভাবে এবং মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেল টি মনযোগ সহকারে পড়ুন। একটা চিকন মানুষ মোটা হওয়ার জন্য অনেক কিছুই করে থাকে কিন্তু মোটা হতে পারেনা। তার কারন হলো সে নিয়ম অনুযায়ী কিছু করতে পারেনা এজন্য কোনো কিছুতেই তার কাজ হয়না। আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে খাবার ঠিক মতো খেতে হবে।
আরো পড়ুন ঃ লিভার নষ্টের লহ্মণ - ফ্যাটি লিভার থেকে মুক্তির উপায়
নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। যা আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। শরীরের ওজন নির্দিষ্ট পরিমাণে রাখতে হবে। যদি ওজন কম থাকে তাহলে প্রোটিন খেতে হবে বেশি বেশি প্রোটিন জাতীয় খাবার আপনাকে ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। ইতিমধ্য জেনেছেন আমি মোটা হবো কিভাবে সেই সম্পর্কে। মোটা হওয়ার জন্য কোন কোন খাবার খেতে হবে। কোন কোন ব্যায়াম করতে হবে। কিভাবে খেলে আপনার শরীর সঠিক নিয়ন্ত্রণে থাকবে সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে নিচে।
মোটা হওয়ার উপায়
মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। মোটা হতে চাইলে আপনার ওজন আগে বৃদ্ধি করতে হবে। ওজন বাড়াতে হলে যথাযথ পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। এবার খেতে হবে বেশি বেশি। আমি একবার কিছু খেয়ে নিয়ে দুই ঘন্টা পর আবার কিছু খেয়ে নিবেন প্রোটিন জাতীয় খাবারের ভিতর।
সারাদিন আপনার ১০ থেকে বারবার প্রোটিন জাতীয় খাবার শরীরের ভিতরে দিতে পারলে আপনার ওজন রাতারাতি পারতে সাহায্য করবে। আপনি হয়তো ভাবতে পারেন মোটা হওয়ার পোস্ট পড়ার জন্য এসেছি কিন্তু এখানে ওজন বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে কেন। হ্যাঁ এরকম চিন্তা আপনার মাথায় আসতেই পারে। তাহলে এর উত্তর জেনে নিন এখন। আপনার ওজন যখন বৃদ্ধি পাবে আপনাদের ভিতরে থাকা হারগুলো আস্তে আস্তে মোটা হবে।
আরো পড়ুন ঃ গর্ভবতী হওয়ার ১ম সপ্তাহের লহ্মণ
আপনার হার অথবা দেহের মাংস বৃদ্ধি না দিলে তো আর আপনার ওজন বাড়বে না তাই না। আপনার ওজন বাড়ার জন্য যখন আপনার দেহের ভিতরে থাকা মাংস অথবা আর বৃদ্ধি পাবে তখন আপনি মোটা হয়ে যাবেন। আশা করছি বুঝতে পারছেন। মোটা হতে হলে আপনাকে আগে ওজন বাড়াতে হবে। ওজন বড়ানোর জন্য কোন কোন খাবার। এবং কি কি ব্যায়াম করতে হবে সেই সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত দেওয়া আছে।
কি খেলে মোটা হওয়া যায়
কি খেলে মোটা হওয়া যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখতে হবে যারা চিকন মানুষ তাদের জন্য। আপনি যেহেতু এই পোস্ট পড়তেছেন অবশ্যই আপনি একজন চিকন মানুষ। চিকন থেকে মোটা হওয়ার জন্য কি কি করতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এই পোস্ট করতেছেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কি খেলে মোটা হওয়া যায়।
- ডিম: ছোট বড়ো সবার জন্য ডিম খাওয়া উচিত। ডিম একটি ভিটামিন বি৬, এবং ভিটামিন বি১২ খাবার। ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমান ক্যালসিয়াম। বিশেষ করে ডিমের কুসুমে রয়েছে ৯০% ক্যালসিয়াম। একজন চিকন মানুষ যদি প্রতিদিন ২ টা করে ডিম নিয়মিত খায় তাহলে মোটা হতে সাহায্য করবে। কারন ডিম একটি প্রোটিন জাতীয় খাবার। প্রোটিন থাকার কারনে আপনি যদি নিয়মিত ডিম খান তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি করবে। এবং আপনার হার মোটা হওয়া শুরু করবে।
- বাদাম: আপনি কি মোটা হতে চান তাহল প্রতিদিন সকালে নিয়মিত বাদাম খাবেন।বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভাইবার ও ফসফরাস। এজন্য পুষ্টিবিদরা বলেছেন। একটা সাধারণ চিকন মানুষ যদি সকালে খালি পেটে থেকে দশটি করে কাজু বাদাম খাই তাহলে সে এক মাসের ভিতর মোটা হয়ে যাবে এবং তার ওজন অধিক পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। বাগানে থাকে ক্যালসিয়াম, মিনারেল এবং আয়রন। বাদাম একটি ভিটামিন ই,এবং ভিটামিন বি জাতীয় ফল।
- কিসমিস: নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে আপনার ওজন বাড়তে সাহায্য করবে। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও মিনারেল। প্রতিদিন সকালে খাদ্য তালিকায় কিসমিস রাখতে পারেন। কিসমিস খেতে হবে ভিজিয়ে এত উপকার বেশি হবে। আপনি যেদিন সকালে খাবেন তার আগের দিনে রাতে কিসমিস ভিজিয়ে রাখবেন। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে খালি পেটে কিসমিস খাবেন। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে টানা ১৫ দিন কিসমিস খান তাহলে আপনার ওজন বাড়তে শুরু করবে।
- খেজুর: খেজুর অনেক পুষ্টিকর একটি ফল। নিয়মিত খেজুর খাওয়ার ফলে আপনার অনেক রকমের উপকার আসবে। আপনার হজমের সমস্যা থাকলে সমাধান হবে নিয়মিত খেজুর খেলে। খেজুর একটি ফাইবার ও আঁশযুক্ত খাবার। খেজুরে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা আপনার হাড় মোটা করতে এবং বাড়াতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি আপনার শরীর স্বাস্থ্য সঠিক নিয়ন্ত্রণের রাখবে। খেজুর আপনার শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করবে।
- ছোলা বুট: প্রতিটি মানুষের নিয়মিত ছোলা বুট খাওয়া উচিত। শরীরের স্বাস্থ্য এবং দুর্বলতা থাকলে তোর গলা থেকে কাটিয়ে দিতে পারে ছোলা বুট খাবার ফলে। ছোলা বুটে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি আঁশযুক্ত খাবার। ছোলা বুট নিয়মিত খেলে ওজন বাড়াতে সক্ষম। এবং প্রতিদিন সকালে এক মুঠো করে ছোলা বুট খেতে হবে ভিজিয়ে। ছোলা বুট মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে ৪৯% পর্যন্ত। তাহলে বুঝতেই পারছেন প্রতিটি মানুষের জন্য ছোলা বুট খাওয়া কতটা জরুরি।
- মাংস: আপনি যদি মোটা হতে চান অথবা আপনার ওজন বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাংস রাখুন। মাংস খাওয়ার ফলে মোটা হবেন কেন জানেন,মাংস রয়েছে অধিক পরিমাণ প্রোটিন। পাশাপাশি মাংসতে অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। আপনার শরীরে যদি আয়রনের অভাব থাকে। প্রতিদিন নিয়মিত মাংস খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের আয়রনের অভাব পূরণ করে দিবে।
কলা খেলে কি মোটা হওয়া যায়
আপনারা কলা প্রতিদিন খান। কিন্তু কলা খেলে কি উপকার আছে এবং কোন কোন কারনে কলা খেতে হয় সেটা না জেনেই খেয়ে ফেলেন। আজকে আপনাদের সামনে আলোচনা করব কলা খেলে কি মোটা হওয়া যায় সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেরি না করে শুরু করা যাক। কলা এমন একটি ফল যার পুষ্টি ও উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। মোটা হওয়ার জন্য কলা যেভাবে খাবেন তাহলে।
কলা খেলে পেট ভরা ভরা থাকে পরবর্তীতে আর ভাত বা অন্য কোন খাবার বেশি খাওয়া যায় না মোটা হওয়ার জন্য তেমন একটা কাজে আসে না কলা। তবে আপনি অতিরিক্ত কলা খেলে ওজন বাড়তে পারে এর ফলে আপনি মোটা হতে সক্ষম হবেন। এবং কলা খেলে শুধু ওজন বাড়ে তাই না। আপনার ত্বককে ফর্সা করতে পারবে নিয়মিত কলা খেলে। আপনার চেহারার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে কলা।
আরো পড়ুন ঃ ৭ দিনে লম্বা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
কলা একটি ক্যালরিযুক্ত খাবার। নিয়মিত কলা খেলে রোগ প্রতিরোধ থেকে রক্ষা পাবেন। তবে সকালে খালি পেটে কলা খাওয়া যাবে না। ঘুম থেকে উঠে হালকা করে কিছু খেয়ে নিবেন তারপর কলা খাবেন। রাতে ঘুমানোর আগে একটা কলা খাবেন। এবং প্রতিদিন যদি আপনি তিন থেকে চারটা করে কলা খান তাহলে আপনার ওজন রাতারাতি বাড়তে পারে।
কোমল পানীয় পান করে মোটা হওয়া
কোমল পানীয় পান করে মোটা হওয়া সম্পর্কে জানুন। কোমাল পানীয় পান করা অনেক উপকার আছে এবং অপকারও আছে। নিয়ম ঠিক কোমল পানীয় পান করবেন। অতিরিক্ত কোমল পানীয় পান করলে মোটা এবং ওজন বাড়তে পারে দ্রুত। কিন্তু আপনার খালি পেটে কুমার বাংলা পান করা যাবে না। খাবার খাওয়ার পরপরই পান করা যাবে না। তাহলে কখন পান করবেন কোমল পানীয়। আসুন জেনে নিন কখন পান করতে হবে কোমল পানীয়।
আরো পড়ুন ঃ ফ্রি লটারী খেলে টাকা ইনকাম
সকালে নাস্তা করবেন নাস্তা করে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করবেন তারপর যেকোনো কোমল পানীয় পান করতে পারেন। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা। একটা মানুষ দিনে ২৫০ মিলি থেকে ৫০০ মিলি পর্যন্ত খেতে পারবেন। এর বেশি খেলে ক্ষতির প্রভাব ফেলতে পারে আপনার শরীরে। এভাবে প্রতিদিন যদি আপনি টানা ২০ থেকে ৩০ দিন কমল পানীয় পান করেন আপনি রাতারাতি মোটা হবেন এবং আপনার ওজন প্রচুর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
মোটা হওয়ার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা
মোটা হওয়ার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষই ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম করতে থাকে। আপনি হয়তো ভেবে থাকেন যে ব্যায়াম শুধু ওজন কমানোর জন্যই কাজে আসে। এই কথাটা মোটেও সঠিক নয়। ওজন বাড়ানোর জন্য অথবা মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম করা উচিত। প্রতিদিন জিম করতে হবে আপনার। তবে ওজন বাড়ানোর জন্য যে যে ব্যায়াম করতে হবে সে ব্যায়ামটা আপনাকে নিয়মিত করা উচিত।
ব্যায়াম করার ফলে আপনার ওজন অধিক পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারবেন। ব্যায়াম বলতে শুধু দৌড়াদৌড়ি ঝাপাঝাপি এইগুলো নয়। আপনার বাসার আশেপাশে যদি কোথাও জিম থাকে যেখানে আপনি ভর্তি হতে পারেন। প্রতিদিন নিয়মিত তিন থেকে চার মাস জিম করলে আপনি ওজন বাড়াতে পারবেন অধিক পরিমাণ। পাশাপাশি মোটা হতে সাহায্য করবে।
মোটা হওয়ার জন্য কোন কোন ব্যায়াম করতে হবে
মোটা হওয়ার জন্য কোন কোন ব্যায়াম করতে হবে। ইতিমধ্য আপনারা জেনেছেন মোটা হতে অথবা ওজন বাড়াতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। কোথায় ব্যায়াম করতে হবে সেটাও জেনে গেছেন। এখন আসুন মোটা হওয়ার জন্য কোন কোন ব্যায়াম করতে হবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
- সাঁতার কাটা ওজন বাড়াতে নিয়মিত সাঁতার কাটুন। বিশেষ করে যারা গ্রাম অঞ্চলের মানুষ তারা সাঁতার কাটা সুবিধা বেশি পাই। কারণ যারা শহরাঞ্চলে থাকে তারা পানির দেখা খুব একটা বেশি পাই না। তবুও যারা শহরে থাকেন তারা চেষ্টা করবেন সাঁতার কাটার। আর যারা গ্রাম অঞ্চলে থাকে তারা প্রতিদিন ১ থেকে ২ বার। সাঁতার কাটা অনেক উপকারী একটি ব্যায়াম। প্রতিবারে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত সাঁতার কার্টুন।
- স্কোয়াটস ব্যায়াম করুন মোটা হতে চাইলে। এটি একটি পেশির শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম। পাশাপাশা আপনার দেহের আকার ধারন বৃদ্ধি করবে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে স্কোয়াটস নিয়মিত করবেন। দেহের আকার ধারন হ্মমতা বৃদ্ধি করার জন্য অনেক কার্যকারি ব্যায়াম। তবে নাস্ত করার পর এই ব্যায়াম গুলো করবেন না। এতে করে অন্য কোনো সমস্যা হতে পারে।
- সেতু ব্যায়াম এই ব্যায়াম করতে হলে আপনার একটি রুম বা পরিষ্কার কোনো জায়গায় করতে হবে। কারন এই ব্যায়াম করতে লাগলে আপনার শরীরর কিছু অংশ মাটিতে থাকবে। সেতু ব্যায়াম করলে আপনার শরীরের রগ সব গুলো ছেরে দিবে এবং রক্ত চলাচল এর হ্মেএে ভালো থাকবে। তারপর আপনার হার গুলো বৃদ্ধি করতে শুরু করবে। আশা করছি বুঝতে পারছেন সেতু ব্যায়াম করার উপকারিতা।
- পুশআপ এই ব্যায়াম এমন একটি ব্যায়াম যেটি করতে কোনো যন্ত্রপাতির প্রয়োজন হয়না। নিজের শরীরের শক্তি ধারন করে করতে হয়। নিয়মিত যদি পুশআপ ব্যায়াম করেন আপনের সাস্থ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।এবং ওজন বাড়বে রাতারাতি।
- পুলআপ ব্যাম এই ব্যামটির ভালো দিকের কথা বলে শেষ করা যাবেনা। এই একটি ব্যায়াম করার ফলে আপনি অনেক অনেক দিক দিয়ে ভালো ফলাফল পাবেন। যেমন আপনি অতি তারাতারি লম্বা হতে পারবে। সাস্থ বাড়বে পেশির শক্তি বাড়বে। শরীর মোটা হবে ওজন বাড়বে। যদি আপনি প্রতিদিন সকালে এবং বিকেলে দিনে দুইবার করে ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে উপকার আসবে। কিন্তু আপনি ১ দিন করলেন আবার মাঝখানে একদিন বাদ দিলেন। এভাবে করলে আপনার কেনে উপকার হবেনা। আশা করছি বুঝতে পারছেন।
সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায়
সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুন। আপনি চিকন শরীর নিয়ে খুব চিন্তা করছেন। মোটা হওয়ার জন্য বেশি বেশি খাচ্ছেন তবুও মোটা হচ্ছেন না। তাহলে জেনে নিন কিভাবে খেতে হবে। আপনি বেশি বেশি খাবার খেলে যে মোটা হবে সেটা ভুল ধারনা। বেশি খাবার খেলে মোটা হওয়া যায় তবে খাদ্য তালিকায় ভালো খাবার রাখতে হবে তাহলে বেশি খাবারের জন্য মোটা হতে পারবেন।
আরো পড়ুন ঃ ৭ দিনে চিকন হওয়ার উপায়
ভাত ছারার প্রতিদিন খাবেন যেগুলো বাদাম, কিসমি, খেজুর, কাজু বাদাম, চিনা বাদাম, মধু, দই, মুরগির মাংস, মিষ্টি, আলু,পেস্ত আখরোট ক্যালরিযুক্ত খাবার এই গুলা বেশি বেশি খাবেন। এক টানা সাত দিন খেতে থাকবেন পাশাপাশি যেগুলো ব্যায়াম এর কথা বলা হয়েছে ওপরে সেগুলো ব্যায়াম করবেন। তারপর দেখবেন সাত দিনে আপনি পরিবর্তন হওয়া শুরু করছেন। এবং মোটা হওয়া শুরু করবেন সাত দিনের ভিতর আশা করছি বুঝতে পারছেন সাত দিনে কিভাবে মোটা হওয়া যায় সেই সম্পর্কে।
ওষুধ খেয়ে মোটা হওয়া যাবে কি
ওষুধ খেয়ে মোটা হওয়া যাবে কি এরকম প্রশ্ন সচরাচর অনেকেই করে থাকেন। হ্যা আপনি ডাক্তরের পরামর্শ নিলে তারা কিছু ওষুধের নাম বলবে এবং যেই নিয়মে খেতে বলবপ সেভাবে খাবেন আপনি মোটা হতে পারবেন। অথবা আপনার মুখের রুচি বাড়ানোর জন্য ওষুধ দিতে হবে। তবে মোটা হওয়ার জন্য ওষুধ খাওয়া ঠিক না। অনেক সময় দেখা যায় আপনি এখন ওষুধ খেয়ে মোটা হয়ে গেলেন।
কিন্তু পরবর্তিতে আরো বড় ধরনের সমস্যায় পরে গেলেন। তখন আপনি মোটা হওয়ার কোনো কাজে আসবেনা। বরং পরবর্তীতে আবার চিকন হয়ে যেতে পারেন। এজন্য আপনি চেষ্টা করবেন মোটা হওয়ার জন্য ওষুধ খাওয়া থেকে দূরে থাকতে। আপনি চাইলে রুচির জন্য ওষুধ খেতে পারেন যাতে করে আপনি বেশি বেশি সুষম খাবার খেতে পারেন। এর জন্য আপনার কোনো হ্মতি হবেনা।
কম ঘুমালে কি মোটা হওয়া যায়
বেশি ঘুমালে কি এটা হয়। হ্যাঁ ওজন বাড়ে এবং মোটা হওয়া যায়। তবে অনেকে ভেবে থাকেন অতিরিক্ত ঘুমালে মোটা হওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যারা দিনে ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমান। ঘুমের ধারণ ক্ষমতা হিসাব করলে দেখা যায় ছয় সাত ঘন্টা ঘুম অনেক কম হয়ে যায়। তবে কম ঘুমানোর ফলে যে আপনার শরীর খারাপ হয়ে যাবে এতে করে আপনার সাবধানে থাকতে হবে। কম কমানোর ফলে চোখের সমস্যা হয়ে যায় শরীর ঠিকমতো নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারেনা।
আরো পড়ুন ঃ ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়
অনেক সময় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে কোন কাজে মন বসে না। ঘুম যদি নিয়মিত হয় তাহলে শরীর নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে। আপনার ঘুম কমের কারণে যে সমস্যাগুলো হয়ে থাকে সেই সমস্যাগুলো যদি কন্ট্রোল করে থাকতে পারে তাহলে আপনার ওজন বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। কারণ আপনার যদি ঘুম দিনে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা হয়ে থাকে তবুও আপনার ওজন বাড়বে পরিমান। আশা করছি বুঝতে পারছেন কম ঘুম হলে মোটা হওয়া যায় কিনা এবং ওজন বাড়ানো যায় কিনা সেই সম্পর্কে।
গাজর ও শসা খেলে কি মোটা হওয়া যায়
গাজর ও শসা খেলে কি মোটা হওয়া যায়। গাজর একটি ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি জাতীয় ফল। এবং শসা একটি ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ভিটামিন কে, এবং ভিটামিন ই জাতীয় ফল। গাজর ও শসা তে জলের পরিমাণ কম থাকে আয়রন বেশি থাকে যার ফলে প্রোটিন সরবরাহ বেশি পরিমাণ করে থাকে।
গাজর ও শসাতে ক্যালরির পরিমাণ কোন থাকে। যার ফলে পুষ্টি বৃদ্ধি করতে পারবে আপনার শরীরে। প্রতিদিন গাজর ও শশা খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। গাজর ও শসা ভাতের সাথে সালাদ করে খাবেন। টানা ১-২ মাস খেয়ে দেখনেন আপনার ওজন বাড়তে শুরু করেছে।এবং মোটা হবেন রাতারাতি।
মোটা হতে দুধ পান করা
দুধ সাধারণত আমরা সব সময় খেয়ে থাকি। দুধ খেলে পুষ্টি এবং চর্বি বারে দেহের এটা আমরা অনেকেই জেনে থাকি। কিন্তু কখন খেলে উপকার হবে এবং কিভাবে খেলে পুষ্টি বৃদ্ধি বেশি হবে সে সম্পর্কে কোন কিছু না জেনে অনেকেই দুধ খেয়ে থাকি। যার ফলে আমাদের কোন উপকার আসে না। আপনি মোটা হতে চান এবং বাড়াতে যান সেক্ষেত্রেও দুধ খাওয়া আপনার জন্য উচিত।
আরো পড়ুন ঃ দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম Apps
তবে কখন খেলে ওজন বাড়বে এবং মোটা হওয়ার জন্য সাহায্য করবে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। সকালে ভাত খাওয়ার পর প্রতিদিন দুধ পান করতে হবে। তবে খাওয়ার এক থেকে দুই ঘন্টা পর দুধ পান করতে হবে। এবং রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে ২ ঘণ্টা আগে খাবার খাবেন। যাতে করে এক ঘন্টার ভিতর আপনার খাবারগুলো হজম হয়ে যায়।
পরবর্তীতে আপনি দুধ খাবে খেয়ে ২০ থেকে ৩০ মিনিট নাড়াচাড়া করবেন এবং বসে থাকবেন তারপর ঘুমাতে যাবেন এই নিয়মে আপনি এক মাস দুধ পান করুন। আপনার দেহের হার আছে যেগুলো সেগুলো বৃদ্ধি পাবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন প্রতিটি মানুষের জন্য দুধ পান করা কতটা জরুরী। এবং কিভাবে দুধ খেতে হবে সে নিয়ম গুলো জানা প্রতিটি মানুষের উচিত।
ফাস্ট ফুড খেয়ে মোটা হওয়া
ফাস্ট ফুড খাবারের তালিকা অনেক বরো। মানে অনেক রকমের খাবার থাকে ক্যালরিযুক্ত খাবার। ফাস্ট ফুড খেতে হলে আপনার বরো কোনো রেস্টুরেন্টে বা হোটেলে যেতে হবে। ফাস্ট ফুড সব জায়গাতে হয়তো পাবেন না আপনারা। অথবা অনলাইনে অর্ডার করতে পারবেন। ফাস্ট ফুড হচ্ছে দোকানে বা রেস্টুরেন্টে প্যাকেজিং করা থাকে সেই খাবার গুলো। যা আপনি অনলাইনে অর্ডার করলে খুব দ্রুত পেয়ে যাবেন।
- খাবার গুলো। ফাস্ট ফুড খাবার বলতে আপনি হয়তো বুজতে পারছেন যে কোনো এক খাবারের নাম। আসলে তেমন কিছু না। ফাস্ট ফুডে কোন কোন খাবারের তালিকা থাকে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে এই পর্বটি মনযোগ সহকারে পড়ুন তাহলেই বুঝতে পারবেন ফাস্ট ফুড কেমন খাবার এবং কি কি।
- ফাস্ট ফুড খাবারের তালিকায় রয়েছে বার্গার। বার্গারে রয়েছেন অধিক পরিমান চর্বি। যা আপনার সাস্থ বাড়াতে সাহায্য করবেন। বার্গারে চর্বি থাকার পাশাপাশি প্রোটিন রয়েছে অনেক। একটা বার্গারের ১০% চর্বি এবং ৬% প্রোটিন থাকে। আপনি যদি দিনে ২ টা করে বার্গার খেতে পারেন নিয়মিত। তাহলে টানা এক মাস খেলে আপনার ওজন রাতারাতি বাড়তে শুরু করবে। পাশাপাশি আপনার দেহের হার মোটা এবং বৃদ্ধি পাবে।
- আইসক্রিম ফাস্টফুড খাবারের তালিকায় আইসক্রিম রয়েছে। আইসক্রিম আমরা সাধারণত প্রায় সময়ই খেয়ে থাকি। তবে নরমাল গুলো খেয়ে থাকি যেগুলো আমাদের কোন কাজে আসেনা। বিশেষ করে দেখবেন যেগুলো আইসক্রিম দুধ অথবা দই দিয়ে বানিয়ে থাকে যেগুলো আইসক্রিম চেষ্টা করবেন।আইসক্রিম খেলে পুষ্টি ও চর্বি বাড়বে আপনার শরীরে।
- পিৎজা প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় পিৎজা রাখুন। অনলাইন অর্ডার করলে খুব দ্রুত পেয়ে যাবেন। আপনি বাসায় রান্না করতে পারেন। তবে সঠিক তথ্যগুলো সংগ্রহ করে বানাতে হবে আজেবাজে কোন কিছু দিয়ে বানানো যাবে না। পিৎজা প্রতিদিন খাবার খেলে আপনার স্বাস্থ্য বেড়ে যাবে।
ফাস্ট ফুড খাওয়ার অপকারিতা
ইতিমধ্য ফাস্ট ফুডের উপকারিতা জানালেন। এখন আলোচনা করব ফাস্ট ফুডের অপকারিতা সম্পর্কে। ফাস্টফুড তৈরি করতে লবণ চিনি এবং বিভিন্ন ধরনের মসলা প্রয়োজন হয়। অধিক পরিমাণ চিনি এবং লবণ দিয়ে তৈরি করার ফলে খাবারগুলো অনেক রিস্কের হয়ে থাকে। ফাস্টফুড খেলে ওজন বাড়াতে পারবেন এবং মোটা হতে পারবেন না রাতারাতি। কিন্তু এর ফলে আপনার অপকারিতা হতে পারে।
বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে ফাস্ট ফুড খেলে।মোটা হওয়ার জন্য এবং ওজন বাড়ানোর জন্য যারা ফাস্ট ফুড অতিরিক্ত খাচ্ছেন তারা ফাস্ট ফুড খাওয়া থেকে এড়িয়ে চলুন। অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করে মোটা হওয়ার চেষ্টা করুন। ফাস্ট ফুডে খেলে গ্যাসের সম্মুখীন হতে পারেন। আপনার শরীরে যদি ফাস্ট ফুড খাওয়া সহ্য করতে না পারে তাহলে আপনি মোটা না হয়ে বরং চিকন হয়ে যেতে পারেন। আশা করছি বুঝতে পারছেন একটা মানুষের জন্য ফাস্ট ফুড খাওয়া কত রিস্ক।
আমাদের শেষ মন্তব্য
ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি আমি মোটা হবো কিভাবে,মোটা হওয়ার উপায়,কি খেলে মোটা হওয়া যায়, কোমল পানীয় পান করে মোটা হওয়া,কলা খেলে কি মোটা হওয়া যায়, মোটা হওয়ার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করামোটা হওয়ার জন্য কোন কোন ব্যায়াম করতে হবে, সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায়, ওষুধ খেয়ে মোটা হওয়া যাবে কি, কম ঘুমালে কি মোটা হওয়া যায়, গাজর ও শসা খেলে কি মোটা হওয়া যায়, এবং মোটা হতে দুধ পান করা সম্পর্কে সকল বিস্তারিত।
যেখানে আমার মতামত হচ্ছে মোটা হতে হলে অবশ্যই আপনার বেশি বেশি খেতে হবে। বেশি বেশি খেতে হবে বলছি বলে যে আপনি যেটা ইচ্ছা সেটা খাবেন তাহলে হবে না এটা আপনার উপকার না হয় উপকার হবে। ভাত খাবেন প্রতিদিন চারবার প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। আর মোটা হওয়ার জন্য এবং ওজন বাড়ানোর জন্য যে ব্যায়ামগুলোর কথা।
এই আর্টিকেলে বলা হয়েছে সেই ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করতে হবে। এবং আরো কিছু খাবার বলা হয়েছে আপনি যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই মোটা হওয়ার সকল বিস্তারিত বুঝতে পারছেন। আজ আমি এখানে শেষ করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের কাছে কতটা উপকারিতা মনে হয়েছে। সেটা কমেন্ট করে অবশ্যই জানিয়ে দিবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
অনলাইন এক্সপার্ট আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন । প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয় :
comment url